পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : ঢাকার হযরত শাহজালাল (রহঃ) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে একটি অত্যাধুনিক ড্রোন জব্দ করেছে শুল্ক গোয়েন্দা।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) শারজাহ থেকে আসা এক যাত্রীর কাছ থেকে ১৪ কেজি ওজনের ওই ড্রোনটি উদ্ধার করা হয়। শুল্ক গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, ড্রোন ডিজেআই ফ্যানটম ৮ মডেলের। এতে উন্নতমানের ক্যামেরা ও সেন্সর রয়েছে। প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে, ভিডিও শুটিংয়ের পাশাপাশি এটি গুপ্তচরবৃত্তির কাজেও ব্যবহার করা যায়। এর অপব্যবহারের কোনো ঝুঁকি আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ড্রোনটি আটক করা হয় যাত্রী নজরুল ইসলামের ব্যাগ থেকে। তবে তিনি নিজের প্রকৃত নাম মো. জাহিদুল ইসলাম বলে দাবি করেছেন। পাসপোর্ট (নং ইঅ ০২৩০০৮৪) অনুসারে তাঁর বাড়ি কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ভুরকাপাড়া গ্রামে। নজরুল ইসলাম গত মঙ্গলবার রাত ১০টায় শারজাহ থেকে এয়ার অ্যারাবিয়া এয়ারলাইন্সে (ফ্লাইট নং এ৯০৫১৫) করে শাহজালাল বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। ড্রোন আমদানির বিষয়ে তিনি শুল্ক কর্তৃপক্ষকে কিছু জানাননি, পূর্বানুমোদনও নেননি। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে শুল্ক গোয়েন্দারা তাকে নজরদারিতে রাখেন। কাস্টমস হলের বেল্ট থেকে ব্যাগ সংগ্রহের পর গ্রিন চ্যানেল অতিক্রম করার সময় তাকে থামানো হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি ড্রোন থাকার কথা অস্বীকার করেন। পরে তাঁর ব্যাগ তল্লাশি করে ড্রোন উদ্ধার করা হয়।
সে সময় নজরুল ইসলাম স্বীকার করেন, দুবাই থেকে তার এক বন্ধু ঢাকায় কোনো এক ব্যক্তির কাছে পৌঁছে দেয়ার জন্য এসব সরঞ্জাম দিয়েছেন। তিনি নিজে এর মালিক নন আটক ড্রোনের ওজন প্রায় ১৪ কেজি। এর বিভিন্ন অংশ খুলে প্যাকেজিং করা হয়েছে। এগুলো সংযোজন করে পূর্ণাঙ্গ ড্রোন তৈরি করা হবে। এতে উন্নতমানের ক্যামেরা বসানোর অপশন ও সেন্সর রয়েছে। রিমোট কন্ট্রোলের সাহায্যে এটি পরিচালনা করা হয়। এসব ড্রোন প্রায় এক কেজি ওজনের ভার বহনে সক্ষম। প্রতি ঘণ্টায় ৪৫ কিলোমিটার বেগে চলতে পারে। এটি গত ২৭ জুলাই আটক ড্রোনের চেয়ে উন্নতমানের। ওই ড্রোনটি খেলনা ঘোষণা দিয়ে আমদানি করা হয়েছিল। নাশকতার কাজে ব্যবহৃত হওয়ার আশঙ্কা থেকে সরকার সম্প্রতি ড্রোন আমদানির ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে। সরকারের পূর্বানুমোদন ছাড়া ড্রোন আমদানি করা যায় না। এ ছাড়া বিমানে তা বহন করার আগে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।