পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অনলাইনে জন্মসনদ যাচাই-বাছাই (ভেরিফায়েড) করে এজাহারে আসামির বয়স উল্লেখ করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এজাহার গ্রহণের পর তদন্ত কর্মকর্তারা ইচ্ছেমতো বয়স লিখে দিতে পারেন না-বলেও মন্তব্য করেছেন আদালত।
বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেন ও বিচারপতি খিজির হায়াতের ভার্চুয়াল ডিভিশন বেঞ্চ গতকাল বৃহস্পতিবার পুলিশকে উদ্দেশ্য করে এ মন্তব্য করেন। খুলনার হরিনটানা থানার জয়খালি গ্রামের একটি হত্যা মামলার শুনানিকালে উপরোক্ত মন্তব্য করেন আদালত। সংশ্লিষ্ট মামলার আসামির জন্মসনদ যাচাই-বাছাই করে আগামি ১ জুলাইয়ের মধ্যে হাইকোর্টে জমা দেয়ার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
এ সময় সরকারপক্ষে ডেপুটি এটর্নি জেনারেল মো. মনিরুল ইসলাম সংযুক্ত ছিলেন। আসামির পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনিরুজ্জামান সিরাজ। সংবাদ মাধ্যমকে তিনি জানান, খুলনার হরিনটানা থানার জয়খালি গ্রামের ডুয়েলের হাসের খামারে ২০১৯ সালের ১১ সেপ্টেম্বর প্রদীপ দে ওরফে পাদুকে গলা কেটে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় পরের দিন তার ছেলে লিটন কুমার দে মামলা করেন।
এই ঘটনায় শাকিব হাওলাদার ও শামীম মোড়লকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ওই মাসের ৩০ সেপ্টেম্বর দুই আসামি স্বীকারোক্তি দেয়। স্বীকারোক্তি শাকিব জানান, তার বয়স ২০ বছর। কারাবন্দী শাকিব হাওলাদার ও শামীম মোড়ল এ মামলায় জামিন আবেদন করেন। শাকিবের জামিন আবেদনের শুনানিতে তার বয়সের অসঙ্গতি ধরা পড়ে।
এই ঘটনায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই রাসেল হোসেনকে তলব করা হয়। ওই তলবে হরিনটানা থানার এসআই সশরীরে উপস্থিত হন। গতকাল হাজির হয়ে বয়সের বিষয়ে ব্যাখ্যা দেন। রাসেল হোসেন আদালতকে জানান, আসামি শাকিব হাওলাদারের জন্মসনদ অনুযায়ী তার বয়স ১৬ বছর দেখানো হয়। তার জন্ম ২০০৪ সালের ২ মার্চ। এরপর আদালত যাচাই-বাছাই ছাড়া জন্মসনদ দিয়ে মামলার এজাহার (এফআইআর), চার্জশিট দেয়া যাবে না-মর্মে মন্তব্য করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।