Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আরো বেশি বাংলাদেশী পণ্য আমদানিতে আগ্রহ নেদারল্যান্ডের

প্রকাশের সময় : ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, অপ্রত্যাশিত রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পে অভূতপূর্ব উন্নতির প্রশংসা করেছেন নেদারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত। তৈরি পোশাক কারখানাগুলো এখন নিরাপদ এবং কর্মবান্ধব। রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর ক্রেতা গোষ্ঠী ক্ষতিগস্তদের যে ক্ষতিপূরণ দিয়েছে, তার মধ্যে নেদারল্যান্ড অন্যতম। এ দুর্ঘটনার পর বাংলাদেশ সরকার এবং শিল্প মালিকগণ কারখানার কাজের পরিবেশ উন্নয়ন, ফায়ার সেফটি, বিল্ডিং সেফটি এবং কর্মবান্ধব পরিবেশ নিশিচত করায় বাংলাদেশের প্রশংসা করেন নেদারল্যান্ড রাষ্ট্রদূত। মন্ত্রী বলেন, নেদারল্যান্ড বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের বড় বাজার। গত বছর বাংলাদেশ নেদারল্যান্ডে ৮৪০ দশমিক ৩৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করেছে, একই সময়ে আমদানি করা হয়েছে ১৪১ দশমিক ৬০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য। রপ্তানি বাণিজ্য বাংলাদেশের পক্ষে ৬৯৮ দশমিক ৭৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক, চিংড়ি, তামাক, প্লাস্টিক, চামড়াজাত পণ্য এবং ওষুধের প্রচুর জাহিদা রয়েছে নেদারল্যান্ডে। বাংলাদেশের এ সকল পণ্য বেশি করে আমদানি করতে নেদারল্যান্ড আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী গতকাল বাংলাদেশ সচিবালয়ে তাঁর কার্যালয়ে ঢাকায় নেদারল্যান্ডের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত লিওনি কুয়েলিনেয়ারের সঙ্গে মতবিনিময় করে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে এসব কথা বলেন। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, নেদারল্যান্ড বাংলাদেশের পরীক্ষিত ব্যবসায়িক অংশীদার। ব্যবসার পাশাপাশি নেদারল্যান্ড বাংলাদেশের অনেক উন্নয়ন কাজের সহযোগী। বাংলাদেশের ভোলায় নদী ভাঙ্গন রোধে পাঁচশত কোটি টাকার একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। প্রথম ফেজের কাজ শেষ হয়েছে। বাংলাদেশের কৃষিজাত পণ্য যাতে নষ্ট না হয়, সে জন্য কৃষকদের প্রশিক্ষণ প্রদান এবং সংরক্ষণাগার নির্মাণ ও বিদেশে রপ্তানির বিষয়ে কারিগরি সহায়তা প্রদান করছে। এ ছাড়া গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে নেদারল্যান্ড বাংলাদেশকে সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, বাংলাদেশ এখন অভ্যন্তরীণ চাহিদার ৯৮ ভাগ ওষুধ তৈরি করছে। বিশে^র ১০৭টি দেশে ওষুধ রপ্তানি করছে। উন্নত বিশে^ বাংলাদেশের তৈরি ওষুধ গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। বাংলাদেশের তৈরি ওষুধ নেদারল্যান্ড আমদানি করতে আগ্রহী। ট্রিপস চুক্তির মেয়াদ ২০৩৩ সাল পর্যন্ত বর্ধিত হবার কারণে বাংলাদেশের সামনে সুযোগ এসেছে। নেদারল্যান্ডের চাহিদা মোতাবেক মানসম্পন্ন ওষুধ রপ্তানি করতে বাংলাদেশ সক্ষম। উভয় দেশের ব্যবসায়ীগণ সফর বিনিময় করে এ সুযোগকে কাজে লাগাতে পারবে। সরকার প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করবে।
নেদারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত এ সময় সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, তৈরি পোশাক খাতে বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে গেছে। বর্তমানে বাংলাদেশ পৃথিবীর মধ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তমত তৈরি পোশাক রপ্তানি কারক দেশ। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতের উন্নয়ন, পানিসম্পদের যথাযথ ব্যবহার, কৃষিপণ্যের নিরাপদ সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা এবং রপ্তানিতে সহযোগিতা করছে নেদারল্যান্ড। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) জহির উদ্দিন আহমেদ এবং অতিরিক্ত সচিব (এফটিএ) মনোজ কুমার রায় এসময় উপস্থিত ছিলেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আরো বেশি বাংলাদেশী পণ্য আমদানিতে আগ্রহ নেদারল্যান্ডের
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ