পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
এক ঘন্টার বৃষ্টিতেআবারও ডুবেছে পুরান ঢাকা, যাত্রাবাড়ি, ধানমন্ডি, মতিঝিল এলাকা। গতকাল দুপুরে শুরু হওয়া বৃষ্টিতে মাজেদ সরদার রোড, বাংলাদেশ মাঠ, নাজিরা বাজার চৌরাস্তা ও সিক্কাটুলী এলাকায় জলাবদ্ধতা তৈরি হয়। এতে অনেক দোকানপাট ও বাসা-বাড়ির নিচতলায় পানি ঢুকে যায়। মতিঝিলের গোপিবাগ, শাপলা চত্তর, আরামবাগ, বাংলাদেশ ব্যাংক কলোনীর সামনের রাস্তায় পানি জমে। যে স্থানে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠা হয়েছে সেই হুমায়ুন সাহেবের বাড়ির সামনে প্রায় কোমড় পানি জমেছে। বাড়ির নিচ তলায় পানি ঢুকেনি সামন্যের জন্য। এছাড়া এই এলাকার প্রত্যেকটি রাস্তাই ডুবে যায়। হাটু পানি জমে একাকার অবস্থার সৃষ্টি হয় মীর হাজিরবাগ এলাকায়।
গতকাল সরেজমিনে দেখা যায়, বংশালের বাংলাদেশ মাঠের চারপাশের সড়কে প্রায় হাঁটু পানি জমে রয়েছে। এই পানি ভেঙে চলাচল করছেন পথচারীরা। এর মধ্যে সিক্কাটুলী রাস্তা, নাজিরা বাজার চৌরাস্তা এলাকায় জলাবদ্ধতার পরিমাণ বেশি। তবে এই এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে সাত রওজা চৌরাস্তায় নতুন পাইপলাইন বসাতে দেখা গেছে। বর্ষায় এই খোঁড়াখুঁড়ির কারণে নাগরিকদের চলাচলেও ভোগান্তি পোহাতে দেখা গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, সিটি করপোরেশনের গাফিলতিতে এ জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। একবার এক ঘণ্টা টানা বৃষ্টি হলে সড়কে হাঁটু থেকে কোমর পানি জমে যায়। এতে সড়কে যান চলাচলও বন্ধ হয়ে যায়। এই পানি সরতে এক থেকে দুদিন সময় লেগে যায়। কিন্তু জলাবদ্ধতা নিরসনে সিটি করপোরেশনের তেমন তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না।
মাজেদ সরদার রোডের বাসিন্দা মাহতাব উদ্দিন বলেন, এখন বর্ষা মৌসুমে দুই-একদিন পরপরই বৃষ্টি হচ্ছে। এমন অবস্থায় এক মাসের বেশি সময় ধরে এই এলাকায় জলাবদ্ধতা লেগে আছে। নোংরা পানির কারণে প্রয়োজনেও বাসা থেকে বের হওয়া সম্ভব হয় না। অথচ সিটি করপোরেশনের তেমন কোনো ভূমিকা দেখা যাচ্ছে না।
মীর হাজিরবাগ এলাকার সালেহ মাহমুদ বলেন, সামান্য বৃষ্টিতে হাটুর পানি জমে গেছে। সিটি করপোরেশনের আশ্বাসে মানুষ আর বিশ্বাস করে না। একই এলাকার আব্দুল আলিম মিন্টু বলেন, আমি সিটি করপোরেশনকে কোনো দোষ দেই না। মানুষ বুঝে না বুঝে ড্রেনে ময়লা, প্লাস্টিক ফালায়। এখন নিজেরাই কষ্ট করছে।
বংশালের বাসিন্দা আইয়ুব মিয়া বলেন, এই এলাকা সিটি করপোরেশনের অনেক কাছের। কিন্তু এই এলাকার পানিবদ্ধতা নিরসনে সংস্থাটির কোনো মাথাব্যথা নেই। এখন নাগরিকদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এতে এই এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে গেছে।
বংশাল থানা এলাকা ডিএসসিসির ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের আওতাধীন। স্থানীয় কাউন্সিলর আউয়াল হোসেন বলেন, পানিবদ্ধতার কারণে তার ওয়ার্ডের বাসিন্দারা অতিষ্ঠ। প্রতিদিনই বাসিন্দারা মুঠোফোনে কল দিয়ে এ বিষয়ে অভিযোগ করেন। বিষয়টি ডিএসসিসির সংশ্লিষ্টদের জানানো হয়েছে। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই আমার ওয়ার্ডে জলাবদ্ধতা লেগে আছে। ড্রেনগুলো নিয়মিত পরিষ্কার করা হয়নি। এখন বৃষ্টির পানি সরতে পারে না।
ধানমন্ডির পানিবদ্ধতার বিষয়ে মোহাম্মদ ইব্রাহিম বলেন, অল্প বৃষ্টিতেই ধানমন্ডির মতো এলাকা ডুবে যায় যা খুবই দুঃখজনক। শহরের উন্নতি হচ্ছে না, বরং অবনতি হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।