পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বোট ক্লাবে ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ তোলার পর পরীমনির বিরুদ্ধে ভাঙচুরের অভিযোগ তুলেছে গুলশানের একটি ক্লাব। ধর্ষণচেষ্টার দুদিন আগে মধ্যরাতে পরীমনি অল কমিউনিটি ক্লাবে গিয়ে তাণ্ডব চালান বলে অভিযোগ উঠেছে। ক্লাবের প্রেসিডেন্ট কেএম আলমগীর ইকবাল এই অভিযোগ করে বলেন, ক্লাবে ভাঙচুরের পর পুলিশও ডাকেন পরীমনি ও তার সঙ্গীরা। তবে পরীমনির গুলশানের অল কমিউনিটি ক্লাবে যাওয়ার একটি ভিডিও ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ হয়েছে। সেখানে নায়িকার সঙ্গে একজন সুদর্শন যুবককে দেখা যাচ্ছে। গত ৭ জুন রাত রাত দেড়টার পর ওই যুবকের হাত ধরে ক্লাবে প্রবেশ করেন অভিনেত্রী।
ভিডিওতে দেখা গেছে, লিফটের সামনে পরীমনির পাশে দাঁড়িয়ে রয়েছেন ওই যুবক। নায়িকার হাতে এ সময় একটি পানীয়র ক্যান দেখা যায়। এক সময় ক্যানটি ওই যুবকের হাতে দেন পরীমনি। নায়িকার তার চোখের চশমা ওই যুবককে পরিয়ে দেন এবং তার পেটে হাত দেন। এ সময় তাদের সঙ্গে একজন ছেলে ও মেয়ে ছিল। তারা সবাই কথা বলছিলেন, হাসাহাসিও করছিলেন। একপর্যায়ে তাদের সঙ্গে থাকা কালো শার্ট পরা ওই ছেলেকে লাথি মারতে উদ্ধত হতে দেখা যায় পরীকে। এরপর লিফট আসলে তারা ভেতর প্রবেশ করেন।
এদিকে, রাজধানীর বনানীতে নিজ বাসায় নিয়মিত মদের আসর বসাতেন চিত্রনায়িকা পরীমনি। এছাড়া তার বাসায় রাতভর চলে পার্টি ও গান-বাজনা। চিত্রনায়িকার কয়েকজন প্রতিবেশী ও বাসা থেকে ঘুরে আসা কয়েকটি সূত্র এ চাঞ্চল্যকর এমন তথ্য জানিয়েছে। সূত্রমতে, বনানী ১৯/এ সড়কের ১২ নম্বর বাড়ির পাঁচতলায় থাকেন চিত্রনায়িকা পরীমনি। সেই বাসায় রয়েছে বিশ্বের নামিদামি ব্র্যান্ডের মদের বোতল। প্রথম পলকেই কোনো পশ্চিমা দেশের কোনো বিলাসবহুল বার মনে হতে পারে কারো। এ বাসায় নিয়মিত বসে মদের আসর। আর সারারাত চলে পার্টি ও গান-বাজনা।
পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা জানান, গত ৮ জুন বুধবার রাতে বোট ক্লাবে পরীমনি কাণ্ডের তদন্তে নেমে কেঁচো খুঁড়তে সাপ বের হচ্ছে। তার ব্যাপারে জানাতে ঢাকার একাধিক সোশাল ক্লাবের কর্মকর্তারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছেন। তারা পুলিশ ও গোয়েন্দাদের জানান, পরীমনি তার কস্টিউম ডিজাইনার জিমিসহ কয়েকজন তরুণ-তরুণী নিয়ে প্রায় রাতেই অভিজাত ক্লাব ও তারকা হোটেলে ঘুরে বেড়াতেন। মধ্যরাত পর্যন্ত করতেন মদ্যপান। এক্ষেত্রে প্রায় রাতেই তার কারণে ক্লাবের আইন ভাঙা হতো। বিশেষ করে হাফপ্যান্ট পরে তার সঙ্গী হওয়া জিমি ড্রেসকোডের তোয়াক্কা করতেন না। এক ক্লাবে সময় কাটিয়ে তিনি যেতেন আরেক ক্লাবে।
অল কমিউনিটি ক্লাবের প্রেসিডেন্ট আলমগীর ইকবাল বলেন, পরীমনি সেই রাতে ১৫টি গ্লাস ভেঙেছেন, নয়টি স্ট্রে ছুড়ে মেরেছেন ও অনেক হাফপ্লেট ছুড়ে মেরে ভেঙেছেন। ঘটনার দিন পরীমনির সঙ্গে এক ভদ্রলোক ছিলেন, হাফপ্যান্ট পরা আরেক নারীও ছিলেন। এটা রাত প্রায় সোয়া ১টা বা দেড়টার ঘটনা।
আলমগীর ইকবালের অভিযোগ, সাধারণত ক্লাবে অবান্তর কিছু হলে সভাপতি কিংবা সাধারণ সম্পাদককে ইনফর্ম করার কথা। কিন্তু পরীমনি যেহেতু এখানকার অতিথি তিনি সেটা জানেন না। এ ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, না, আমরা কোনো ডায়েরি করি নাই। কেন করি নাই; আমরা মনে করেছি যে, এতে আমাদের ক্লাবেরই সুনামক্ষুণ্ন হবে। এজন্য আমরা জিডি করিনি।
তিনি বলেন, আমি শুনেছি উনি (পরীমনি) সেলিব্রেটি। যদিও ব্যক্তিগতভাবে আমি উনাকে চিনি না। যদি উনি সেলিব্রেটি হয়, উনার মান-সম্মান রক্ষা করার দায়িত্ব উনার নিজের। উনি উচ্চবংশের, উনি শিক্ষিতা, এটা উনার ডিউটি যে, উনার মান সম্মান কীভাবে রক্ষা করবেন। এটা আমার ডিউটি নয়। আমার ডিউটি আমার মান সম্মান কীভাবে ধরে রাখব। যেমন- নায়ক শাকিব খান আমাদের ক্লাবের মেম্বার। উনি তো কোনো অসংলগ্ন আচরণ করেছেন বলে আমার মনে পড়ে না। যার যার মান সম্মান তাকে বজায় রাখতে হবে। সেখানে আমাদের কিছু করার নেই।
ডিএমপির গুলশান বিভাগে ডিসি সুদীপ কুমার চক্রবর্তী বলেন, ৭ জুন জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এর মাধ্যমে ফোন পেয়ে পুলিশ অল কমিউিনিটি ক্লাবে গিয়েছিল। পুলিশ সেখানে যাওয়ার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। পরে পুলিশ নিয়ম অনুযায়ী ঘটনার বিষয়ে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে। তবে পরীমনি ক্লাব প্রেসিডেন্টের বক্তব্যকে ‘ফালতু অভিযোগ’ বলে অভিহিত করেছেন। এতদিন পর এসব অভিযোগ করা হচ্ছে কেন এমন অভিযোগও করেন পরীমনি। এটিকে মূল ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টাও বলেছেন পরী।
এর আগে ৮ জুন পরীমনি ঢাকা বোট ক্লাবে গেলে সেখানে তাকে ধর্ষণ ও হত্যার চেষ্টা হয় বলে অভিযোগ করেন। এ ঘটনায় সোমবার ৬ জনকে আসামি করে মামলা করেন এ চিত্রনায়িকা। মামলার পর পুলিশ প্রধান দুই আসামিসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।