পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে দীর্ঘ ৫৪ দিন চিকিৎসাধীন ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। করোনামুক্ত ও করোনা পরবর্তী শারীরিক নানা জটিলতার চিকিৎসা শেষে কিছুটা উন্নতি হওয়ায় গত শনিবার তাকে গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় নেয়া হয়েছে। এখনো তিনি পুরোপুরি সুস্থ না হলেও হাসপাতালে স্বাস্থ্যঝুঁকির কথা বিবেচনায় নিয়েই বাসায় আনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক টিমের প্রধান ডা. এ এফ এম সিদ্দিকী। আপাতত তাকে বাসায় রেখেই চিকিৎসা প্রদান করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
বেগম জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক টিমের এক সদস্য বলেন, হাসপাতাল থেকে বাসায় নেয়ার পর তিনি অনেকটা ভালোবোধ করছেন। গতকাল রোববার তিনি বোনের বাসা থেকে রান্না করা খাবার খেয়েছেন। নামাজ পড়া ও বই পড়ে ফুরফুরে কেটেছে তার দিনের সময়। তিনি বলেন, চিকিৎসকরা আগেরদিনই সার্বিক বিষয় পর্যবেক্ষণ করায় রোববার আর তাকে দেখতে যাননি। আজ-কালকের মধ্যে তার শারীরিক অবস্থার খোঁজ-খবর নিতে যাওয়ার সম্ভাবনার কথা জানান তিনি।
বিএনপি ও চিকিৎসকদের সূত্রে জানা গেছে, এর আগে বেগম খালেদা জিয়াকে কঠোর আইসোলেশনে রাখা হয়েছিল কিন্তু তারপরও তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন। সেই অভিজ্ঞতা থেকে এবার তাকে আরও কঠোর আইসোলেশনে রাখা হচ্ছে। বাসায় চিকিৎসকদের পরামর্শ ছাড়া কেউ যেতে পারবেন না। এমনকি বাসায় যেসব কর্মী রয়েছেন তারাও থাকবেন কঠোর নির্দেশনার মধ্যে।
হাসপাতাল থেকে বাসায় নেয়া হলেও এখনো বেগম খালেদা জিয়া অবজারভেশনেই রয়েছেন জানিয়ে প্রফেসর ডা. এ এফ এম সিদ্দিকী বলেন, আলহামদুলিল্লাহ উনি (খালেদা জিয়া) স্থিতিশীল আছেন। তার মানে এই না যে, উনি সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে গেছেন। এখনো এভারকেয়ার হাসপাতালের টিম, দেশের বাইরে যারা আছেন এবং আমরা যারা আছি সবাই মিলে উনাকে নিবিড় পর্যবেক্ষনের রেখে চিকিৎসা আপাতত বাসায় রেখে চালিয়ে যাবো। ডা. সিদ্দিকী বলেন, আমরা প্ল্যান করেছি যে, উনাকে বাসায় রেখে চিকিৎসা করাব, উনি অবজারভেশনে আছেন। কিন্তু দুই সপ্তাহ বা তিন সপ্তাহ পরে আবার আমাদের অপশন রাখতে হচ্ছে যে, উনাকে হসপিটাল নিয়ে রিভিউ করার প্রয়োজন হতে পারে।
গত ১১ এপ্রিল খালেদা জিয়ার করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়। এরপর প্রখ্যাত ‘বক্ষব্যাথি ও মেডিসিন’ বিশেষজ্ঞ প্রফেসর এফএম সিদ্দিকীরে নেতৃত্বে ব্যক্তিগত চিকিৎসক টিম গুলশানের বাসায় তার চিকিৎসা শুরু করেন। ২৭ এপ্রিল তাকে এভার কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। ৩ মে তার শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) স্থানান্তর করা হয়। ৯ মে তিনি করোনামুক্ত হন। ###
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।