পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : ‘প্রিয় প্রেসিডেন্ট ওবামা, সিরিয়ায় অ্যাম্বুলেন্সে বসা সেই ছেলেটির কথা কি মনে আছে? আপনি কি তাকে আনতে যাবেন, নিয়ে আসবেন আমার বাড়িতে? ...আমরা আপনাদের জন্য পতাকা, ফুল ও বেলুন নিয়ে অপেক্ষা করব। আমরা তাকে একটি পরিবার দেব, সে হবে আমাদের ভাই।’
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকে এই চিঠি লিখেছে ছয় বছরের মার্কিন শিশু অ্যালেক্স। চিঠির ‘অ্যাম্বুলেন্সে বসা সেই ছেলেটি’ হলো পাঁচ বছর বয়সী ওমরান দাকনিশ। যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ার আলেপ্পো শহরে গত আগস্টে বিমান হামলায় বিধ্বস্ত একটি ভবন থেকে ওমরানকে উদ্ধার করা হয়। রক্ত ও ধুলো মাখামাখি অবস্থায় অ্যাম্বুলেন্সে বসে ছিল ওমরান। ব্যথায় কান্নাকাটি না করে নিস্পৃহ দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিল সে। এ ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে বিশ্ববাসীকে কাঁদায়। ছবিটি দেখে মর্মাহত লোকজন ক্ষোভে ফেটে পড়েন। মার্কিন শিশু অ্যালেক্স সেই ওমরানকে নিজ বাড়িতে জায়গা দেয়ার জন্য প্রেসিডেন্ট ওবামার কাছে ওই চিঠি লেখে।
চিঠিতে অ্যালেক্স ওমরানকে ভাই হিসেবে পাওয়ার ইচ্ছার কথা জানিয়ে আরও লিখেছে, ‘আমার ছোট বোন ক্যাথেরিন, তার (ওমরান) জন্য প্রজাপতি আর জোনাকি সংগ্রহ করে নিয়ে আসবে। স্কুলে ওমর নামে আমার এক সিরীয় বন্ধু আছে। আমি তাকে (ওমরান) ওমরের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেব। আমরা একসঙ্গে খেলব। আমার জন্মদিনের অনুষ্ঠানে তাকে দাওয়াত দেব। সে আমাদের অন্য একটি ভাষা শেখাবে। আমরাও তাকে ইংরেজি শেখাব। ঠিক আমার জাপানের বন্ধু অটোর মতো। প্লিজ, তাকে বলবেন, অ্যালেক্স তার ভাই হবে, যে ঠিক তার মতোই খুব দয়ালু। সে যেহেতু তার সঙ্গে কোনো খেলনা আনতে পারবে না, কারণ তার কোনো খেলনা নেই। ক্যাথেরিন তার বড় সাদা বানি পুতুল তার সঙ্গে ভাগ করে নেবে। আমি আমার বাইক তার সঙ্গে ভাগ করে নেব। আমি তাকে বাইক চালানো শিখিয়ে দেব। আমি তাকে অঙ্কের যোগ-বিয়োগ করা শেখাব।...আমরা আপনাদের আসার অপেক্ষায় থাকব।’
জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের শরণার্থী সঙ্কট বিষয়ে বক্তব্য দিতে গিয়ে অ্যালেক্সের চিঠির কথা তুলে ধরেন প্রেসিডেন্ট ওবামা। ওবামা বলেন, এই চিঠিটি এক শিশুর কাছ থেকে এসেছে; যে শিশু মানববিদ্বেষী হতে অথবা সন্দেহপ্রবণ হতে বা ভয়ার্ত হতে শেখেনি। তিনি বলেন, ‘আমাদের সবার অ্যালেক্সের চেয়ে বেশি কিছু হওয়া উচিত। যদি আমরা এমন হতাম, তাহলে বিশ্বটা কেমন হতো একবার কল্পনা করুন তো। একবার ভাবুন তো, আমরা কষ্টগুলোকে কত সহজ করে দিতে পারতাম এবং কত জীবন বাঁচাতে পারতাম।’
বারাক ওবামার ভাষণ প্রচারের পর হোয়াইট হাউস অ্যালেক্সের লেখা চিঠিটি তাকে দিয়ে পড়িয়ে একটি ভিডিওচিত্র ধারণ করে। শিশু কণ্ঠে প্রচারিত চিঠিটির প্রতিটি শব্দ মর্মস্পর্শী। হোয়াইট হাউস এই ভিডিও চিত্রটি প্রচারের পর ফেসবুকে শেয়ার হয়েছে ৬০ হাজার বারের বেশি। ভিডিও চিত্রটি প্রচারের পাশাপাশি হোয়াইট হাউস অ্যালেক্সের হাতে লেখা চিঠিটিও প্রকাশ করেছে। সূত্র : বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।