পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : নেতার মাধ্যমে কাজের সুযোগ পাওয়া ওয়ার্ড বয়ের পুশ করা ইনজেকশনের পরই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছে এক রোগী। গতকাল শুক্রবার বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ২০০ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। চিকিৎসক ভূমিকায় থাকা ওয়ার্ড বয় (নন-স্টাফ) সুমনকে গণপিটুনি দিয়ে শাহবাগ থানায় সোপর্দ করেছে জনতা। অপরদিকে ভুল চিকিৎসায় মারা যাওয়া রোগীর নাম বিপ্লব ম-ল। তিনি কেরানিগঞ্জের বাসিন্দা। মোটরসাইকেলে আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।
মারা যাওয়া রোগী বিপ্লব (২৬) মন্ডলের বাবা বিনোদ মন্ডল কাঁদতে কাঁদতে সাংবাদিকদের বলেন, গত রোববার কেরানীগঞ্জে তার ছেলে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত হন। তাকে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। ২০০ নম্বর ওয়ার্ডের এক্সট্রা বেডে চিকিৎসাধীন বিপ্লব গতকাল সাড়ে চারটার দিকে অসুস্থবোধ করলে তারা চিকিৎসকের কাছে যান। চিকিৎসক ব্যবস্থাপত্রে ইনজেকশনের নাম লিখে দিয়ে তা দ্রুত কিনে আনতে বলেন। বিনোদ অভিযোগ করেন, তারা ইনজেকশন কিনতে যাওয়ার সময় সুমন নামের ওই ওয়ার্ড বয় এসে বিপ্লবের মুখে অক্সিজেনের মুখোশ চেপে ধরেন। একটু পর সুমন নিজেই রোগীকে একটি ইনজেকশন দেন। এর কিছুক্ষণ পরেই মারা যায় বিপ্লব। বিনোদ মন্ডল অভিযোগ করেন, সুমনের গলায় চিকিৎসকের স্টেথেসকোপ ছিলো। তাই প্রথমে তারা সুমনকে চিকিৎসক মনে করেছিলেন। কিন্তু পরে জানতে পারেন ওই যুবক ঘটনার কিছুক্ষণ আগেও সুইপারের কাজ করেছেন।
এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারি কল্যাণ সমিতির সভাপতি এমএ খালেক সুমনকে হাসপাতালে ওয়ার্ড বয়ের কাজ দেন। রোগীর সেবা করার পর খুশি হয়ে যে যা দিতো সেটাই সুমনের আয়। কিন্ত হাসপাতালে অবস্থান করার সুযোগ পেয়ে তিনি ওষুধ চুরিসহ বিভিন্ন ধরনের অনৈতিক কাজে জড়িয়ে পড়েন। গতকাল তার হাতে রোগী মারা যাবার পর গণপিটুনির শিকার হন তিনি। খবর পেয়ে সেখানকার দায়িত্বরত আনসার সদস্যরা গিয়ে সুমনকে উদ্ধার করে হাসপাতালের বাইরে নিয়ে যান। ততক্ষণে খবর পেয়ে হাসপাতালের সামনে গাড়ি নিয়ে হাজির হয় শাহবাগ থানার পুলিশ। পুলিশের গাড়িতে সুমনকে ওঠানো হয়। এর পর্ওে উত্তেজিত লোকজন পুলিশি বাধা এড়িয়ে ওই যুবককে গাড়ি থেকে নামিয়ে আবারও পিটুনি দিতে থাকে। তখন অতিরিক্ত পুলিশ ও র্যাব গিয়ে তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে হাসপাতালের সামনে র্যাব ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।