Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আন্দোলন ছাড়া সরকার হঠানোর বিকল্প নেই -নোমান

প্রকাশের সময় : ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

চট্টগ্রাম ব্যুরো : বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান বলেছেন, আন্দোলন ছাড়া সরকার হঠানোর কোন বিকল্প উপায় নেই, কারণ সরকার ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে, নির্বাচনকে তামাশায় পরিণত করেছে। তিনি বলেন, আমাদের হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকলে চলবে না। গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার পূনঃপ্রতিষ্ঠা করতে চাইলে দলকে সাংগাঠনিকভাবে শক্তিশালী করে রাজপথের আন্দোলন জোরদার করতে হবে।
তিনি গতকাল (শুক্রবার) নগরীর পাহাড়তলীর একটি কমিউনিটি সেন্টারে চট্টগ্রাম মহানগর মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি গিয়াস উদ্দিন মৃধার স্মরণে মুক্তিযোদ্ধা গিয়াস উদ্দিন মৃধা স্মৃতি সংসদ ও স্থানীয় বিএনপির যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন।
আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, রাজপথের আন্দোলনে সফল হতে হলে সাংগাঠনিকভাবে যারা অক্ষম ও আয়েশী মনোভাব সম্পন্ন তাদের উচিত জেল-জুলুমকে আলিঙ্গন করে যারা রাজপথের আন্দেলনে সামনের দিকে অগ্রসর হতে পারবে তাদেরকে নেতৃত্বের অগ্রভাগে জায়গা করে দেওয়া। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমাদের অর্জিত স্বাধীনতা কোন ব্যক্তি বা দলের একক প্রচেষ্টায় হয়নি। মুক্তিযোদ্ধাদের শ্রেষ্ঠ অর্জন আমাদের স্বাধীনতা।
আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, দেশে এখন হীরক রাজার শাসন চলছে। ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র নেই দীর্ঘদিন ধরে। বাক স্বাধীনতা ও মানবাধিকার ভূলুণ্ঠিত। নির্বাচন কমিশন, জাতীয় সংসদসহ সব সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে অকার্যকর করে রাখা হয়েছে। শেখ মুজিবের ঘোষিত বাকশালের চেয়েও শেখ হাসিনার অঘোষিত বাকশালী শাসনের তীব্রতা অনেক বেশী।
আবদুল্লাহ আল নোমান ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাদেক হোসেন খোকাকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে সরকার ক্ষ্যান্ত হয়নি। অসুস্থ সাদেক হোসেন খোকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে সরকার রনাঙ্গণের এই বীর মুক্তিযোদ্ধার প্রতি রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চারিতার্থ করেছে। আমি সরকারের এই হিংসাত্মক কর্মকা-ের তীব্র নিন্দা জানাই।
মুক্তিযোদ্ধা গিয়াস উদ্দিন মৃধার কর্মময় জীবনের উপর আলোকপাত করে আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, তিনি ছিলেন দলের নিবেদিত প্রাণ একজন দক্ষ সংগঠক। মৃত্যুর পূর্ব দিনেও মুক্তিযোদ্ধা গিয়াস উদ্দিন মৃধা ব্যক্তি জীবনে তাঁর অবস্থান থেকে বিএনপি এবং মুক্তিযোদ্ধা দলকে সংগঠিত করার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন। তাঁর মত মুক্তিযোদ্ধারাই ছিল বিএনপির শ্রেষ্ঠ সম্পদ এবং তাঁদের কারণেই বিএনপি সংখাগরিষ্ঠ মুক্তিযোদ্ধার দল।
পাহাড়তলী থানা বিএনপির আহ্বায়ক ও মুক্তিযোদ্ধা গিয়াস মৃধা স্মৃতি সংসদের আহ্বায়ক শামসুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপিসাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় শ্রমিকদলের যুগ্ন-সম্পাদক নুরুল্লাহ বাহার, বন্দর শ্রমিকদরের সভাপতি শামসুল আলম, মহানগর যুবদলের সভাপতি কাজী বেলাল, মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহম্মদ আলী, মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন দিপ্তী, মহানগর বিএনপি নেতা শ ম জামাল, কমান্ডার শাহাবুদ্দিন, সাবেক কাউন্সিলর হাজী বাবুল হক, অ্যাডভোকেট সাত্তার সারোয়ার, কামাল উদ্দিন, জসীম উদ্দিন জিয়া, মোশারফ হোসেন ডিপটি, আব্দুল মান্নান, আশরাফ চৌধুরী, জাহাংগীর আলম, দুলাল, অ্যাডভোকেট মফিজুল ভুইয়া, মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, দিদারুর রহমান সুমন প্রমুখ।
ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র এখন হারানো অতীত। চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপিকে তৃণমূল পর্যায়ে সংগঠিত করে আমরা আন্দোলনের প্রস্তুতি গ্রহণ করব। হামলা, মামলা এবং নির্যাতন চালিয়ে সরকার আমাদেরকে নিবৃত্ত করতে পারবে না। সরকারের দমন, পীড়নকে আমরা রাজনৈতিকভাবে প্রতিহত করব।
আবুল হাশেম বক্কর বলেন, শেখ হাসিনার অবৈধ সরকার দমন, পীড়ন চালিয়ে বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করে ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে, কিন্তু সরকারের সে অপচেষ্টা সফল হবে না। আমরা জেল-জুলুমকে পরোয়া করি না।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আন্দোলন ছাড়া সরকার হঠানোর বিকল্প নেই -নোমান
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ