পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দোষ স্বীকার করে ক্ষমা চাওয়া ছাড়া বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে দেওয়ার সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। এর বাইরে আইনের অন্য কোনও বিধান দেখাতে পারলে আইন পেশা ছেড়ে দেবেন বলেও তিনি চ্যালেঞ্জ দিয়েছেন।
গতকাল জাতীয় সংসদে ২০২১-২১ অর্থবছরের বাজেটের ছাঁটাই প্রস্তাবের ওপর বক্তব্যকালে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে জাতীয় পার্টি, বিএনপি ও গণফোরামের সদস্যরা ছাঁটাই প্রস্তাবের ওপর তাদের বক্তব্য দেন। বিএনপির হারুনুর রশীদ ও মোশাররফ হোসেন ছাঁটাই প্রস্তাবের ওপর বক্তব্যকালে তাদের দলীয় চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশ পাঠানোর দাবি তোলেন। বিএনপির সদস্যরা বাজেট আলোচনাকালেও একই দাবি তুলেছিলেন।
খালেদা জিয়ার মুক্তির প্রসঙ্গ টেনে আইনমন্ত্রী বলেন, উনার পরিবারের সদস্যরা দরখাস্ত করলেন। উনারা দরখাস্তে বলেছিলেন, উনাকে বিদেশ নিয়ে যেতে হবে। তাদের আবেদনে আইনের ধারার কথা উল্লেখ ছিল না। ওই আবেদনকে ৪০১ হিসেবে ট্রিট করে দুটো শর্ত দিয়ে তার দন্ডাদেশ স্থগিত রেখে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। শর্ত দুটি হচ্ছে, তিনি বাসায় থেকে চিকিৎসা নেবেন এবং তিনি দেশে থেকে চিকিৎসা নেবেন। তারা (খালেদা জিয়ার পরিবার) এটা গ্রহণ করেছিলেন। গ্রহণ করে তারা খালেদা জিয়াকে জেলখানা থেকে বাসায় নিয়ে কার্যকরী করেছিলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, বিএনপির নেতারা কথায় কথায় বিদেশ পাঠানোর দাবি করেন। একটি দরখাস্ত যখন নিষ্পত্তি হয়ে যায়, সেটা কী আবার পুনর্বিবেচনা করা যায়? উনারা তো দরখাস্ত করে শর্ত মেনে তাকে মুক্ত করে এনেছেন। তারপর এখন বলছে, বিদেশে যেতে হবে। আবার দরখাস্ত করলেন। এটা কী রকম কথা! ওই দরখাস্ত তো শেষ (নিষ্পত্তি)। সেটার ওপর তো আর কেউ কিছু করতে পারবে না। ৪০১-এর যে দরখাস্ত হিসেবে সেটা নিষ্পন্ন হয়ে গেছে। ওটা তো মঞ্জুর হয়েছে।
মন্ত্রী চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেন, আইনে ৬টি সাব-সেকশন আছে। এরমধ্যে কোথাও যদি দেখাতে পারেন আবার দরখাস্ত করতে পারবেন, আবার পুনর্বিবেচনা করতে পারবেন, তাহলে আমি আইন পেশায় থাকবো না।
খালেদা জিয়ার চিকিৎসার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, উনি এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। তো চিকিৎসা পাননি কোথায়? যারা হাসপাতালে ভর্তি হতে পারেন না, চিকিৎসা পাওয়ার ক্ষেত্রে যদি বাধাগ্রস্ত করা হয়। উনারা এমন নজির দেখাতে পারবেন না যে আমরা বাধাগ্রস্ত করেছি। তাহলে চিকিৎসা পাননি এই কথা বলেন কেন? নিরর্থক পলিটিক্যাল স্ট্যান্ডবাজি করলে তো হবে না। মুক্তির ক্ষেত্রে আইনের বিধান তুলে ধরে আইনমন্ত্রী বলেন, কোনও সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে যদি মুক্তি দিতে হয়, সেটা আইনের মাধ্যমেই করতে হবে। অন্যভাবে করা সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে একটা উপায় আছে, তারা (খালেদা জিয়ার পরিবার) মহামান্য প্রেসিডেন্টের ক্ষমা চাইতে পারেন, বা ৪০১ ধারায় সরকারের কাছে ক্ষমা চাইতে পারেন। ক্ষমা চাইলে প্রেসিডেন্ট ও সরকার) বিবেচনা করলে ক্ষমা করতে পারেন। আর সেই ক্ষমা চাইতে গেলে অবশ্যই খালেদা জিয়াকে দোষ স্বীকার করে চাইতে হবে। এছাড়া এই সংসদে বক্তৃতা দিয়ে বা অন্য উপায়েৃ আইনটা দেখান। আইন দেখালে যদি আমরা না করি তাহলে বলতে পারবেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।