পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : কাঁটাতারের মাঝের কাটা অংশ দিয়ে রাস্তা পার হতে গিয়ে বেপরোয়া বাস চাপায় নিহত হয়েছে মাদ্রাসার এক শিশু শিক্ষার্থী। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউ সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত শিশুটির নাম রবিউল আউয়াল। সে আম্বর শাহ মাদ্রাসার ছাত্র ছিলো। বসুন্ধরা সিটির পেছনে কাজীপাড়ায় তারা বসবাস করে। গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জের পটিয়াদি চমকপুরে। বাবার নাম সাইদুর রহমান। নিহতের লাশ ময়না তদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কাজী নজরুল ইসলাম এ্যাভিনিউ’র ওই সড়কে বিপজ্জনকভাবে রাস্তা পারাপার বন্ধে সড়ক বিভাজকে কাঁটাতার দেয়া রয়েছে। তবে মাঝের কিছু অংশ কাটা ছিল। ছুটির দিনে ফাঁকা রাস্তায় সেখান দিয়েই পার হতে গিয়েছিল শিশুটি। এ সময় দ্রুতগামী একটি বাস তাকে ধাক্কা দেয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে জরুরী বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
প্রিয় সন্তানের মৃত্যুর পর শিশুটির মা রেনু বেগম বিলোপ করে বলতে থাকেন, গতকাল জুমার নামাজ পড়তে গিয়েছিলো তার কলিজার টুকরো। নামাজ শেষে সড়ক পার হতে বেপরোয়া বাস তার ছেলের প্রাণ কেড়ে নেয়।
তেজগাঁওয়ের ট্রাফিক পরিদর্শক মিজানুর রহমান বলেন, ওয়েলকাম পরিবহনের একটি বাসের ধাক্কায় শিশুটি মারা যায়। সাভার থেকে কমলাপুর পর্যন্ত বাসটি চলাচল করে। চালক পালিয়ে গেলেও বাসটিকে কমলাপুর থেকে আটক করা হয়েছে। কাঁটাতারের বেড়া তুলে ফেলার বিষয়টি জানতে চাইলে ট্রাফিক বিভাগের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা বলেন, সড়ক বিভাজকের কাঁটাতারের বেড়া পথচারীরাই তুলে ফেলে। এ রকম একাধিক স্থানে কাঁটাতারের বেড়া কাটা রয়েছে। প্লাস দিয়ে এসব বেড়া কাটা হয়েছে। সাধারণত এই ফাঁকা জায়গা দিয়ে কারওয়ান বাজার থেকে মালামাল পার করা হয়। সাধারণ মানুষ আন্ডারপাস কিংবা পদচারী সেতু ব্যবহার করে না। এদিকে এ ঘটনায় তেজগাঁও থানায় একটি মামলা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।