Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বাজারে লকডাউন আতঙ্ক

ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৭ জুন, ২০২১, ১২:০০ এএম

করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে সরকার ঘোষিত ‘কঠোর লকডাউন’ শুরুর আগেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে নিত্যপণ্যের বাজার। চাল-ডাল-তেলসহ প্রায় সব ধরনের পণ্যের দাম বাড়তি। তারপরে ক্রেতাদের কমতি নেই রাজধানীর বাজারগুলোতে। গতকাল রাজধানীর বেশিরভাগ বাজারে এমনই চিত্র দেখা গেছে। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কঠোর লক ডাউনের খবর গত শুক্রবার ঘোষণা দেয়া হয়। এর পরই বাজারের চিত্র পালটাতে থাকে। মাত্র একদিনের ব্যবধানে প্রতিটি পণ্যের দাম কেজিতে পাঁচ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে গেছে।

বিক্রেতারা বলছেন, দুই কারণে নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে। এক. ‘কঠোর লকডাউন’ ঘোষণা হওয়ায় তার প্রভাব পড়েছে। দুই. ঢাকার বাইরে থেকে পণ্য সরবরাহ স্বাভাবিকের চেয়ে কমে গেছে। এ ব্যাপারে রায়সাহেব বাজারের ব্যবসায়ী বাতেন মিয়া জানান, লকডাউনের ঘোষণায় পণ্যের দাম ও বিক্রি দুইটাই বেড়েছে। তবে যেভাবে বলা হচ্ছে সেভাবে পণ্যের দাম বাড়েনি। তিনি বলেন, যেটুকু বেড়েছে তা সরবরাহ কম থাকার জন্য।
অপরদিকে ক্রেতারা বলছেন, ‘কঠোর লকডাউন’ ঘোষণা করায় ব্যবসায়ীরা সুযোগ বুঝে পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। চাহিদা হঠাৎ করেই বেড়ে যাওয়ায় এমটি করছেন তারা।
নয়াবাজারের ক্রেতা ফিরোজা বেগম জানান, কাঁচামালের সবকিছুর দাম বেড়েছে। লকডাউনে বাড়ি থেকে বের হতে মানা, তাই আগে ভাগে কিছু কেনাকাটা করার জন্য বাজারে এসেছি। তবে বাজারে সব কিছুর দাম আগের দিনের চেয়ে বেড়েছে। তিনি বলেন, আগের দিন (শুক্রবার) কাঁচা মরিচ ছিল ৩০ টাকা কেজি আজ (শনিবার) তা ৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি করছে। ধনেপাতা ১০০ গ্রাম ২০ টাকা ছিল সেটাও ১০ টাকা বেড়ে ৩০ টাকা হয়েছে। এভাবে সব জিনিসের দাম বেশি বেশি বলছেন বিক্রেতারা। তিনি বলেন, এভাবে দাম বাড়ালে আমরা কই যাবো বলেন দেখি। কি এমন হলে যে এক দিনের ব্যবধানে সব জিনিসের দাম বাড়াতে হবে। এটা আসলে ব্যবসায়ীদের কারসাজি বলে মন্তব্য করেন ফিরোজা।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দাম বেড়ে প্রতি কেজি ঢেঁড়স ৪০ টাকা, বেগুন (লম্বা) ৬০ টাকা, কালো বেগুন ৬০ টাকা, সাদা বেগুন ৫০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, বরবটি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। এছাড়া প্রতিকেজি শশা ৬০ টাকা, টমেটো ১০০ টাকা, গাজর ১০০ টাকা এবং আলু ৩০ টাকায় এবং লাউ প্রতিপিস ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ব্রয়লার ১৭০ টাকা, গরু ৬০০ টাকা, লেয়ার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৭০ টাকায়। আর সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৬০ টাকায়। মাছের বাজারে রুই, কাতল, শিং, মাগুর, পাবদা, চিংড়িসহ সব ধরনের মাছের দাম শুক্রবারের তুলনায় কেজিতে ১০ টাকা থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। তবে মসলার বাজার স্থিতিশীল রয়েছে। এলাচ ২৮০০ থেকে চার হাজার টাকা, দারুচিনি ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা, আদা ১৪০, রসুন ৭০ থেকে ১৩০ টাকা, পেঁয়াজ ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: লকডাউন আতঙ্ক
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ