পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অতিরিক্ত দামে পাটের বীজ বিক্রি করে আড়াই টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ছিল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের কর্মকর্তা একাত্তরের বীর সেনানী ওবায়দুল আলমের বিরুদ্ধে। স্বাধীনতার ১১ বছরের মাথায় আড়াই টাকা আত্মসাতের শাস্তি মাথায় নিয়ে হারাতে হয় সরকারি চাকরি। কারাভোগও করতে হয়েছে। ৩৯ বছর পর সামরিক আদালতের আদেশে চাকরি হারানো সেই বীর যোদ্ধা এবার জয়ী হলেন আইনি যুদ্ধেও। সুপ্রিম কোর্ট এক রিভিউ আদেশে তার পক্ষে রায় দিয়ে আইনি লড়াইয়ে জয়ী ঘোষণা করেন। ১৯৮২ সালে কুষ্টিয়ার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের কর্মকর্তা বীর মুক্তিযোদ্ধা ওবায়দুল আলম আকনের দণ্ড বাতিল করে চাকরিকালীন সব সুযোগ সুবিধা দিতে হাইকোর্টের রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। খারিজ করে দিয়েছেন সরকারপক্ষীয় রিভিউ আবেদন।
গতকাল সোমবার সরকার পক্ষের রিভিউ আবেদন খারিজ করে দিয়ে উপরোক্ত রায় দেন, প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগীয় বেঞ্চ।
ঘটনাটি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সামরিক শাসন আমলের। মাত্র আড়াই টাকা বেশি দামে সরকারি পাট বীজ বিক্রির অভিযোগে ১৯৮২ সালের ১৫ এপ্রিল পাট সম্প্রসারণ সহকারী মো. ওবায়দুল আলম আকনকে গ্রেফতার করা হয়। ওই বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর তৎকালিন সামরিক আদালত আকনকে চাকরিচ্যুত করেন। সেই সঙ্গে ২ মাসের কারাদণ্ড ও ১ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেন।
এর ৩০ বছর পর ২০১২ সালে সামরিক আদালতের সেই সাজা ও চাকরিচ্যুতির সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন ওবায়দুল আলম আকন। সেই রিটে চাকরিচ্যুতি থেকে অবসরে যাওয়ার নির্ধারিত সময় পর্যন্ত সব সুযোগ-সুবিধাসহ সমুদয় বেতন-ভাতা দিতে নির্দেশনা চাওয়া হয়। এই রিটের শুনানি নিয়ে ২০১৭ সালের ২০ নভেম্বর হাইকোর্ট ওবায়দুল আলমের সাজা অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন। এই রায়ে তার চাকরি থেকে অবসর গ্রহণ পর্যন্ত সব বেতন-ভাতাসহ যাবতীয় পাওনা দিতে নির্দেশ দেয়া হয়। তবে হাইকোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর আপিল করে। এই আপিলের শুনানি নিয়ে ২০২০ সালের ৮ মার্চ রায় দেন আপিল বিভাগ। সেই রায়ে ওবায়দুল আলম আকনের বেতন-ভাতা সংক্রান্ত হাইকোর্টের রায়ের অংশ বহাল রেখে সামরিক আদালতের সাজা অবৈধ ঘোষণা সংক্রান্ত অংশটি (এক্সপাঞ্জ) বাদ দেয়া হয়। তবে এই রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে রিভিউ আবেদন করে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর। সেই আবেদন খারিজ করে গতকাল রায় দিলেন সুপ্রিম কোর্ট। এ রায়ের ফলে মুক্তিযোদ্ধা ওবায়দুল আলম আকন তার চাকরি জীবনের সব বেতন-ভাতা ফিরে পাবেন। ওবায়দুল আলম আকনের পক্ষে শুনানি করেন এডভোকেট প্রবীর নিয়োগী। সরকারপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এম কে মোর্শেদ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।