Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অটোরিকশা নালায় পড়ে পানিতে ডুবে নিহত ২

চট্টগ্রামে পানিবদ্ধতায় দুর্ভোগ

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৩০ জুন, ২০২১, ১১:৪৬ পিএম

টানা বৃষ্টি আর জোয়ারে নগরীতে পানিবদ্ধতায় মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। গতকাল বুধবার নগরীর অনেক এলাকা হাঁটু থেকে কোমর সমান পানিতে তলিয়ে যায়। সড়ক, অলিগলি, দোকান পাট, বাসাবাড়িতে পানি উঠে। নগরীর ষোলশহর ২ নং গেইট এলাকায় তলিয়ে যাওয়া সড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি অটোরিকশা চার যাত্রীসহ নালায় পড়ে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস থেকে জানানো হয়, গতকাল বিকেল ৩টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৮৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবারও নগরীতে ভারী বর্ষণ, সেইসাথে পাহাড় তথা ভূমিধস এবং পানিবদ্ধতার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। গতকাল ভোর থেকেই শুরু হয় বর্ষণ। ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত হয় ভারী বর্ষণ। এর সাথে জোয়ারের পানিতে নগরীর বেশিরভাগ এলাকায় পানিবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। সড়ক-নালা পানিতে ডুবে একাকার হয়ে যায়। দুপুর ১২টায় নগরীর ষোলশহর মেয়র গলিতে তলিয়ে যাওয়া সড়কে একটি অটোরিকশা নালায় পড়ে যায়। এতে চালক মো. সুলতান (৩৫) ও যাত্রী খাদিজা বেগম (৬৫) মারা যান। আহত হয়েছেন আরো চারজন অটোরিকশার যাত্রী। মেয়র গলির সড়কের পাশে বড় নালায় পড়ে যাওয়ার পর প্রচন্ড স্রোতে অটেরিকশাটি টেনে নিয়ে যায় অনেক দূর। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে দুই জনের মৃত্যু হয়। তিনজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পানিবদ্ধতা নিরসনে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-সিডিএর চলমান মেগা প্রকল্পে নগরীর বড় বড় খাল ও নালার মুখে বাঁধ দেয়ায় পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ে। সিটি মেয়র এম রেজাউল করিমের পক্ষ থেকে বর্ষার আগেই এসব বাঁধ সরিয়ে নেয়ার আহবান জানানো হলেও তাতে সাড়া দেয়নি সিডিএ। মেয়র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন সিডিএ কথা দিয়ে কথা রাখেনি, পানিবদ্ধতার দায় তাদের নিতে হবে। খালের মুখে বাঁধ এবং রিটেইনিং ওয়াল তৈরির জন্য খালের মধ্যে সড়ক তৈরি করায় বৃষ্টির পানি দ্রুত সময়ে সরতে পারছে না। এতে সামান্য বৃষ্টিতেই অনেকে এলাকা তলিয়ে যায়। পানিবদ্ধতায় সকালে কর্মজীবী মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়ে। এমনিতে লকডাউনের কারণে গণপরিবহন বন্ধ। তার উপর সড়কে পানি উঠে যাওয়া রিকশাও মিলেনি। ময়লা পানি মাড়িয়ে অফিসে যেতে হয় কর্মজীবীদের। রাস্তার পানিতে দাঁড়িয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করার পরও মিলেনি যানবাহন। রিকশা পাওয়া গেলেও ভাড়া দ্বিগুণ। চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় সাধারণ মানুষকে।
নগরীর বহদ্দারহাট, ষোলশহর, মোম্মদপুর, মুরাদপুর, কাপাসগোলা, চাক্তাই, বাকলিয়া, ডিসি রোড, আগ্রাবাদ, সিডিএ আবাসিক এলাকা, হালিশহর, চান্দগাঁওয়ের বিভিন্ন এলাকা পানিতে তলিয়ে যায়। ডিসি রোডে হাঁটুসমান পানি ওঠে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ