পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : পবিত্র হজ পালন করে দেশে ফিরেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। গতকাল বিকাল ৫টা ১০ মিনিটে অ্যামিরাটস এয়ারলাইন্সের বিমানে তিনি ঢাকায় হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান।
পুলিশের বাধা ও কড়াকড়ির মধ্যেও মুহুর্মুহু করতালি আর ম্লোগান দিয়ে দলীয় প্রধানকে স্বাগত জানিয়েছেন বিএনপির হাজার হাজার নেতা-কর্মী। এদিকে বিমানবন্দর থেকে গুলশানের বাসায় ফেরার সময় ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। যানজটের কারণে খালেদা জিয়াকে বহন করা গাড়ি চলছিল থেমে থেমে। বিমানবন্দরের বাইরে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস-চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, মোহাম্মদ শাহজাহান, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, এজেডএম জাহিদ হোসেন, নিতাই রায় চৌধুরী, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আব্দুল কাইয়ুম, যুগ্ম মহাসচিব মজিবুর রহমান সারোয়ার, খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসাইন, সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নাসিম, ব্যারিস্টার আমীনুল ইসলাম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, শহিদুল ইসলাম বাবুল, সহ-তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক কাদের গনি চৌধুরী, মহিলা দলের সভানেত্রী নুরে আরা সাফা, সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা, নির্বাহী কমিটির সদস্য চৌধুরী আব্দুল্লাহ ফারুক, রাজীব আহসান, শ্রমিক দলের প্রচার সম্পাদক মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জুসহ কয়েক হাজার নেতাকর্মী সড়কের দুই পাশে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে খালেদা জিয়াকে শুভেচ্ছা ও স্বাগত জানায়।
বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জের সড়কের বাইরে কিছু নেতা পুলিশের ব্যারিকেডের মধ্যে দাঁড়িয়ে বিএনপি চেয়ারপার্সনকে শুভেচ্ছা জানান। তবে বিমানবন্দরের গোল চত্বর থেকে খিলক্ষেত পর্যন্ত সড়কের বাঁ পাশে হাজার হাজার নেতাকর্মী খালেদা জিয়াকে মুহুর্মুহু করতালি ও স্লোগান দিয়ে শুভেচ্ছা-স্বাগত জানান।
বিমানবন্দরের প্রবেশপথে পুলিশের ব্যারিকেড সৃষ্টির সমালোচনা করে মির্জা আব্বাস বলেন, বিএনপি একটি বৃহৎ গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল। তার নেত্রীকে দেশবাসী চেনেন, সরকারও চিনে, তারপরও সরকার আজকে যেভাবে বাধা দেখালো এটা কোনো রাজনৈতিক শিষ্টাচারের মধ্যে পড়ে না। আমরা কখনো সরকারের কাছ থেকে সম্মানজনক ব্যবহার পাইনি, এটা দুঃখজনক।
বিএনপি চেয়ারপার্সনের আগমন উপলক্ষে বিমানবন্দরে প্রবেশপথে বিকাল থেকে কড়াকড়ি করা হয়। তার গাড়িবহর বিমানবন্দর থেকে গুলশানের দিকে যাওয়ার সময়ে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। বিকাল ৪টা থেকে নেতা-কর্মীরা সমবেত হতে থাকে। নেতা-কর্মীদের প্রবেশ করতে দেয়নি পুলিশ। বিমানবন্দরে গাড়ি প্রবেশে কড়াকড়িতে দীর্ঘ লাইনের সৃষ্টি হয়। তবে দলের মহাসচিবসহ কিছু সিনিয়র নেতাকে বিমানবন্দরের ভিআইপি সড়কের মোড়ে পুলিশ প্রবেশ করতে দেয়।
বেগম খালেদা জিয়ার গাড়িবহর বিকাল ৫টা ১৭ মিনিটে ভিআইপি সড়ক দিয়ে গোল চত্বরে এলে হাজার নেতা-কর্মী তুমুল করতালি দিয়ে তাদের নেত্রীকে শুভেচ্ছা জানান। ব্যাপক নেতা-কর্মীর উপস্থিতিতে বিমানবন্দরের গোল চত্বর থেকে বনানী পর্যন্ত সড়কে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়।
বেগম খালেদা জিয়ার গাড়ি বনানীর কাকলী দিয়ে সন্ধ্যা ৬টায় পৌঁছলেও বিমানবন্দরের সড়কে যানবাহন থেমে থেমে চলছিল। নেতা-কর্মীদের ফুটপাত দিয়ে দলবেঁধে হেঁটে যেতে দেখা যায়।
বিএনপি চেয়ারপার্সনের সঙ্গে একান্ত সচিব আব্দুস সাত্তার, আলোকচিত্রী নুরুউদ্দিন আহমেদ, গৃহকর্মী ফাতেমা বেগমসহ অন্য সফরসঙ্গীরাও হজ করে একই বিমানে দেশে ফিরেছেন।
পবিত্র হজ করার জন্য গত ৮ সেপ্টেম্বর সউদী আরবের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন বেগম খালেদা জিয়া। কাছাকাছি সময় লন্ডন থেকে যাত্রা করে জেদ্দায় তার সঙ্গে মিলিত হন তারেক রহমান, স্ত্রী জোবাইদা রহমান মেয়ে জাইমা রহমান এবং মরহুম আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান সিঁথি।
সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে গ্রেফতার হওয়ার পর জামিনে মুক্ত হয়ে চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যান তারেক রহমান। স্ত্রী-সন্তান নিয়ে যুক্তরাজ্যে অবস্থান করছেন তিনি। সিঁথি দুই মেয়েকে নিয়ে মালয়েশিয়াতে অবস্থান করছেন।
সউদী আরবে বাদশা সউদ বিন আব্দুুল আজিজের দাওয়াতে রাজকীয় অতিথি হিসেবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তার পরিবারের সদস্যরা হজ করেন বলে দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
পবিত্র হজ শেষে গত শনিবার কাবা শরীফে বিদায়ী তাওয়াফ করে বিএনপি চেয়ারপার্সনসহ পরিবারের সদস্যরা জেদ্দা থেকে মদিনায় শরিফে পৌঁছান। এরপর সেখানে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর রওজা জিয়ারত করেন তিনি।
এবার তৃতীয় দফায় হজ করলেন বেগম খালেদা জিয়া। এর আগে ১৯৯১ সালে প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে এবং ১৯৯৭ সালে বিরোধীদলীয় নেতা থাকার সময় তিনি হজ পালন করেন। তবে প্রায় প্রতি বছরই রমজানে সউদী আরব গিয়ে ওমরাহ পালন করেন বিএনপি চেয়ারপার্সন।
তারেক রহমান, তার স্ত্রী জোবাইদা রহমান, মেয়ে জাইমা রহমান এবং কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান সিঁথির এটি প্রথম হজ পালন। ২০১৪ সালে তারা বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে ওমরাহ পালন করেন। ডা. জোবাইদা রহমানের মা ইকবাল মান্দ বানু এবং বোন শাহিনা খান জামান বিন্দু ও তার স্বামী সৈয়দ শফিউজ্জামানও এবার হজ পালন করেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।