পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ফরিদপুর জেলা সংবাদদাতা : কন্যা শিশু জন্মের পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। পরে একটি কার্টনের মধ্যে ভরে সারারাত গোরস্থানের একটি কক্ষে রাখা হয়। সকালে তাকে দাফনের পূর্ব মুহূর্তে ইমাম মাওলানা কাজী আব্দুর রব দেখতে চান মুখটি কেবলামুখী রয়েছে কি-না। কার্টন খোলার পর দেখেন নড়ছে শিশুটি। গত বুধবার দিবাগত রাতে শহরের বিশেষায়িত শিশু হাসপাতাল ডা. জাহেদ মেমোরিয়াল শিশু হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটেছে। শিশুটির চিকিৎসকের নাম ডা. রিজিয়া আলম।
শহরের কমলাপুর নিবাসী ও ফরিদপুরের জেলা আনসার ও ভিডিপি অফিসের উচ্চমান সহকারী মো: আবুল কালাম জানান, পুত্রবধূ অ্যাডভোকেট নাজনীন আক্তারকে (২৩) প্রস্রব বেদনা উঠায় বুধবার দিবাগত রাতে তাকে প্রথমে শহরের আরোগ্য সদনে ও পরে রাত ১১টার দিকে শিশু হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তবে সিট না থাকায় তাকে দেখতে চাননি চিকিৎসক। এরপর হাসপাতালের ডক্টরস রুমের বেডেই রাত আড়াইটার দিকে শিশুটি ভুমিষ্ঠ হয়। এরপর ডা. রিজিয়া আলম শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করে একটি কার্টন এনে নিয়ে যেতে বলেন। কথা মতো তিনি একটি কার্টন এনে নাতিকে নিয়ে শহরের আলিপুর কবরস্থানে যান। সেখানে তখন দাফনের ব্যবস্থা না হওয়ায় সকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করলে তাকে জীবিত পাওয়া যায়।
সকালে খবর পেয়ে শিশু হাসপাতালে গেলে দেখা যায়, নার্সরা ব্যস্ত শিশুটিকে নিয়ে। তারা শিশুটিকে সুস্থ করে তোলার চেষ্টা চালাচ্ছেন। সারারাত কার্টনে বদ্ধ শিশুটি কোন ইনসেনটিভ কেয়ারে রাখা ছিল না। একটি সাধারণ বেডের উপর নার্সদেরকে দেখা গেছে তার চিকিৎসা করাতে।
এ ব্যাপারে ডা. রিজিয়া আলমের সাথে যোগাযোগ করা হলেও তিনি বলেন, জন্মের পর বাচ্চাটি কান্নাকাটি করেনি। পালসও পাইনি। এজন্য বলেছিলাম বাচ্চাটিকে নিয়ে যান। এটি একটি অলৌকিক ব্যাপার বলে তিনি জানান।
হাসপাতাল পরিচালনা কমিটি সদস্য সালাউদ্দিন ফরিদ বলেন, এ ঘটনায় আমরা জরুরী সভায় মিলিত হয়ে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করব। এক্ষেত্রে কোনো অবহেলার প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।