পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীর কদমতলী থানাধীন শ্যামপুরে আব্দুল্লাহ নামে সাত বছরের এক শিশুকে মাথা থেঁতলে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল দুপুরে শ্যামপুর উজালা ম্যাচ ফ্যাক্টরির ভেতর থেকে শিশুটিকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। কারা এবং কি কারণে শিশুটিকে হত্যা করেছে তা জানা যায়নি। নিহত আব্দুল্লাহ বরিশাল জেলার মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার আন্ধারমানিক গ্রামের মোস্তফা মিয়ার ছেলে। দিনমজুর মোস্তফা শ্যামপুরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে কাজ করেন। তিনি সপরিবারে শ্যামপুর আলিবহর এলাকায় ভাড়া বাড়িতে বসবাস করেন।
শিশুটির মা আয়েশা বেগম জানান, গতকাল সকাল ১০টার দিকে আবদুল্লাহ খেলা করার জন্য বাড়ির বাইরে যায়। দুপুর হয়ে গেলেও সে বাসায় না ফেরায় আশপাশ এলাকায় খোঁজ করা হয়। পরে স্থানীয় লোকজন জানায়, শ্যামপুর উজালা ম্যাচ ফ্যাক্টরির মধ্যে অচেতন অবস্থায় এক শিশু পড়ে আছে। বেলা ২টার দিকে সেখান থেকে আব্দুল্লাহকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানের জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা শিশুটিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, নিহতের শরীরের মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে বাম পাশে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে কদমতলী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ ওয়াজেদ আলী ইনকিলাবকে বলেন, শিশুটির সুরতহাল দেখে ধারণা করা হচ্ছে শিশুটিকে প্রহার করে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার এলাকাবাসী শিশুটির বাবা-মায়ের সাথে কথা বলে জানা গেছে, তাদের সাথে স্থানীয় কারো পূর্বশত্রুতা নেই। আবার শিশুটিকে ম্যাচ ফ্যাক্টরির ভেতরে নিয়ে পেটানো হয়েছে। কিন্তু কারা এবং কি উদ্দেশ্যে এখনো তা উদ্ঘাটন করা সম্ভব হয়নি। স্পর্শকাতর এ ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।