বর্ষার বাহক মৌসুমী বায়ু সমগ্র দেশের উপর সক্রিয়। এর প্রভাবে দেশজুড়ে বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। উপকূলীয় অঞ্চলে ভারী বর্ষণের সতর্কবার্তায় গতকাল আবহাওয়া বিভাগ জানায়, সক্রিয় মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। অতি বৃষ্টির কারণে চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও পাহাড়ধস তথা ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে।
গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয় সীতাকুণ্ডে ১২৫ মিলিমিটার। এছাড়া এ সময়ে ঢাকায় ৩৮, ফরিদপুরে ৬৩, ময়মনসিংহে ৪৯, সন্দ্বীপে ১০৬, চাঁদপুর ও নোয়াখালীতে ৭৪, টেকনাফে ৮১, সিলেটে ২১, রাজশাহীতে ৮, রংপুরে ৪, খুলনায় ৪৭, বরিশালে ৪০, ভোলায় ৭৪ মিলিমিটারসহ সবক’টি জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বর্ষণ, অনেক স্থানে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে গত কয়েকদিন ধরে বৃষ্টিপাত হচ্ছে বেশি হারে।
আবহাওয়া বিভাগ জানায়, বর্ষারোহী মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উপর সক্রিয়। উত্তর বঙ্গোপসাগরে তা মাঝারি অবস্থায় রয়েছে। আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে জানা গেছে, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ স্থানে এবং রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি, বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হতে পারে। দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারাদেশে তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাত কমে আসতে পারে। এরপরের ৫ দিনে আবহাওয়ায় তেমন পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই।
দেশের অভ্যন্তরীণ নদী বন্দরসমূহের জন্য আবহাওয়া সতর্কবার্তায় জানা গেছে, রাজশাহী, বগুড়া, পাবনা, টাঙ্গাইল, ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চাঁদপুর, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ কক্সবাজার ও সিলেট অঞ্চলের উপর দিয়ে দক্ষিণ, দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি, বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে ১ নম্বর সতর্ক সঙ্কেত দেখাতে বলা হয়েছে।