পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিয়ে করেছেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। পাত্রী দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার শাম্মী আকতার মনি (৪২)। গত ৫ জুন শনিবার উত্তরার একটি রেস্টুরেন্টে ২৫ লাখ টাকা দেনমোহরে তিনি বিয়ে করেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন তার পারিবারিক সূত্র।
শাম্মী আকতার মনি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত আছেন। মাত্র তিন সপ্তাহ আগে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজনের সাথে তার পরিচয় হয়। জানা গেছে, রেলমন্ত্রীর বিয়েতে মন্ত্রীর পরিবারের কেউ উপস্থিত ছিল না। অনেকটা পরিবারকে না জানিয়ে শুধুমাত্র বন্ধুদের নিয়ে বিয়ে সেরেছেন মন্ত্রী। শাম্মী আক্তারের আগেও বিয়ে হয়েছিল। ২০১১ সালে ডিভোর্স হয়েছে তার। সেই সংসারে তার একটি কন্যা সন্তান আছে। বর্তমানে তিনি উত্তরায় বসবাস করেন।
শাম্মী আকতার মনির বড় ভাই মো. মিলন হোসেন বলেন, শাম্মী আইন বিষয়ে পড়াশোনা শেষ করে হাইকোর্টে প্র্যাকটিস করছেন। আইনি বিষয়ে পরামর্শ নিতে ২০ দিন আগে রেলমন্ত্রীর কাছে যায় শাম্মী। পরে আমার বোনকে মন্ত্রীর পছন্দ হয়। পারিবারিকভাবে ৫ জুন উত্তরায় আমার বোনের বাসায় তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। বিয়েতে বরপক্ষে উপস্থিত ছিলেন বিরামপুরের বিচারপতি ইজারুল হক ও তার স্ত্রী। কনে পক্ষে আমি ও আমার ভাই উপস্থিত ছিলাম। আনুষ্ঠানিকভাবে ছোট পরিসরে যতটুকু করা দরকার; সেভাবে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা হয়েছে। শাম্মী আকতার মনি বর্তমানে উত্তরাতে থাকেন জানিয়ে মিলন বলেন, আমার বোন উত্তরায় থাকে। ক্যামব্রিয়ান স্কুল অ্যান্ড কলেজের অ্যাডমিনে চাকরি করতো। এরইমধ্যে ল’ পাস করে হাইকোর্টে এক সিনিয়রের সঙ্গে প্র্যাকটিস করছে। শাম্মী বর্তমানে উত্তরার বাসায় আছে। ডিসেম্বরে স্বামী রেলমন্ত্রী সুজনের বাড়িতে যাবেন। তিনি আরও বলেন, আমার বোনের এর আগে কুষ্টিয়ায় বিয়ে হয়েছিল। পারিবারিক সমস্যার কারণে ২০১১ সালে ডিভোর্স হয়ে যায়। ওই ঘরে একটি মেয়ে রয়েছে। এরপর থেকে মেয়েকে নিয়ে ঢাকায় থাকে আমার বোন। ঈদ ও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বিরামপুরের বাড়িতে বেড়াতে আসতো। মাঝে মধ্যে আমরাও যাই।
সূত্র জানায়, মন্ত্রী উত্তরায় তার স্ত্রী শাম্মীর বাড়িতেই অবস্থান করছেন। তবে মন্ত্রীর ছেলে-মেয়ে ও পরিবারের ঘনিষ্টজনরা না জানায় মন্ত্রী ব্যাপারটি এড়িয়ে যাচ্ছেন। গত বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমের কাছে বিয়ের বিষয়টি পুরোপুরি অস্বীকার না করে কৌশলে জবাব দেন রেলমন্ত্রী। তিনি বলেন, তিনি বিয়ের জন্য পাত্রী দেখছেন। অনেকেই সিভি দিচ্ছেন, যাচাই-বাছাই চলছে। কাউকে পছন্দ হলেই বিয়ে করবেন তিনি। শাম্মী আকতার মনির কথা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, অনেক মেয়েই দেখা হচ্ছে। শাম্মী তার পছন্দের তালিকায় রয়েছে। শাম্মীর ব্যাপারে খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে। বিয়ে করেছেন কি না? এমন প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, কেবল কথা বার্তা এগোচ্ছে। সময় হলে সব জানতে পারবেন।
৬৫ বছর বয়সী নূরুল ইসলাম সুজনের স্ত্রী নিলুফার জাহান ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগের দিন মারা যান। তাদের এক ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে। তিন সন্তানেরই বিয়ে হয়েছে। নূরুল ইসলাম সুজন ১৯৫৬ সালের ৫ জানুয়ারি পঞ্চগড়ে জন্মগ্রহণ করেন। পঞ্চগড়-২ (বোদা-দেবীগঞ্জ) আসন থেকে নবম, দশম এবং একাদশ জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। ২০১৮ সালে নির্বাচিত হওয়ার পর রেলমন্ত্রী হন সুজন। এর আগে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন মুজিবুল হক। তিনিও ৬৫ বছর বয়সে বিয়ে করেন। তবে সেটি ছিল তার প্রথম বিয়ে। বর্তমান রেলমন্ত্রীর বিয়ের খবর সে কারণে আলোচনায় এসেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।