Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বৈদ্যুতিক খুঁটি রেখেই সড়ক সংস্কার

রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ৩০ জুন, ২০২১, ১২:০১ এএম

ডেমরা কালীগঞ্জ সড়কের রূপগঞ্জ সদর ইউনিয়নের মুশুরী ফজুর বাড়ি থেকে দাউদপুরের বেলদী পর্যন্ত ১৬ কিলোমিটার সড়কের উভয়পাশে চলছে সংস্কার ও সড়ক বৃদ্ধির কাজ। তবে সড়কের মাঝখানে নারায়ণগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির পূর্বাচল জোনাল অফিসের অধীনে প্রধান সঞ্চালন লাইনের শতাধিক খুঁটি রেখেই কাজ চলমান রাখায় স্থানীয়দের মাঝে চরম হতাশা বিরাজ করছে। তাদের দাবি দীর্ঘ ভোগান্তির পর এ সড়ক সংস্কার ও বৃদ্ধির কাজ চললেও এসব খুঁটির কারণে সুবিধাবঞ্চিত হবে সড়কে চলাচলরত যানবাহন। এদিকে পূর্বাচল থেকে বেলদী পর্যন্ত কাজ শুরু হলেও মুশুরী থেকে হাবিবনগর এখনো শুরু হয়নি। তবে কাজের গতি না থাকা এবং বৈদ্যুতিক খুঁটির চরম ঝুঁকি থাকায় চরম হতাশ স্থানীয়রা।

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, রূপগঞ্জ সদর ইউনিয়নের মুশুরী ফজুর বাড়ি থেকে পূর্বাচলমুখী হাবিবনগর পর্যন্ত চরম বেহাল দশায় পতিত সড়ক। এ সড়কটি দীর্ঘ বছর যাবৎ মেরামত না করায় স্থানে স্থানে শতাধিক গর্তে চরম ভোগান্তিতে রয়েছেন এ পথে চলাচলরত যানবাহন চালক, মালিক, যাত্রী ও পথচারীরা। আবার একই সড়কের পূর্বাচলের শিমুলিয়া বাজার থেকে বেলদী পর্যন্ত সড়কের কাজ শুরু করেন। মাঝখানে নারায়ণগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ১১ হাজার ভোল্ট সঞ্চালন লাইনের শতাধিক খুঁটি থাকলেও কাজ চলমান রেখেছে কর্তৃপক্ষ। এতে স্থানীয় বাসিন্দাদের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।
শিমুলিয়া এলাকার বাসিন্দা আব্দুর রউফ মালুম বলেন, গত ৪ বছর ধরে এ সড়কের বেহাল দশা। আমরা আশায় ছিলাম দ্রুত সংস্কার ও সড়ক বৃদ্ধির কাজ শেষ হবে। এখন শুনছি খুঁটি সরাতেই সময় ব্যয় হবে। আবার সড়ক বাড়ানোর দাফতরিক কাজ শেষ হয়নি। ফলে এ ভোগান্তি কবে শেষ হবে আমাদের জানা নেই।
বেলদী এলাকার বাসিন্দা আসাদুজ্জামান তুষাত বলেন, এ সড়কের মেরামত কাজ ঝুলে থাকায় উত্তর রূপগঞ্জের দাউদপুরের বাসিন্দারা চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন। সড়কে খানা খন্দ আরা সড়কের মাঝখানে খুঁটিগুলো একেকটা মৃত্যু ঝুঁকি। এ সড়কে নিয়মিত ইটবাহী শক্তিশালী ট্রাক্টর চলাচল করে। একাধিকবার খুঁটির সঙ্গে ধাক্কা লেগে খুঁটি ভেঙে যায়। অনেকেই বিদ্যুতায়িত হয়ে আহত হয়েছেন। ফলে একদিকের ভাঙাচোরা সড়ক অন্যদিকে খুঁটি ঝুঁকি। সব মিলিয়ে চরম বিপাকে এখানকার বাসিন্দারা।
তবে রূপগঞ্জ উপজেলা এলজিইডি প্রধান প্রকৌশলী জামাল উদ্দিন বলেন, সড়কটি ১৮ ফুট ছিলো। সময়ের প্রয়োজনে এটিকে উভয়পাশে ৩ ফুট করে ৬ ফুট বৃদ্ধি করে কাজ চলমান রয়েছে। তবে তা পর্যাপ্ত নয়। অতি গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কে যানবাহন চলাচলের চাপ বেশি ফলে এটিকে আরো ৬ ফুট বৃদ্ধির প্রক্রিয়া চলমান। অন্যদিকে বিদ্যুৎ খুঁটির জন্য কাজ ব্যাহত হচ্ছে। এ সমস্যা সমাধানের জন্য আমরা পবিসকে চিঠি দিয়েছি। আশা করছি দাফতরিক প্রক্রিয়া শেষে দ্রুত এসব খুঁটি সরিয়ে নিবে।
এছাড়াও নারায়ণগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ২ এর পূর্বাচল জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার লাবিবুল বাশার বলেন, এলজিইডির এ সংক্রান্ত চিঠি পেয়েছি। কাজ চলমান। খুঁটিগুলো সরিয়ে নেয়া হবে। তবে যেসব স্থানে সরানো হবে সেসব স্থান প্রস্তুত না থাকায় সময় লাগতে পারে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ