পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজনের বিয়ের গুঞ্জন চলছে গতকাল থেকে। তবে এ বিষয়ে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। মন্ত্রী নিজেও বিষয়টি কৌশলে এড়িয়ে গেছেন। তবে অবশেষে রেলমন্ত্রী বিয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাত্রীর ভাই। ৬৫ বছর বয়সী মন্ত্রী বিয়ে করেছেন দিনাজপুরের মেয়ে শাম্মী আকতারকে। গত ৫ জুন উত্তরার একটি রেস্টুরেন্টে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন শাম্মী আকতারের বড় ভাই মো. মিলন হোসেন।
বিরামপুর নতুন বাজারে তাদের বাসা। ওই এলাকার মৃত আব্দুর রহিমের মেয়ে শাম্মী। তারা দুই ভাই এক বোন। দুই ভাই বর্তমানে বিরামপুরের বাসায় থাকেন। বড় ভাই মিলন হোসেন ইলেকট্রিক ব্যবসায়ী। অপরজন স্থানীয় ব্যবসায়ী। তাদের আগের বাড়ি ছিল পাবনায়।
বোনের বিয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে মিলন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর অনুমতিক্রমে ঘরোয়াভাবে শনিবার আমার বোনের সঙ্গে রেলমন্ত্রীর বিয়ে হয়েছে। বিয়েতে বরপক্ষে উপস্থিত ছিলেন বিরামপুরের বিচারপতি ইজারুল হক ও তার স্ত্রী। কনে পক্ষে আমি ও আমার ভাই উপস্থিত ছিলাম। আনুষ্ঠানিকভাবে ছোট পরিসরে যতটুকু করা দরকার; সেভাবে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা হয়েছে।
শাম্মী আকতার বর্তমানে উত্তরাতে থাকেন জানিয়ে মিলন বলেন, আমার বোন উত্তরায় থাকে। ক্যামব্রিয়ান স্কুল অ্যান্ড কলেজের অ্যাডমিনে চাকরি করতো। এরইমধ্যে ল' পাস করে হাইকোর্টে এক সিনিয়রের সঙ্গে প্র্যাকটিস করছে। শাম্মী বর্তমানে উত্তরার বাসায় আছে। ডিসেম্বরে স্বামী রেলমন্ত্রী সুজনের বাড়িতে যাবেন।
তিনি আরও বলেন, আমার বোনের এর আগে কুষ্টিয়ায় বিয়ে হয়েছিল। পারিবারিক সমস্যার কারণে ২০১১ সালে ডিভোর্স হয়ে যায়। ওই ঘরে একটি মেয়ে রয়েছে। এরপর থেকে মেয়েকে নিয়ে ঢাকায় থাকে আমার বোন। ঈদ ও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বিরামপুরের বাড়িতে বেড়াতে আসতো। মাঝে মধ্যে আমরাও যাই।
শাম্মী আকতার রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজনের পূর্ব পরিচিত। বিয়েতে মন্ত্রীর পরিবারের কেউ উপস্থিত ছিল না, অনেকটা পরিবারকে না জানিয়ে শুধুমাত্র বন্ধুদের নিয়ে বিয়ে সেরেছেন মন্ত্রী।
তবে মন্ত্রীর ছেলে-মেয়ে ও পরিবারের ঘনিষ্টজনরা না জানায় মন্ত্রী ব্যাপারটি এড়িয়ে যাচ্ছেন বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার (১০ জুন) রাত সাড়ে ৯টায় নূরুল ইসলাম সুজনের সঙ্গে কথা হয়। বিয়ে করছেন, এমন গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে এটি কতটুকু সত্য? এমন প্রশ্ন শুনে মন্ত্রী হেসে দিয়ে বলেন, 'বিয়ে তো করতেই চাই, কিন্তু পাত্রী খুঁজে পাচ্ছি না।'
মন্ত্রী বলেন, 'বিয়ে করতে চাচ্ছি এটা ঠিক আছে, কিন্তু ভালো মেয়ে খুঁজে পাচ্ছি না। আপনারা খালি এটাই বলতেছেন, কিন্তু কোনো মেয়ের সন্ধান তো দিচ্ছেন না। অন্তত একটা ভালো মেয়ের সন্ধান দেন। আমি খুঁজতেছি (পাত্রী) কিন্তু পাচ্ছি না।'
শাম্মী আকতারের কথা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, অনেক মেয়েই দেখা হচ্ছে। শাম্মী তার পছন্দের তালিকায় রয়েছে। শাম্মীর ব্যাপারে খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে। বিয়ে করেছেন কি না? এমন প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, কেবল কথা বার্তা এগোচ্ছে। সময় হলে সব জানতে পারবেন।
নূরুল ইসলামের স্ত্রী নিলুফার জাহান ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগের দিন মারা যান। তাদের এক ছেলে ও দুই মেয়ে। তিন সন্তানেরই বিয়ে হয়েছে।
৬৫ বছর বয়সী নূরুল ইসলাম ১৯৫৬ সালের ৫ জানুয়ারি পঞ্চগড়ে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি পঞ্চগড়-২ (বোদা-দেবীগঞ্জ) আসন থেকে নবম, দশম এবং একাদশ জাতীয় সংসদের সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন। ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তৃতীয়বার সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর রেলমন্ত্রী হিসেবে সরকারের মন্ত্রিসভায় যুক্ত হন।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের গত মেয়াদে রেলমন্ত্রী ছিলেন মুজিবুল হক। মন্ত্রী হওয়ার পর ৬৭ বছর বয়সে তিনি বিয়ে করেন। সেটি মুজিবুল হকের প্রথম বিয়ে। বর্তমান রেলমন্ত্রীর বিয়ের বিষয়টি সে কারণেই আলোচনায় এসেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।