পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
এতিম হয়ে গেল তিনটি সন্তান
রাজশাহী ব্যুরো : রাজশাহী নগরীতে বেপরোয়া গতির একটি বাস ঘরে ঢুকে পড়ায় তাতে চাপা পড়ে নিহত হয়েছেন ঘুমন্ত স্বামী-স্ত্রী। মঙ্গলবার রাত দেড়টার দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা কেয়া পরিবহনের বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ঘরের মধ্যে ঢুকে পড়ায় ঘটনাস্থলেই মারা যান। নিহতরা হলেন ভ্যানচালক বশির উদ্দিন (৪০) ও তার স্ত্রী রেশমা বেগম (৩৮)। তারা বহরমপুর রেল ক্রসিংয়ের পাশে রেলওয়ের জমিতে বেড়ার ঘর করে বসবাস করছিলেন। এ ঘটনায় অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেছে তাদের দুই শিশু সন্তান রাহাত (৫) ও আলীফ (৭)। পাশাপাশি বিছানায় শুয়ে থাকলেও তারা ঘরের ভেতর থেকে বের হয়ে আসে। এ ঘটনায় পাশের ঘরে ঘুমন্ত আরো পাঁচজনসহ অন্তত ১৫ বাসযাত্রী আহত হন। তাদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা গুরুতর। অন্যদের অধিকাংশকেই রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত ১২টার দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল থেকে ছেড়ে আসে কেয়া পরিবহন নামের একটি বাস। রাত ১০টার দিকে নাচোল থেকে বাসটি ছাড়ার কথা থাকলেও সেটি দুই ঘণ্টা দেরিতে ছাড়ায় শুরু থেকেই এটি বেপরোয়া গতিতে চালাতে থাকেন চালক। এরই মধ্যে বাসটি রাজশাহী নগরীতে ঢুকে পড়লেও গতি না কমিয়ে একই কায়দায় চালাতে থাকেন চালক। এক পর্যায়ে চালক বহরমপুর রেল ক্রসিং এলাকায় এসে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার ডান পাশে নেমে পড়ে। বাসটির গতি এত বেশি ছিল যে রাস্তার পাশের উঁচু ফুটপাত পার হয়ে সিগন্যাল লাইট ভেঙে গিয়ে বাম পাশের বেড়ার ঘরের ভেতর ঢুকে পড়ে। এতে কোনো কিছু বুঝে উঠার আগেই ওই ঘরে ঘুমন্ত অবস্থায় বশির উদ্দিন ও তার স্ত্রী রেশমা (৩৮) নিহত হন। তবে অল্পের জন্য প্রাণে যান তাদের দুই শিশু পুত্র রাহাত ও আলিফ। এছাড়া পাশের রেলওয়ের গেটম্যানের ঘরে শুয়ে থাকা দিপু (৪০) ও তাঁর স্ত্রী চাম্পা খাতুন (৩৫), ক্লাব ঘরে শুয়ে থাকা মানিক (১৬) ও জাকির (১৯), বাসযাত্রী মামুন (১৯), হৃদয় (২২), রজবসহ (১৮) অন্তত ১৫ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে বাসের সহকারী চালকও রয়েছেন। পরে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে হতাহতদের উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিক্যাল হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করে। সেখান থেকে নিহত বশির ও রেশমার লাশ মর্গে পাঠানো হয়। এদিকে ওই ঘটনার পরে গতকাল বুধবার সকাল ৭টার দিকে স্থানীয় লোকজন জড়ো হয়ে রাজশাহী-চাঁপাই মহাসড়ক কিছুক্ষণের জন্য অবরোধ করে রাখেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষুব্ধ লোকজনকে রাস্তা থেকে সরিয়ে দেয়। নিহত রেশমার বোন শিল্পী বেগম বলেন, ‘দুর্ঘটনায় বশির-রেশমা নিহত হওয়ার পাশাপাশি তাদের গোটা সংসারটিই তছনছ হয়ে গেছে। সংসারের একটা জিনিসও ভালো নেই, যা পরবর্তীতে তার তিন সন্তান কাজে লাগাতে পারবে। এর মধ্য দুই জনই শিশু সন্তান। এরা এখন কোথায় যাবে? কি খেয়ে বেঁচে থাকবে তারা? সর্বনাশা বাস ঘরের মধ্যে ঢুকে পড়ে সব শেষ করে দিল তাদের।’ এ ব্যাপারে নগরীর রাজপাড়া থানার এসআই মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, “বেপরোয়া গতির কারণেই বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশের বাড়িতে ঢুকে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই দুইজন নিহত এবং কয়েকজন আহত হয়েছে। বাসটিকে আটক করা হয়েছে। তবে পালিয়ে গেছে এর চালক।”
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।