পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
গাইবান্ধা জেলা সংবাদদাতা : গাইবান্ধা বিদ্যুৎ বিভাগের সীমাহীন অনিয়ম, দুর্নীতি ও বিদ্যুৎগ্রাহকদের হয়রানির প্রতিবাদে এবং লোডশেডিং বন্ধসহ নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের দাবিতে গতকাল (বুধবার) গাইবান্ধা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। গাইবান্ধা বিদ্যুৎগ্রাহক ও সেচ মটর মালিক সমিতি আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে ১৩ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে জেলা প্রশাসনসহ জেলার সকল পেশাজীবী সংগঠনের সাথে মতবিনিময়, মানববন্ধন ও অবস্থান ধর্মঘট পালনের আল্টিমেটাম ঘোষণা করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়, এই জেলায় পিডিবির আওতায় প্রায় ২ হাজার ৩শ’টি বিদ্যুৎচালিত সেচ পাম্পের মাধ্যমে ইরি-বোরো চাষ করা হচ্ছে। আগে ১২০ দিনের সেচ মৌসুমের জন্য বিদ্যুৎ বিভাগকে ৭ থেকে ৮ হাজার টাকার বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে হতো। কিন্তু গত ১৫ ও ২০১৬ সালে প্রতিটি মিটারবিহীন সেচ পাম্প থেকে অবৈধভাবে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকার বিল আদায় করা হচ্ছে।
শুধু তাই নয়, বিদ্যুৎ বিভাগ মিটার ছাড়া ভুয়া মিটার নম্বর বসিয়েও গ্রাহকদের নামে ভুয়া বিল এবং বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার পরেও সেচ পাম্প মালিকদের নামে অবৈধ বিল আদায় করা হচ্ছে। অন্যদিকে ৩ থেকে ৪ বছর পূর্বে যে সমস্ত সেচ পাম্প বন্ধ করা হয়েছে বা সেচ পাম্পের কোন অস্তিত্ব না থাকা সত্ত্বেও পাম্প মালিকদের নামে হয়রানিমূলক বিল করছে বিদ্যুৎ বিভাগের দুর্নীতিপরায়ণ কর্মচারিরা।
সে জন্য ১৩ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন করতে বাধ্য হচ্ছে কৃষি কাজে নিয়োজিত সেচ পাম্প মালিকরা। তাদের দাবিসমূহের মধ্যে রয়েছে ২০১৩ থেকে ২০১৬ অর্থবছরসমূহে সেচ পাম্প মালিকদের কাছ থেকে মিটার ছাড়া অতিরিক্ত বিল ও অনির্ধারিত বিল বাতিল, পরিশোধিত অনির্ধারিত বিল ও অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিলসমূহের অর্থ চলতি ২০১৫-২০১৬ অর্থ বছরের বিলের সাথে সমন্বয়, সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা সেচ মটর পাম্প মালিকদের বিলগুলো বাতিল ও পরিশোধিত বিলসমূহ পরবর্তী বিলের সাথে সমন্বয়, সরকার ঘোষিত ৩০ ভাগ ভর্তুকির টাকা কৃষকদের ফেরত প্রদান ও সেচ মালিকদের কাছ থেকে সর্বোচ্চ এক সেচ মৌসুমের জন্য ১০ হাজার টাকা বিদ্যুৎ বিল নির্ধারণ করার দাবি জানানো হয়েছে।
এছাড়া আবাসিক এবং মিল মালিকদের অতিরিক্ত বিল প্রদান বন্ধ এবং গাইবান্ধা বিদ্যুৎ বিতরণ কেন্দ্রে বিল প্রস্তুতের কম্পিউটার মেশিন পুনঃ স্থাপনের দাবি জানানো হয়। সেই সাথে অবৈধ সংযোগের জন্য সেচ পাম্প মালিকদের কাছে সিস্টেম লস দায় চাপানো পরিহার করা, প্রতিটি পাম্পে মিটার সংযোগ এবং সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী জুলফিকার নাইম শফির দুর্নীতি তদন্তপূর্বক তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের জেলা সভাপতি সিরাজুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আনাউর রহমান, মাসুদুর রহমান মাসুদ, মো. মজিবুর রহমান, আব্দুর রহিম, রোকনুজ্জামান টুকু, মাহবুবর রহমান রোস্তম, আবুল কালাম আজাদ, মাহবুবর রহমান সুমন প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।