পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচিত ইসলামী বক্তা আবু ত্ব-হা মুহাম্মদ আদনান নিখোঁজ হওয়ার ছয়দিন পরও পুলিশ তার কোন হদিস করতে পারায় ক্ষোভে ফুঁসছে সাধারণ জনগণ। এনিয়ে অনেককেই চাপা ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে সামাজিক মাধ্যমে। অপরদিকে আদনানের সন্ধানে পুলিশের নিষ্কিয়তার কড়া নিন্দা ও ধিক্কার জানিয়েছেন সচেতন মহল।
এছাড়া আদনানের সন্ধানের দাবিতে সোশাল হ্যাশট্যাগ ঝড় তুলেছেনে নেটিজেনরা। অনেকে ফেসবুক প্রোফাইলে বক্তার সন্ধানের দাবি সংবলিত ছবি আপ করে তাকে দ্রুত খুঁজে বের করার দাবি জানিয়েছেন। আদনানের সন্ধান চেয়ে #save_Abu_twahaa_muhammad_adnan #আবূ_ত্বহার_সন্ধান_চাই,, ইত্যাদি হ্যাশট্যাগ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী এবং পুলিশ ও র্যাবের প্রধানদের বরাবরে চিঠি দিয়ে আদনানকে খুঁজে বের করার দাবি জানানো হয়েছে পরিবারের পক্ষ থেকে। আদনানের স্ত্রী জানিয়েছেন, পুলিশ এবং র্যাবের সাথে দফায় দফায় যোগাযোগ করার পরও তারা কিছু জানতে পারছেন না। থানায় থানায় ঘুরলেও কোথাও তার অভিযোগ পর্যন্ত নেয়া হচ্ছে না।
গত বৃহস্পতিবার রাতে রংপুর থেকে ঢাকায় ফেরার পথে আদনান তার দু'জন সহকর্মী, গাড়ি চালকসহ চারজন নিখোঁজ হন। তাদের বহনকারী গাড়িটিরও কোন খোঁজ মেলেনি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. আসিফ নজরুল এনিয়ে চাপা ক্ষোভ প্রকাশ করে এক পোস্টে লিখেছেন, ‘‘এটা কেমন অরাজকতা? ছয়দিন ধরে ধর্মীয় বক্তা আবু ত্ব-হা আদনান আর তার তিন সঙ্গী নিখোঁজ কেন? পুলিশ কেন এবিষয়ে মামলা নেয়নি? কেন নিবেনা? আমাদের ফৌজদারি আইনের ১৫৪ ধারা অনুসারে যে কোন অপরাধের ক্ষেত্রে মামলা রুজু করা ( বা এফআইআর নেয়া) পুলিশের অবশ্যপালনীয় দায়িত্ব। বহু মামলার রায়ে এটাও বলা আছে যে কোন সূত্রে সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশকে অবশ্যই একাজটি করতে হবে। পুলিশ জনগণের করের টাকায় চলা জনগণের সেবায় প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠান। শুধু নিজের পছন্দমতো বিষয়ে তৎপর হওয়া পুলিশের কাজ নয়। আদনানকে উদ্ধার বা তার বিষয়ে হদিশ জানানোর দায়িত্বও পুলিশের রয়েছে। অবিলম্বে আমরা তা দেখতে চাই।’’
জাহিদুল ইসলাম লিখেছেন, ‘‘একটু বিবেক দিয়ে চিন্তা করুন, রাষ্ট্রের কতটা অধঃপতন হয়েছে!একজন শরীর প্রদর্শনকারিনী, নাচনেওয়ালী মহিলা গভীর রাতে নাইট ক্লাবে গিয়েছিল, তার সাথে কি কি করা হয়েছিল!? তা নিয়ে প্রশাসন ও মিডিয়াগুলো মহা ব্যস্ত! অথচ একজন "দ্বীনের দায়ী" তাঁর চারজন সাথী সঙ্গীসহ আজ "পাঁচ দিন যাবৎ নিখোঁজ" তা নিয়ে ওদের যেন কোন মাথাব্যথাই নেই!’’
এই ঘটনায় পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার প্রতিবাদ জানিয়ে আফতাবুজ্জামান লিখেছেন, ‘‘এটি অত্যন্ত দুঃখজনক ও মর্মান্তিক! কেন আদনান নিখোঁজ! কেন তার খোঁজ এখনো মিলছে না? কেনোইবা মিডিয়া চুপ! কেনোইবা আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা নিস্কিয়!এই কেন, কেনোর মধ্য দিয়ে আজ ৭ দিন শেষ! সত্যিই জাতি জানতে চায়....।’’
মাহদী হাসান মুর্তযা লিখেছেন, ‘‘কেমন দেশে বাস করছি, যেখানে একজন সাধারণ নাগরিকের স্ত্রী বলছেন '' আমার স্বামীকে ফিরিয়ে দিন, প্রয়োজনে দেশ ছেড়ে চলে যাব"। কতটা অসহায় হলে এমন কথা বলতে পারে! এক থানা থেকে আরেক থানা ঘুরে ঘুরে জুতোর তলা ক্ষয় করে ফেলতে হলো, স্বাধীন দেশের নাগরিক হয়ে। একটা জিডি করতে গিয়ে কী হয়রানির শিকারই না হলেন আবু ত্বহা আদনান সাহেবের স্ত্রী।এই তবে স্বাধীনতা! এই হল আমাদের বিচারব্যবস্থা!’’
মোঃ খালিদ লিখেছেন, ‘‘দুনিয়ার সাথে দৌড়ে দৌড়ে সঠিক পথ থেকে সিটকে পরেছিলাম হঠাৎ একদিন এই মানুষটির আলোচনা অন্তর ছুঁয়ে গেল। সিদ্ধান্ত নিলাম সরল সঠিক আল্লাহর পথে ফিরে আসতে হবে, আলহামদু লিল্লাহ্ ফিরে এসেছি। তার জন্য কিছু করার ক্ষমতা আমার নেই, অন্তর থেকে দোয়া করি হে আল্লাহ! আপনি তাকে তার পরিবারের কাছে আপনার হেফাজতে ফিরিয়ে দিন।’’
নুরুল হক নুর লিখেছেন, ‘‘আবু ত্বহা মুহাম্মদ আদনান ভাই ফিরে আসবেন আমাদের মাঝে ইনশাআল্লাহ! যুবকদের পথ দেখাবেন। আমরা সবাই নামাজ পড়ে হাত তুলে আল্লাহর কাছে প্রিয় ভাইকে ফিরে পেতে দোয়া করি। ইনশাআল্লাহ, অতি শীগ্রই আল্লাহ তাআ'লা উনাকে আমাদের মাঝে সুস্থ অবস্থায় নিরাপদে ফিরিয়ে আনবেন।#আবু_ত্বহার_সন্ধান_চাই।’’
তানভীর আহাসেদ লিখেছেন, ‘‘আবু ত্ব-হা আদনান ভাই একজন সম্ভাবনাময় দ্বায়ী ইলাল্লাহ। তিনি মানুষকে আল্লাহর পথে ডাকেন।একজন মানুষ, তিনজন সফরসঙ্গী সহ বাতাসে মিলিয়ে যাবে, তার কোন খোঁজ পাওয়া যাবে না, তিনি কোথায় আছেন, কীভাবে আছেন তা জানা যাবে না- বিশ্বায়নের দুনিয়ায় তা একেবারেই অসম্ভব!আমি আমার ভাই আবু ত্ব-হা আদনানের খোঁজ চাই। সুস্থ-স্বাভাবিক, নিরাপদ-নির্বিঘ্নতার সাথে তার পরিবার তাকে ফিরে পাবে- কায়মনোবাক্যে আল্লাহর কাছে এটাই প্রার্থনা করি।’’
এস এম ইলিয়াস আলী লিখেছেন, ‘‘বাংলাদেশের প্রত্যেকটা সরকারের উচিৎ, দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নিরপেক্ষ ভাবে কাজ করতে দেওয়া।আমার বিশ্বাস আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে তাদের নিয়মানুযায়ী এবং নিরপেক্ষ ভাবে কাজ করতে দিলে দেশের অপরাধ সংগঠিত কাজগুলো ৭৫% কমে যাবে এবং সমাজে শান্তি ফিরে আসবে।’’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।