Inqilab Logo

শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪৩১, ২৮ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

পার্শ্ববর্তী দেশগুলো থেকে পাচার হয়ে মাদক ঢুকছে

আলোচনা অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ভারত-মিয়ানমারের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৭ জুন, ২০২১, ১২:০০ এএম

বাংলাদেশে মাদক উৎপাদন হয় না জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, পার্শ্ববর্তী দেশগুলো থেকে পাচার হয়ে মাদক ঢুকছে। কিছু কুচক্রী মহল দেশে মাদকের বাজার তৈরি ও বিস্তারের পাঁয়তারা করে আসছে। এই মাদক পাচার রোধে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি হয়েছে। গতকাল শনিবার মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস-২০২১ উপলক্ষে ভার্চুয়ালি এক আলোচনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। অনলাইন জুম মিটিংয়ে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর।

তিনি আরো বলেন, মাদকের পাচার একটি বৈশ্বিক সমস্যা। এ সমস্যার কারণে বাংলাদেশ চরম হুমকির মুখে পড়েছে। মাদকের কুচক্রীদের বিরুদ্ধে সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে দুর্বার সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। এসব কুচক্রীদের বিরুদ্ধে দুর্বার সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে যেমন আমরা জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ঘুরে দাঁড়িয়েছি, জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করে সম্পূর্ণ দমন করতে না পারলেও নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছি। ঠিক তেমনি মাদকের বিরুদ্ধে সমাজের সবাইকে নিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে হবে। জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করে মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে হবে। তবেই মাদক নির্মূলের মাধ্যমে সুন্দর সমাজ গড়া সম্ভব।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, একটা সময় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর ঠুঁটো জগন্নাথ হিসেবে ছিল। তখন এর কিছুই ছিল না। প্রাধনমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় এ অধিদফতরে বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয় তৈরি করে জনবল নিয়োগ, একটি সুন্দর কর্মপরিকল্পনা, অবকাঠামো করে এবং বিভিন্ন সাপোর্ট দিয়ে এর গতি বাড়ানো হয়েছে। এখন এ অধিদফতরটি মাদক নিয়ন্ত্রণে দক্ষতার সঙ্গে কাজ করছে। আমরা ইয়াবা, ফেনসিডিল, হেরোইনসহ অন্যান্য মাদক সম্পর্কে জানি। কিন্তু বর্তমানে নতুন নতুন মাদকের আবির্ভাব হচ্ছে। এ বিষয়ে আমাদের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর মাঠে নজররদারি করছে।
নিরাময় কেন্দ্র প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রাজধানীর তেজগাঁওয়ে সরকারি ব্যবস্থাপনায় মাদক নিরাময় ও পুর্নবাসন কেন্দ্র রয়েছে। আগে একটি অচল ছিল। পরে ৫০ শয্যাবিশিষ্ট করা হয়েছে। এখন এটি ১৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়েছে। আমরা প্রতিটি বিভাগে ও জেলায় একটি করে মাদক নিরাময় কেন্দ্র তৈরির বিষয়ে কাজ করছি। আমরা ডোপ টেস্ট কার্যক্রম শুরু করেছি। ইতোমধ্যে সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে এটি চলমান। পর্যায়ক্রমে এটি সব পর্যায়ে চলবে। আপাতত এটি বেসরকারি কোনো প্রতিষ্ঠানের হাতে দিচ্ছি না।
সর্বস্তরে ডোপ টেস্টে জরুরি উল্লেখ করে তিনি বলেন, শিক্ষাজীবন থেকে শুরু করে চাকরিজীবনে চাকরিতে প্রবেশের শুরুতে সর্বক্ষেত্রে যদি ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক করা হয়, তবে মাদকের আগ্রাসন কমে যাবে। ডোপ টেস্ট এর দুটি প্রস্তাব আমি দিয়েছিলাম। ডোপ টেস্টের একটি কর্তৃপক্ষ তৈরি করতে পারলে ভালো হবে। নয়তো ডোপ টেস্ট কে করবে? এজন্য বাংলাদেশ ড্রাগ টেস্টিং ইনস্টিটিউট অথবা বাংলাদেশ ড্রাগ টেস্টিং অথোরিটিকে এ দুটি প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।
অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. শামসুল হক টুকু বলেন, ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে বৈশ্বিক মাদক কারবারি চক্রগুলো বাংলাদেশে মাদকের বাজার তৈরি করতে পাঁয়তারা করছে। যে কারণে দেশে মাদক পাচার হয়ে আসছে। দেশের সীমান্তে ও অভ্যন্তরে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মাদক প্রতিরোধে কাজ করছে। আমরাও সৈনিক হিসেবে মাদকের বিরুদ্ধে চেষ্টা করছি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মাদক উৎপাদন
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ