পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে সরকার জাতিকে মেরুদÐহীন করে দিচ্ছে। এই অবৈধ সরকারের, ভুলের সরকারের সবচেয়ে বড় ভুল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা। সংসদে কত বিষয় নিয়ে আলোচনা হয় কিন্তু শিক্ষা নিয়ে একটা কথাও হয় না।
গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ছাত্র-শিক্ষক-অভিভাবক ফোরাম এর উদ্যোগে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, সংসদে মদ নিয়ে নায়িকা নিয়ে আলোচনা হয়, কিন্তু শিক্ষা নিয়ে একটা কথাও হয় না। এই লজ্জা আমরা কোথায় রাখি। এই ভুলের সংশোধন কীভাবে হবে? এই ভুলের সংশোধন তারা (সরকার) করবে না। এই সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়। তাই সরকারের সব সিদ্ধান্ত ভুল হবে, এটাই স্বাভাবিক। এখন সব কিছু খোলা। বাজার খোলা, ব্যাংক খোলা, অফিস খোলা। শুধু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ।
তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষা নেবে কিন্তু হল খুলবে না। এর থেকে বড় ভুল, হাস্যকর বিষয় আর কী হতে পারে। ছাত্ররা কি মাঠে থাকবে? মাটিতে বসে থাকবে। জাফরুল্লাহ বলেন, আগে গ্রামের ছেলে-মেয়েরা শিক্ষা পেতো। আমাদের আমলে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে মাত্র আট জন ঢাকা শহরের ছিলাম। বাকি সবাই গ্রাম থেকে এসেছিল। তারা আমাদের থেকে পরীক্ষায় ভালো করতেন। আজ সেই সুযোগ নেই।
নাগরিকের ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্য করে বলেন, উনি জানেন আজ যদি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা হয়, যদি হলগুলো খুলে দেওয়া হয় তাহলে হলে বিরোধী দলীয় ছাত্ররা ডুকবে। তখন ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ থাকতে পারবে না। বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল বলেন, বর্তমান সরকার জনগণের সরকার নয়। জনগণের সরকার হলে জনগণের কথা ভাবতো। এক সময় অত্যাচারী রাজারা চাইতো না তার রাজ্যের লোকেরা শিক্ষিত হোক। তারা মনে করতেন জনগণ শিক্ষিত হলে তারা রাজার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করবে। শেখ হাসিনা ভাবছে জনগণ শিক্ষিত হলে তার বিরুদ্ধেও জনগণ বিদ্রোহ করবে। এই কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছে।
মানববন্ধনে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপি যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আ ন ম এহাসুল হক মিলন, ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নূর, শিক্ষক-কর্মচারী- অভিভাবক ফোরামের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোহাম্মদ সেলিম ভুঁইয়া, বিএনপির সহ প্রচার সম্পাদক শামীমুর রহমান প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।