প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী মো. ইমরান আহমদ বলেছেন, বিদেশগামী কর্মীদের করোনা টিকা প্রাপ্তিতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। প্রবাসী কর্মীদের জন্য ফাইজার ভ্যাকসিন পাওয়া গেলে ফলাও করে প্রচার করা হবে। প্রবাসী মন্ত্রী বলেন, ধনী দেশগুলো করোনার টিকা নিয়ে রাজনীতি করছে। বিদেশগামী কর্মীদের করোনা টিকা গ্রহণে নিবন্ধন করতে এন আই ডি লাগবে না। প্রবাসী মন্ত্রী বলেন, পাসপোর্ট ও বিএমইটি’র নিবন্ধন কার্ড দিয়েই টিকা গ্রহণের নিবন্ধন করা যাবে। আগামী সপ্তাহের মধ্যেই এন আই ডি’ ব্যতীত বিদেশগামীদের টিকার নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু করা যাবে।

মন্ত্রী বলেন, প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে করোনা টিকা দেয়া বা নিবন্ধন করার কোনো সুযোগ নেই। বি-বাড়িয়া হাসপাতালের সিভিল সার্জন ডা: একরাম উল্লাহ প্রবাসী মন্ত্রণালয় থেকে বিদেশগামী কর্মীদের করোনা টিকার রেজিষ্ট্রেশন করার যে সার্কুলার জারি করেছেন তা’ মিথ্যা ও বানোয়াট। এ ধরণের সার্কুলার জারি করার এখতিয়ার বি-বাড়িয়ার সিভিল সার্জনের নেই। এতে বিদেশগামী কর্মীরা বিভ্রান্ত হয়ে প্রবাসী ভবনে জড়ো হয়ে হয়রানির শিকার হচ্ছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দ্বিতীয় তলায় ব্রিফিং সেন্টারে ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের উদ্যোগে সউদীতে হোটেল কোয়ারেন্টিনের খরচের ভর্তুকির ২৫ হাজার টাকার চেক বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রবাসী মন্ত্রী ইমরান আহমদ এসব কথা বলেন। ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক মো. হামিদুর রহমানের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, প্রবাসী সচিব ড. আহমদ মনিরুছ সালেহীন। আরো বক্তব্য রাখেন, বিএমইটির মহাপরিচালক মো. শহিদুল আলম, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের এমডি জাহিদুল হক ও আরিফ আহমেদ।

এছাড়া সকালে করোনা টিকার দাবিতে বিভিন্ন জেলা থেকে শত শত বিদেশগামী কর্মী প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেন। পরে প্রবাসী সচিব ড. আহমদ মনিরুছ সালেহীন ও বিএমইডি’র ডিজি মো. শহিদুল আলম আগত বিদেশগামী কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, এন আই ডি ছাড়াই শুধু পাসপোর্ট ও স্মার্ট কার্ড দিয়েই আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে করোনা টিকা নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু করা যাবে। বিদেশগামী কর্মীদের করোনা টিকা প্রদানের জন্য সরকারের উচ্চ পর্যায়ে জোর প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। এসময়ে বিদেশগামী কর্মীরা করোনা টিকার দাবিতে শ্লোগান দিতে থাকেন। এর আগে প্রবাসী মন্ত্রী বিদেশগামী কর্মীদের আত্মীয় স্বজনের হাতে ২৫ হাজার টাকার চেক হস্তান্তর করেন। ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক হামিদুর রহমান বলেন, এ যাবত ৯ হাজার ৯শ’ সউদীগামী কর্মীর ফরম জমা পড়েছে। হোটেল কোয়ারেন্টিনের ভর্তুকির আবেদন যাচাই-বাছাই করায় চেক বিতরণে বিলম্ব হচ্ছে।