পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কোহিনূর বেগম হত্যা মামলায় স্বামী মোস্তফা সরদারকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারিক আদালত তাকে মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত করেছিল। মোস্তফার আপিলের শুনানি শেষে গতকাল বিচারপতি এসএম এমদাদুল হক ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চ উপরোক্ত আদেশ দেন। মোস্তফার পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির ও মোহাম্মদ নোয়াব আলী। সরকারপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হারুনুর রশিদ।
অ্যাডভোকেট শিশির মনির জানান, সব বিষয় বিচার বিশ্লেষণ এবং চিকিৎসা সনদপত্র অনুসারে কোহিনূর আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রতীয়মান হয়। তাই তার স্বামী মোস্তফা সরদার খালাস পেয়েছেন।
প্রসঙ্গত : স্ত্রী কোহিনূর বেগমকে হত্যার দায়ে ২০১৫ সালের ৮ অক্টোবর বরিশালের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়েরা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক আদীব আলী মোস্তফা সরদারকে মৃত্যুদন্ড দেন। দন্ডপ্রাপ্ত মোস্তফা সরদার বরিশালের গৌরনদী উপজেলার কসবা এলাকার মরহুম হাতেম আলী সরদারের পুত্র। আইন অনুযায়ী এ মৃত্যুদন্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পাঠানো হয়। পরে আসামিও আপিল করেন।
এর আগে গৌরনদী উপজেলার কসবা এলাকার বাসিন্দা আসমত আলী সরদারের মেয়ে কোহিনূর বেগমের সঙ্গে একই এলাকার বাসিন্দা হাতেম আলী সরদারের ছেলে মোস্তফা সরদারের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে ২ ছেলে ও ১ মেয়ে রয়েছে। ঘটনার দুই মাস আগে মোস্তফা সরদার একই এলাকার লাল মিয়ার স্ত্রী বুলু বেগমকে বিয়ে করেন। এ নিয়ে মোস্তফা সরদার ও কোহিনূর বেগমের মধ্যে পারিবারিককলহ দেখা দেয়। এ বিয়ের পর থেকে কোহিনূরকে প্রায়ই মারধর করতেন মোস্তফা। ২০১০ সালে কোহিনূর বেগমের বাবা আসমত আলী সরদার পার্শ্ববর্তী বাসিন্দা সরোয়ার পাইকের স্ত্রী হাসি বেগমের মাধ্যমে জানতে পারেন, তার মেয়েকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এ ঘটনায় তিনি ও স্বজনরা অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাকে কোথাও পায়নি। পরে একই বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি মোস্তফা সরদারের চৌচালা ঘরের মাচার আঁড়ার সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় কোহিনূরের লাশ উদ্ধার করেন। বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ হলে তিনি ওইদিনই বাদী হয়ে পরিকল্পিত হত্যার অভিযোগে ৫ জনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। একই বছরের ৩১ মে তিনজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেয় পুলিশ। চার্জশিটের ভিত্তিতে ২০১৫ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি বিচারিক আদালত অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মোস্তফা দ্বিতীয় স্ত্রী বুলু বেগম ও তার আগের স্বামী লাল মিয়াকে খালাস দেন। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় মোস্তফা সরদারকে মৃত্যুদন্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে আদালত। এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন মোস্তফা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।