Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দুই সিটির পদক্ষেপ কী হাইকোর্ট জানতে চান

ঢাকার বর্জ্য ব্যবস্থাপনা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৭ জুন, ২০২১, ১২:০০ এএম

ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় কি পদক্ষেপ নেয়া হয়েছেÑ তার অগ্রগতি জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। রিট পিটিশনের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল বুধবার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম এবং বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেন। দুই সপ্তাহের মধ্যে বিষয়টি হাইকোর্টকে অবহিত করতে হবে, ঢাকা উত্তর এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনকে।

রিটকারির কৌঁসুলি সৈয়দ মহিদুল কবির জানান, হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন হাসপাতালের বর্জ্য ও গৃহবর্জ্য ব্যবস্থাপনা কীভাবে হবে, পযঃনিষ্কাশন, সিটি করপোরেশনের নিজস্ব বিল্ডিং, সুইপার প্যাসেসসহ অন্যান্য প্রাতিষ্ঠানিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বিষয়ে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে তার একটি অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এর আগে ২০১৬ সালে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী এবং বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের ডিভিশন বেঞ্চ দুই সিটির পক্ষে এডভোকেট মো তৌফিক ইনাম প্রতিবেদন দাখিল করেন।

‘অব্যবস্থাপনায় ময়লার ভাগাড় ঢাকা’ শিরোনামে ২০১৫ বছরের ৭ ডিসেম্বর একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে সৈয়দ মহিদুল কবির বর্জ্য ব্যবস্থানায় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের লিগ্যাল নোটিশ দেন। নির্দিষ্ট সময় পার হয়ে যাওয়ার পরও কোনো জবাব এবং পদক্ষেপ গ্রহণের কোনো তথ্য না পাওয়ায় এ রিট করা হয়। শুনানি শেষে ২০১৬ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় আইন অনুসারে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন কী পদক্ষেপ নিয়েছে তিন মাসের মধ্যে আদালতকে জানানোর নির্দেশ দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টে প্রতিবেদন দাখিল করে দুই সিটি। এডভোকেট সৈয়দ মহিদুল কবির তখন বলেন, ‘এটি একটি আংশিক প্রতিবেদন। দুই সিটির কোনো প্রতিবেদনইে হাসপাতালের বর্জ্য ও গৃহবর্জ্য ব্যবস্থাপনা কীভাবে হবে, সে বিষয়ে কিছু বলা হয়নি। পয়ঃনিষ্কাশন, সিটি করপোরেশনের নিজস্ব বিল্ডিং, সুইপার প্যাসেসসহ অন্যান্য প্রাতিষ্ঠানিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বিষয়ে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে সে বিষয়েও কোনো তথ্য নেই।

ওই সময়ের প্রতিবেদনে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন জানায়, বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ৩৩টি সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশন (এসটিএস) স্থাপন করা হয়েছে, যার প্রতিটির আয়তন দুই হাজার বর্গফুট। আরও ২৩টির কাজ প্রক্রিয়াধীন। এক হাজার ডাস্টবিন স্থাপন করা হয়েছে। দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৬ সালকে পরিচ্ছন্নতা বর্ষ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। মধ্যরাত থেকে সকাল ৭টার মধ্যে ডাস্টবিনে ময়লা ফেলতে বলা হয়েছে। সকাল ৭টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ময়লা ফেলার কাজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ৩ হাজার ৬০টি ডাস্টবিন স্বল্প দূরত্বে স্থাপন করা হয়েছে। আরও ৫ হাজার ৭০০টি স্থাপনের কাজ চলছে।



 

Show all comments
  • আমজাদ হুসেন ১৭ জুন, ২০২১, ২:২৯ এএম says : 0
    প্লাস্টিক বর্জ্য মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য যেমন ক্ষতিকারক ঠিক তেমনি জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য অনেকটা দেশের জন্য এই প্লাস্টিক বর্জ্য টি মারাত্মক ক্ষতি আমরাআমাদের ব্যবসায়ীদের স্বার্থে প্লাস্টিক জাতীয় পূর্ণ বিষয়টি অনেকের জানা থাকলেও কিন্তু এ বিষয়ে কোনো কথা বলেন না আমাদের বিশ্বের মানব বসবাসযোগ্য পরিবেশ মাধ্যমে আমরা অনেক স্বাস্থ্য ঝুঁকি থেকে এড়াতে পারি কিন্তু এই বিষয়টি আমাদের সকলের নজরে আসতে হবে নদী ড্রেন পুকুর এবং খোলা আকাশের নিচে প্লাস্টিক বর্জ্য পালানোর থেকে বিরত থাকার জন্য সকলের মধ্যে আমরা আন্তরিকতা আসতে হবে।
    Total Reply(0) Reply
  • Mehedi Al Mashud Tonmoy ১৭ জুন, ২০২১, ২:৩০ এএম says : 0
    ঢাকার রাস্তার পা‌শের জায়গাগু‌লো অ‌ধিগ্রহন ক‌রে সড়ক প্রসস্ত কর‌লে সড়ক প‌থের জানজ‌টের সমস্যার সমাধান হওয়া সম্ভব। এই সিম্পল সমাধানটা কর‌তে রাজনী‌তি‌বিদ‌দের এত অ‌নিহা কেন? তাছাড়া সড়‌কের পা‌শে/ম‌ধ্যে বিকল্প ব্যবস্থ্যা (যেমন : মে‌ট্রো‌রেল ও লে‌কের দ্বারা পা‌নিপথ) দ্বারা ভ্রমন সক্ষমতা আরও বহুগুন বাড়া‌নো সম্ভব যা নগরী‌কে আরও দৃ‌ষ্টিনন্দনও ও আধু‌নিক কর‌বে।
    Total Reply(0) Reply
  • Rahmat Ullah ১৭ জুন, ২০২১, ২:৩১ এএম says : 0
    দুর্নীতি !! কথা বেশি কাজ কম !! বাজেটের অধিকাংশ গলদ্ধ করণ !! যে সময়োপযোগী ব্যবস্থা নেয়া তা নিতে এবং করতে ব্যর্থ।
    Total Reply(0) Reply
  • Jahed Samy ১৭ জুন, ২০২১, ২:৩২ এএম says : 0
    মেয়র তো ঘুমান,নাগরিকের চিন্তা করে না,ডেঙ্গু জ্বরে অনেক মানুষ মারা গেছে, এটিই তার প্রমান,আনিসুল হকের মত মেয়র চাই সে যে দলের হোক
    Total Reply(0) Reply
  • Nazrul Islam ১৭ জুন, ২০২১, ২:৩৩ এএম says : 0
    কি লিখব দুর্নীতি সজনপ্রীতি চুরি এই গুলো কে বনধ করবে। বিদেশে দেখি এক একটি এলেকা ভাগ করে সচছ টেনডারের মাধ্যামে তিন বছর জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্টানকে কটাক্ষ দিয়ে দেয়।সিটিকরপরষন কাজের মান তদারকি করে।কাজের মান খারাপ হলে কটাক্ষ বাতিল করে দেয় সিটিকরপেরষন।এটা আমাদের দেশে কেন করা হয় না ।হয়তো এইটা করলে সজনপ্রীতি দুর্নীতি কাজ না করে টাকা কামাইয়ের রাস্তা বন্ধ হয়ে যাবে ।
    Total Reply(0) Reply
  • Rahat Khan ১৭ জুন, ২০২১, ২:৩৩ এএম says : 0
    সরকারি পদগুলোতে সব চোর বাটপারগুলো (গুটি কয়েক বাদে) বসে আছে। কাজ করবে কি, পাবলিকের টাকা মাইরা খাবে কিভাবে সেই চিন্তাতেই ওদের ঘুম হারাম।
    Total Reply(0) Reply
  • Shariful Islam Sohel ১৭ জুন, ২০২১, ২:৩৪ এএম says : 0
    কেন সিটি কর্পোরেশন ব্যর্থ হয় এটা বুড়ো থেকে ছোট বাচ্চা পর্যন্ত সবাই জানে তাদের উপর থেকে নিচ পর্যন্ত পুরোটাই করাপশন যার জন্য তারা ব্যর্থ হয়
    Total Reply(0) Reply
  • Khairul Alam Ashrafi ১৭ জুন, ২০২১, ২:৩৪ এএম says : 0
    সিটি কর্পোরেশন আর সরকারি সংস্থা সবগুলো বাজেট পাশ হওয়ার আগেইতো ভাগ বাটওয়ারা হয়ে যায়, তো কাজ হবে কিভাবে?
    Total Reply(0) Reply
  • Ifran UR Rahaman Parvez ১৭ জুন, ২০২১, ২:৩৫ এএম says : 0
    সবই জবাব দিহীর ব্যর্থতার কারনেই আজ ঢাকা সিটির এই বেহাল অবস্তা।
    Total Reply(0) Reply
  • Jashim Uddin ১৭ জুন, ২০২১, ২:৩৫ এএম says : 0
    জনসচেতনতা না হলে কিছুই হবেনা। আগে আমাদের বিবেকে জাগাতে হবে। ১০ টাকা দামের চিপ খেয়ে, প্যাকেট গুলো যখন রাস্তায় ছুড়ে মারি তখন কি চিন্তা করি, এই প্যাকেটের কারনে আমি নিজে কতটুকু সমস্যার মুখোমুখি হবো?
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ