Inqilab Logo

রোববার, ১৬ জুন ২০২৪, ০২ আষাঢ় ১৪৩১, ০৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

সউদী আরবের ৮৬তম জাতীয় দিবস উদযাপিত

প্রকাশের সময় : ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : যথাযোগ্য মর্যাদায় সউদী আরবের ৮৬তম জাতীয় দিবস উদযাপিত হয়েছে। রাজধানীর একটি হোটেলে এ উপলক্ষে গতকাল সন্ধ্যায় সউদী দূতাবাসের উদ্যোগে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে আগত অতিথিদের অভ্যর্থনা জানান, সউদী রাষ্ট্রদূত আব্দুল্লাহ এইচ এম আল-মুতাইরি।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের শুরুতে সউদী আরব এবং বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত গাওয়া হয়। এরপর সন্ধ্যা ৭টার দিকে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কেক কেটে অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিকতা শুরু করেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রেসিডেন্ট এইচ এম এরশাদ, ধর্ম মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বি এইচ হারুন এমপি, বিজেপির চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ, জামায়াতের নায়েবে আমীর অধ্যাপক মজিবুর রহমানসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, সামরিক-বেসামরিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক, সাংবাদিক এবং ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, আব্দুল আযীয বিন আব্দুর রহমান বিন ফয়সাল আল সাউদ ১৯০২ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৯৫৩ খ্রিস্টাব্দের ৯ নভেম্বর পর্যন্ত সুদীর্ঘ ৫৪ বছর শাসন কার্য পরিচালনা করেন। তিনি ১৯২৭ খ্রিস্টাব্দের ২০ মে শাসক হিসাবে স্বীকৃতি লাভ করেন এবং তাঁর শাসনামলেই ১৯৩২ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর সব গোত্র ও প্রদেশসমূহ একত্রীকরণ করা হয়। সে জন্য প্রতি বছর ২৩ সেপ্টেম্বরই সউদী আরবের জাতীয় দিবস উদযাপন করা হয়। সউদী আরবের বর্তমান বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আযীয।
সউদী-বাংলাদেশ সম্পর্ক বিষয়ে যা বলতে হয়, তা হলো এই সম্পর্কটি দৃঢ় ও চমৎকার। বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের পরবর্তী কয়েক বছরের মধ্যেই সউদী আরব স্বাধীন ও সার্বভৌম ভূখ- হিসেবে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান করে। ১৯৭৪ সালে পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত ওআইসি’র দ্বিতীয় শীর্ষ সম্মেলনে তৎকালীন সউদী আরবের বাদশাহ ফয়সাল বিন আব্দুল আযীয (রহ.)-এর সাথে বাংলাদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাক্ষাৎ এবং বাংলাদেশের ওআইসির সদস্য হওয়ার মাধ্যমে সউদী আরবের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্কের গভীরতা বাড়তে থাকে। পরবর্তী বছর ১৯৭৫ সালে সউদী আরব বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান করে। এরপর থেকেই আনুষ্ঠানিকভাবে সউদী আরবের সাথে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয় এবং পরবর্তী সময়ে এই সম্পর্ক বহুমাত্রিকতা লাভ করে।
সউদী আরব স্বাধীনতার পর থেকেই বাংলাদেশের সকল দল, নেতা ও সরকারের সাথে সম্পর্ক রেখেছে। সউদী আরবের প্রতিটি সেক্টরে বর্তমানে ২৫ লক্ষের অধিক বাংলাদেশী কাজ করছে। তারা উন্নয়ন ও দেশ গঠনের অংশীদার। এখনও সউদী আরব অনেক শ্রমিক আমদানী করছে। ইতোমধ্যেই সউদী বাদশাহ অবৈধ বাংলাদেশী শ্রমিকদের বৈধ করার রাষ্ট্রীয় ফরমান জারি করেছেন এবং কফিল পরিবর্তনের সুযোগ প্রদান করেছেন। এ বছরই সউদী-বাংলাদেশ যৌথ কমিটির বৈঠক শীঘ্রই অনুষ্ঠিত হবে যা দুদেশের সকল ক্ষেত্রে সম্পর্ক উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সউদী আরবের ৮৬তম জাতীয় দিবস উদযাপিত
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ