পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নগরীতে এক ব্যক্তিকে কৌশলে বাসায় নিয়ে জিম্মী করে চার লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবির ঘটনায় এক দম্পতিসহ তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গতকাল শনিবার নগরীর বাকলিয়া থানার রাহাত্তারপুল থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। তারা হলেন- শারমিন আক্তার লিজা ওরফে রিজিয়া (৩০), রিমা আক্তার নাছিফা (২৬) ও তার স্বামী মো. কায়ছার ওরফে হাসান (২৭)।
পুলিশ জানায়, ভুক্তভোগী মনজুর আলম শুক্রবার বাকলিয়া থানায় হাজির হয়ে অভিযোগ করেন পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে তিনি শারমিন আক্তার লিজার বাড়িতে যান। এসময় লিজা পূর্বপরিকল্পিতভাবে অপরাপর সহযোগীদের সহায়তায় তার হাত পা বেঁধে মারধর শুরু করেন ও মুক্তিপণ হিসেবে চার লাখ টাকা দাবী করেন।
এক পর্যায়ে তিনি নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে সাথে থাকা ৫০ হাজার টাকা দিয়ে দেন। কিন্তু এতেও মারধর বন্ধ না করে জোরপূর্বক তার মানিব্যাগে থাকা ইউসিবি ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড ও পিন নাম্বার নিয়ে বুথ থেকে এক লাখ টাকা তুলে নেন। এছাড়াও তার বিকাশে থাকা সাত হাজার টাকাও তুলে নেন। পরবর্তীতে একটি সিএনজি অটো রিকশায় তাকে কালামিয়া বাজার এনে ফেলে দিয়ে চলে যান। স্থানীয় লোকজন তখন তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।
এই ঘটনায় তিনি বাকলিয়া থানায় হাজির হয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। পরে রাহাত্তারপুল এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে শারমিন আক্তার লিজাকে গ্রেফতার করা হয়। তার দেয়া তথ্য মতে বাকলিয়া বলিরহাট এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে উক্ত ঘটনায় জড়িত রিমা আক্তার নাছিফা ও তার স্বামী কায়সার হাসানকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে মুক্তিপণের ৪৫ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। নাছিফা ও তার স্বামী কায়সার হাসান ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দিয়েছেন। পুলিশ জানায় এই চক্রটি দীর্ঘদিন থেকে লোকজনকে কৌশলে জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায় করে আসছিলো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।