পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান স্বাধীনতা পুরস্কার। সেই স্বাধীনতার পুরস্কারের আদলে এবার মুক্তিযুদ্ধ পদক নীতিমালা করতে যাচ্ছে সরকার। এ খসড়া জাতীয় পুরস্কার সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদনের জন্য সার-সংরেক্ষপ মন্ত্রিসভায় পাঠিয়েছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। গত ২৫ মে মন্ত্রণালয়ের সচিব তপন কান্তি ঘোষ স্বাক্ষরিত সার-সংরেক্ষপ পাঠানো হয়।
সার-সংরেক্ষপে বলা হয়, ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে অগণিত মানুষের জীবন উৎসর্গ ও চরম আত্মত্যাগের মাধ্যমে আমাদের পর প্রাপ্তি হলো বাংলাদেশের স্বাধীনতা। পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকের শোষণ ও নিপীড়ন থেকে জাতিসত্তা রক্ষা, আর্থ-সামাজিক,সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক অস্তিত্ব পুনরুদ্ধারে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়া বাঙালি জাতি। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের অসাধারণ রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, অদম্য সাহস আর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে দেশের সর্বস্তরের মানুষ বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যরা, রাজনীতিবিদ, শিক্ষক, সাহিত্যিক, সাংবাদিকসহ, কৃষক, শ্রমিক, ছাত্র-জনতাসবাই মুক্তির মহামন্ত্রে উদ্ধুদ্ধ হয়ে প্রাণের মায়া ত্যাগ করে অংশগ্রহণ করেন মহান মুক্তিযুদ্ধে।
স্বাধীনতার পর ৫০ বছর অতিক্রান্ত হতে চলছে। ২০২১ সালে আমরা পালন করেছি স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী। অনেক কিংবদন্তি মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক যা মুক্তিযোদ্ধা আজ বেঁচে নেই। এছাড়া স্বাধীনতা সংগ্রামকে সংগঠিত করা ও সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ এবং যুদ্ধ পরবর্তী স্বাধীন দেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে অনেক ব্যক্তি এবং সংগঠন ভূমিকা রেখেছে এবং এখনও সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণ এবং চেতনা বিকাশে দেশের সাহিত্যিক, সংস্কৃতিসেবী, সমাজসেবক এবং গবেষকরা নানাভাবে অবদান রেখেছেন এবং নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এ সকল ব্যক্তি ও সংগঠন/সংস্থার অবদানকে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে স্বীকৃতি প্রদান করা হলে তারা সম্মানিত ও অনুপ্রাণিত বোধ করবেন, তাদের কর্মের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আরও বিকশিত হবে এবং মুক্তিযুদ্ধের অর্জন পূর্ণতা পাবে। এ উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর প্রাক্কালে সরকার এসকল বরেণ্য ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে পর্যাক্রমিকভাবে সম্মানিত ও উৎসাহিত করার জন্য মুক্তিযুদ্ধ পদক প্রবর্তনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছে। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের নিমিত্ত গঠিত মন্ত্রিসভা কমিটি কর্তৃক সুপারিশকৃত মুক্তিযুদ্ধ পদক প্রবর্তনের সিদ্ধান্ত প্রধানমন্ত্রীর সানুগ্রহ অনুমোদন করছেন।
মুক্তিযুদ্ধপদক প্রবর্তনের উদ্দেশ্যে বলা হয়, মুক্তিযুদ্ধ পদক নীতিমালা-২০২১ প্রণয়নের লক্ষে এ মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব (পরিকল্পনা) কে আহ্বায়ক করে একটি কমিটি গঠন করা হয়। গঠিত কমিটির প্রণীত খসড়া নীতিমালা চূড়ান্তকরণের লক্ষে গত ২১ মার্চ মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন মন্ত্রণালয়ের সচিব তপন কান্তি ঘোষ। এ নীতিমালার আলোকে ৭টি ক্যাটেগরিতে ব্যক্তি/ সংস্থা/ প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে মুক্তিযুদ্ধ পদক প্রদান করা হবে মর্মে প্রস্তাব করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।