পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
‘ইসলামী সমাজ’-এর আমীর হজরত সৈয়দ হুমায়ূন কবীর বলেছেন, সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনায় ইসলামের পরিবর্তে মানব রচিত ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত থাকায় মানুষে মানুষে দ্বদ্ব, সংঘাত ও সংঘর্ষ ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। মাদক, গুম, খুন ও ধর্ষণ বন্ধ হচ্ছে না। মানুষের জীবনে মানবতা ও মনুষ্যত্ব বিলুপ্ত হয়ে হিংসা-প্রতিহিংসা এবং মানবতা বিরোধী অপতৎপরতা ক্রমেই বেড়ে চলছে। সরকার সমূহের লুট-পাট, সম্পদ পাঁচার ও অরাজকতা সাধারণ মানুষের জীবনকে অতিষ্ট করে তুলেছে। রাষ্ট্রের প্রতিটি বিভাগ দুর্নীতিতে নিমজ্জিত। মানব জীবনের কোন সমস্যারই সমাধান হচ্ছে না।
সৈয়দ হুমায়ূন কবীর বলেন, সকল সার্বভৌমত্ব, আইন-বিধান ও কর্তৃত্ব এবং সকল সৃষ্টির জীবন-মরণের মালিক একমাত্র আল্লাহ তাআলা। তাই আল্লাহর সকল নির্দেশ মেনে চলতে হবে সৃষ্টির সেরা মানব জাতিকে। এর অন্যথা হলে মানব সমাজকে সতর্ক করার বহুবিধ ব্যবস্থা রেখেছেন মহান আল্লাহ্ তা’আলা। এরপরেও আল্লাহর নির্দেশ না মেনে কুফরিতে নিমজ্জিত থাকায় মানুষকে শিক্ষা দেয়ার জন্য আল্লাহ্ তা’আলা আযাব-গজব ও মহাগজব দিয়ে কুফরকারী মানব জাতিকে ধ্বংস করে দিয়েছেন এবং দেবেন। ফেরাউন, নমরুদ ও আদ জাতিসহ আরো বহু জাতিকে এভাবে ধ্বংস করে দিয়েছেন।
গতকাল সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে ইসলামী সমাজ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, অভিশপ্ত এবং পথভ্রষ্ট জাতিসমূহের বিরুদ্ধে আল্লাহই সময়মত ব্যবস্থা নেবেন। সারা বিশ্বের বিশেষ করে বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের অধিকাংশ মুসলমানরাই আজ অভিশপ্ত ও পথভ্রষ্ট জাতিসমূহের অনুসরণ করছে। তারা আল্লাহর নির্দেশ অমান্য করে ব্যক্তি স্বার্থ, নেতৃত্বের লোভে কুফরি ও শিরকে লিপ্ত হয়ে পড়েছে। তাই আল্লাহ্ নমুনা হিসেবে করোনা মহামারি দিয়ে বিশ্বকে পাকড়াও করেছেন। এতেও যদি মানুষ শিক্ষা নিয়ে কুফরি থেকে ফিরে না আসে তবে আল্লাহ্ অত্যাসন্ন মহাগজব সমূহ দিয়ে কুফরকারী মানব জাতিকে ধ্বংস করে দিয়ে একমাত্র মুমিন-মুসলমানদের বিজয়ী করে তাদের উপর অবারিত রহমত নাজিল করবেন ইনশাআল্লাহ।
সংগঠনের দায়িত্বশীল মুহাম্মাদ ইয়াছিন কর্তৃক সঞ্চালিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের আমীর। এতে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের বিভিন্ন বিভাগের কেন্দ্রীয় দায়িত্বশীল, মুহাম্মাদ ইউসুফ আলী মোল্লা, আমীর হোসাইন, আজমুল হক, আসাদুজ্জামান, আবু বকর সিদ্দীক, নুরুদ্দীন প্রমুখ। ইসলামী সমাজের কেন্দ্রীয় দায়িত্বশীল সোলায়মান কবীর রাজধানীর ৬টি স্থানে শান্তিপূর্ণ পথ সভার কর্মসূচী ঘোষণা করেন। পথসভাসমূহে সংগঠনের আমীর হজরত সৈয়দ হুমায়ূন কবীর বক্তব্য রাখবেন।
সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আমীর সৈয়দ হুমায়ূন কবীর বলেন, ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত স¦সস্ত্র লড়াই নিষিদ্ধ। এ অবস্থায় রাষ্ট্রের নিয়ম-কানুন মেনে গণতন্ত্রসহ সকল মানব রচিত ব্যবস্থা ত্যাগ করার দাওয়াত অব্যাহত রাখতে হবে।
সৈয়দ হুমায়ূন কবীর আরো বলেন, প্রত্যেক মুসলমানকে কুফরি ধ্যান ধারণা ও অভিশপ্ত জাতি সমূহের অনুসরণ ও আমিত্ব ছেড়ে কুরাআনের নির্দেশ এবং সুন্নাহর পথে ফিরে আসলেই গজবের পরিবর্তে আল্লাহ্ তা’আলা রহমত বর্ষণ করবেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।