পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের ভারতীয় ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের উত্থান সরকারগুলোকে আরও উদ্বেগে ফেলে দিয়েছে। কারণ তারা সংক্রমণের আরও একটি ঢেউ এবং এর ফলে অর্থনৈতিক কর্মকান্ড পুনরায় খোলার পরিকল্পনার আরও বিলম্ব হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন। বুধবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডবিøউএইচও) জানিয়েছে যে, বিশ্বের ৮৫ টি দেশে এই রূপটি চিহ্নিত করা হয়েছে। সংস্থাটি উদ্বেগজনক চারটি ভ্যারিয়েন্টের মধ্যে একটি হিসাবে এটি পর্যবেক্ষণ করে চলেছে।
ডবিøউএইচও আশঙ্কা প্রকাশ করেছে এভাবে সংক্রমণ বাড়তে থাকলে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট আরও ‘প্রভাবশালী’ হয়ে উঠবে। তাদের প্রকাশিত কোভিড-১৯ সাপ্তাহিক এপিডেমিওলজিক্যাল আপডেটে বলা হয়েছে, বিশ্বব্যাপী ১৭০টি দেশ বা অঞ্চলে করোনার আলফা ভ্যারিয়েন্ট, ১১৯টি দেশে বেটা ভ্যারিয়েন্ট, ৭১টি দেশে গামা ভ্যারিয়েন্ট এবং ৮৫টি দেশে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে। আপডেটে বলা হয়েছে, ডেল্টা- যা এখন বিশ্বব্যাপী ৮৫টি দেশে শনাক্ত হয়েছে এবং নতুন করে অন্যান্য দেশেও রিপোর্ট করা হচ্ছে। এর মধ্যে গত সপ্তাহে ১১টি দেশে শনাক্ত হয়েছে করোনার এই ভ্যারিয়েন্ট। ডবিøউএইচও বলেছে, বর্তমান চারটি ভ্যারিয়েন্টকে ‘উদ্বেগজনক’ হিসেবে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। এগুলো হলো- আলফা, বেটা, গামা এবং ডেল্টা। তারা জানিয়েছে, এর মধ্যে আলফা ভ্যারিয়েন্টের চেয়ে বেশি সংক্রামক ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট। যেভাবে এটি ছড়িয়ে পড়ছে তাতে ভবিষ্যতে ‘প্রভাবশালী’ ভ্যারিয়েন্টে পরিণত হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বর্তমানে, যুক্তরাজ্যের সমস্ত নতুন করোনা শানক্তের মধ্যে ৯০ শতাংশই ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গেছে। ইউরোপীয় সেন্টার ফর ডিজিজ প্রিভেনশন অ্যান্ড কন্ট্রোল (ইসিডিসি) জানিয়েছে যে, আগস্টের মধ্যে ইউরোপে ৯০ শতাংশ করোনা সংক্রমণের জন্য এই রূপটি দায়ী থাকবে। যুক্তরাষ্ট্রে ডেল্টা এখনও তেমন ভয়ঙ্কর রূপে দেখা না গেলেও এর উপস্থিতিও বাড়ছে। মে মাসের শুরুর দিকে, সেখানে এটি নতুন আক্রান্তের ১ দশমিক ৩ শতাংশ বলে অনুমান করা হয়েছিল। এই পরিমাণটি এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ দশমিক ৬ শতাংশে।
তবে সম্পূর্ণরূপে টিকা পাওয়া ব্যক্তিদের জন্য ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট কম উদ্বেগের বলে মনে করা হচ্ছে। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, ফাইজার এবং অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিন উভয়ই ডেল্টা ভেরিয়েন্ট প্রতিরোধে অত্যন্ত কার্যকর। যুক্তরাষ্ট্রে ভ্যাকসিনের প্রতি আস্থা এতটাই বেশি যে রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রের পরিচালক রোচেল ওয়ালেন্সকি কোভিড-১৯ এর মৃত্যুকে ‘এই মুহূর্তে সম্পূর্ণরূপে প্রতিরোধযোগ্য’ বলে অভিহিত করেছেন। তবে এতে বিশ্বের দরিদ্র দেশগুলো আশ্বস্ত হতে পারছে না। তাদের কোনওরকম সুরক্ষা নেই; স্বল্প-আয়ের দেশগুলোর ৯৯ শতাংশ নাগরিকই এখনও ভ্যাকসিন পাননি। এর ফলে আগামী মাসগুলোতে ইতিমধ্যে চিহ্নিত হওয়া করোনার ১১ টিরও বেশি ভ্যারিয়েন্টের সাথে আরও নতুন কয়েকটি যুক্ত হওয়ার আশঙ্কা বাড়ছে। সূত্র : ফরেন পলিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।