Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

গুটিকয়েকের অনিয়মে সবার অর্জন ম্লান হতে পারে না

মতবিনিময় সভায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২১ জুন, ২০২১, ১২:০০ এএম

স্থানীয় সরকার,পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, গুটিকয়েক জনপ্রতিনিধির অনিয়ম এবং ভুলের কারণে ৬৫ হাজারের বেশি জনপ্রতিনিধিদের অর্জন ম্লান হতে পারে না। গতকাল রোববার গভর্নেন্স এডভোকেসি ফোরাম আয়োজিত করোনাকালে স্থানীয় সরকারের ভূমিকা ও বাজেট ২০২১-২০২২ শীর্ষক অনলাইন মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, স্থানীয় সরকার অর্থাৎ জনপ্রতিনিধিত্বশীল প্রতিষ্ঠানই পারে জনমানুষের আশা এবং প্রত্যাশা পূরণ করতে। সারা দেশে ৬৫ হাজারের বেশি জনপ্রতিনিধি আছে। তাদের মধ্যে অল্প সংখ্যক অনিয়মের সাথে জড়িত হলে এর জন্য সকল জনপ্রতিনিধিকে দোষারোপ করা ঠিক নয়। তিনি বলেন, প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসের মহাসংকটে সরকার দেশে লকডাউন ঘোষণার পর সকল জনপ্রতিনিধিরা মাঠে-ময়দানে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। এসময় দেশের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করতে গিয়ে দু-একজনের ভুলত্রুটি হয়েছে। সেটা নিতান্তই নগণ্য। কিন্তু তাৎক্ষণিকভাবে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ায় তা নিয়ন্ত্রণে আসে। তাজুল ইসলাম বলেন, জনমানুষের আকাঙক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা এবং জেলা পরিষদসহ অন্যান্য জনপ্রতিনিধিত্বশীল প্রতিষ্ঠানকে শক্তিশালী করার কোনো বিকল্প নেই। আর শুধু শক্তিশালী করলেই হবে না এর পাশাপাশি এসব প্রতিষ্ঠানের স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।

মন্ত্রী বলেন, দেশে লকডাউন ঘোষণা করার পর থেকেই তিনি নিজেও প্রতিদিন অফিস করার পাশাপাশি স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীনে থাকা সকল প্রতিষ্ঠানের সাথে তিনি নিবিড় ভাবে যোগাযোগ রক্ষা করেছেন। খোঁজ খবর নিয়েছেন। তাদের পাশে থেকে শক্তি ও সাহস যুগিয়েছেন।

তিনি বলেন, সময়ের ব্যবধানে পেশাগত দায়িত্ব পালন করে জনপ্রতিনিধিরাই প্রমাণ করবে সত্যিকারের বাংলাদেশ এবং মানুষের পরিবর্তনের জন্য এই প্রতিষ্ঠানগুলি গুরুত্বপূর্ণ। জনপ্রতিনিধি এবং আমলাদের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে বলে অনেকে অভিযোগ করলেও এটি সঠিক নয়। জনপ্রতিনিধি হোক আর আমলা হোক সবাই এদেশের সন্তান। সকলের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য একটাই আর তা হলো দেশ, মাটি এবং মানুষের উয়ন্নন। বঙ্গবন্ধুর নীতি ও আদর্শ বুকে ধারণ করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কাজ করছে।

মন্ত্রী বলেন, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের জন্য সরাসরি কেন্দ্রীয়ভাবে বাজেট বরাদ্দের নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতি নেই। নিজেদের আয় বৃদ্ধির মাধ্যমে স্বনির্ভর হয়ে উন্নয়ণ কাজে অবদান রাখা উচিত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার কারণেই দেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে। আগামী ২০৪১ সালের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে তাঁর নেতৃত্বে গোটা জাতি আজ ঐকবদ্ধ্য।

মন্ত্রী জানান, বিশ্বের অনেক উন্নত দেশও আমাদের আগে টিকার ব্যবস্থা করতে পারেনি। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শীতায় বাংলাদেশে ভ্যাকসিন পেয়েছে।

গভর্নেন্স এডভোকেসি ফোরামের চেয়ারপারসন ও পিকেএসএফের চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য অ্যারোমা দত্ত। এছাড়া মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক, শাহীন আনাম, ঢাবি উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডঃ আসিফ শাহান অন্যান্যের মধ্যে মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ