পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের যেসব শিক্ষক, চিকিৎসক ও কর্মচারীরা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন নিয়েছেন, তাদের মধ্যে ৯৩ শতাংশের শরীরে অ্যান্টিবডি পাওয়া গেছে। ঢামেকের এক গবেষণায় এ তথ্য পাওয়া গেছে।
গতকাল রোববার গবেষণার ফলাফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানিয়েছে ঢামেক হাসপাতাল। ফলাফলটি তুলে ধরেন গবেষণার নেতৃত্বে থাকা ঢামেকের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রধান প্রফেসর ডা. এসএম সামসুজ্জামান। তিনি জানান, ঢাকা মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগ অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা নিয়েছেন এমন ৩০৮ জনের ওপর পাঁচ মাস ধরে এই গবেষণাটি চালিয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের অর্থায়নে এই গবেষণা চালায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগ।
প্রফেসর ডা. এসএম সামসুজ্জামান বলেন, টিকার প্রথম ডোজ নেয়ার চার সপ্তাহ পর নমুনা সংগ্রহ করা হয়। সে সময় ৪১ শতাংশের শরীরে অ্যান্টিবডি পাওয়া যায়। দ্বিতীয় ডোজ নেয়ার দুই সপ্তাহ পর আবার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়। সে সময় টিকাগ্রহীতাদের ৯৩ শতাংশের শরীরে অ্যান্টিবডি পাওয়া গেছে। তিনি বলেন, গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের সবার বয়স ৩০ বছরের ঊর্ধ্বে। এরমধ্যে ৮০ শতাংশের বয়সই ৫০ বছরের বেশি। আমাদের গবেষণার উদ্দেশ্য ছিল, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দেয়ার পর অ্যান্টিবডি হলো কি না, দ্বিতীয় ডোজ দেয়ার পর কী পরিমাণ অ্যান্টিবডি তৈরি হলো, এগুলো জানা’ উল্লেখ করেন তিনি। অ্যান্টিবডি তৈরি হওয়ার পর তা কতদিন শরীরে থাকবে, জানতে চাইলে প্রফেসর ডা. সামসুজ্জামান বলেন, অ্যান্টিবডি তৈরি হওয়ার পর তা ছয় মাস পর্যন্ত থাকতে পারে। তবে, এ নিয়ে এখনো বিজ্ঞানীদের হাতে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই। এটা নিয়ে আরও গবেষণার প্রয়োজন আছে। গবেষণার ফলাফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রিন্সিপাল প্রফেসর ডা. মো. টিটু মিয়া, হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক ও ভাইস প্রিন্সিপাল ডা. মো. শফিকুল আলম চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
এই গবেষণার ফলাফল পুরো সমাজের চিত্র কি না, জানতে চাইলে প্রিন্সিপাল ডা. মো. টিটু মিয়া বলেন, এটা পুরো দেশের চিত্র বহন করে না। কারণ, এই গবেষণা করা হয়েছে একটি বিশেষ শ্রেণির ওপর। তবে, ৩০৮ জনের এই স্যাম্পল সাইজ কিন্তু একেবারে কম না। এটা থেকে আমরা মোটামুটি একটা ধারণা পেতে পারি। পুরোপুরি নিশ্চিত হতে হলে আরও বড় পরিসরে গবেষণা করা প্রয়োজন আছে।
এর আগে, ব্রিটিশ ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি অ্যাস্ট্রাজেনেকাকে সঙ্গে নিয়ে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় যে টিকা তৈরি করেছে, তা ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে অধিকাংশ অংশগ্রহণকারীকে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে কার্যকর সুরক্ষা দিতে পেরেছে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা।
অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি জানিয়েছে, তৃতীয় ধাপের ট্রায়ালে এ টিকার দুই ধরনের ডোজের তথ্য বিশ্লেষণে একটিতে ৯০ শতাংশ এবং অন্যটিতে ৬২ শতাংশ কার্যকারিতা দেখা গেছে। অর্থাৎ, গড়ে ৭০ শতাংশ ক্ষেত্রে এ টিকা কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে। তবে ডোজের মাত্রা পরিবর্তন করে দিলে তা ৯০ শতাংশ পর্যন্ত কার্যকর হতে পারে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।