পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় কোমল পানীয় কোম্পানি কোকা-কোলা বাংলাদেশ কেবলমাত্র ২০১৯ সালেই এ দেশের অর্থনীতিতে প্রায় ১২ দশমিক ২ বিলিয়ন টাকার অবদান রেখেছে। প্রতিষ্ঠানটির আর্থ-সামাজিক প্রভাব বা সোসিও-ইকোনমিক ইমপ্যাক্ট অ্যাসেসমেন্ট (এসইআইএ) রিপোর্টে এই তথ্য উঠে এসেছে। ২০১৯ সালে কোকা-কোলা বাংলাদেশ সিস্টেমের মাধ্যমে গৃহস্থালী, ব্যবসায়ীক ও সরকারি আয়ে যুক্ত হওয়া এই আর্থিক অবদানের পরিমাণটি বাংলাদেশের মোট জিডিপির প্রায় শূন্য দশমিক ১১ শতাংশের সমান, যা দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। কোকা-কোলা বাংলাদেশের এসইআইএ রিপোর্টে আরো দেখা গেছে, ভোক্তারা কোকা-কোলা ক্রয় বাবদ ১ টাকা খরচ করলে প্রায় ৮৫ পয়সাই স্থানীয় অর্থনীতিতে যোগ হয়।
২০১৯ সালে বাংলাদেশের আয় ও কর্মসংস্থানের ওপর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কোকা-কোলার প্রভাব নিরূপণের জন্য অর্থনৈতিক পর্যালোচনার দায়িত্ব দেয়া হয় বিশ্বখ্যাত বিশেষায়িত পরামর্শক প্রতিষ্ঠান স্টুয়ার্ড রেডকুইনকে। নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ওয়েসলি লিওনটিফের ‘ইনপুট-আউটপুট’ পদ্ধতির মাধ্যমে এই অর্থনৈতিক পর্যালোচনা তৈরি করা হয়েছে। বিশ্বের অন্যান্য অর্থনীতিবিদরাও এ ধরনের গবেষণা পরিচালনার ক্ষেত্রে উক্ত পদ্ধতি ব্যবহার করে থাকেন।
কোকা-কোলা একটি স্থানীয় ব্যবসা
দ্য কোকা-কোলা কোম্পানি পাঁচ দশকের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। কৌশলগত দিক থেকেও দেশটি কোকা-কোলার জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বাজারগুলোর একটি হিসেবে বিবেচিত। তিনটি ভিন্ন ভিন্ন ইউনিটের সমন্বয়ে বাংলাদেশে দ্য কোকা-কোলা সিস্টেম গঠিত। ইউনিটগুলো যথাক্রমে-কোকা-কোলা বাংলাদেশ লিমিটেড (সিসিবিএল), ইন্টারন্যাশনাল বেভারেজ প্রাইভেট লিমিটেড (আইবিপিএল) এবং আব্দুল মোনেম লিমিটেড (এএমএল)। নিজস্ব প্ল্যান্ট দু’টির পাশাপাশি বোতলজাতকরণ ও সরবরাহ কার্যক্রমে বিনিয়োগের মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অবদান রাখছে কোকা-কোলা সিস্টেম।
কোকা-কোলা সিস্টেম ২০১৯ সালে বাংলাদেশে প্রায় ৬ দশমিক ১ বিলিয়ন টাকা সমমূল্যের পণ্য ও সেবা সংগ্রহ করেছে। এর মধ্যে ৭৫ শতাংশই নেয়া হয়েছে স্থানীয় উৎস থেকে। ফলে বাংলাদেশের হাজার হাজার বিক্রেতা বাড়তি লাভবান হয়েছে। কোকা-কোলার সকল ব্র্যান্ডই স্থানীয়ভাবে উৎপাদন করা হয় এবং বাংলাদেশি কর্মীরাই এদেশের ভোক্তাদের জন্য তা বাজারজাত করে থাকেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।