পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
শিবগঞ্জ (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা : সোনামসজিদ স্থলবন্দরে দায়িত্বরত কাস্টমস কর্মকর্তারা সাফটা চুক্তি না মানায় প্রতিদিন ভারত থেকে আমদানীকৃত পণ্য ছাড়ে দেখা দিয়েছে জটিলতা। কাস্টমস বিভাগের একজন উদ্ধর্তন কর্মকর্তা প্রতিদিন বিকেলে পণ্য ছাড় করার পূর্বে নিত্য নতুন অলিখিত নিয়ম নির্দেশনা দেয়ার কারণে পণ্য ছাড় করণে কাস্টমস কর্মকর্তাদের সাথে সিএন্ডএফ এজেন্টদের বাকবিতÐা লেগে আছে। উক্ত কর্মকর্তা প্রতিদিনই শতভাগ রাজস্ব পরিশোধ করার পরেও আবারও ওইসব পণ্য ভর্তি গাড়ি ওজন করার নির্দেশ দিয়ে থাকেন। ফলে প্রতিদিন সোনামসজিদ স্থলবন্দরে ভারত থেকে কাঁচা পণ্যবাহী গাড়িগুলো দুপুর ১২টার মধ্যে পানামা ইয়ার্ডের ভিতর প্রবেশ করলেও নানা জটিলতার কারণে রাত ৯টা পর্যন্ত ওইসব কাঁচা পণ্যবাহী ট্রাক দেশের অভ্যন্তরে যেতে পারে না বলে অভিযোগ করেছেন সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হারুন অর রশিদ। তিনি জানান, গত ১৭ তারিখ সোনামসজিদ বন্দর দিয়ে ৯ গাড়ি কাঁচা মরিচ আমদানি করা হয়। কিন্তু সময়মত পণ্য ছাড় না করায় প্রায় ৫০ লাখ টাকা মূল্যের পাঁচ গাড়ি মরিচ পচে নষ্ট হয়ে যায়। একই দিনের ৪৭ ট্রাক টমেটো আমদানি করা হয়। তার মধ্যে প্রায় ১৫ কোটি টাকা টাকার ২২ ট্রাক টমেটো পচে নষ্ট হয়ে যায়। জানা গেছে, ২০১৫ সালের ৭ এপ্রিল অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (শুল্ক) কর্তৃক এক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। যার নম্বর এস আর ও নং ৭৮-আইন/২০১৫/০৬/শুল্ক। ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে- শুল্কও বাণিজ্য সম্প্রসারণের লক্ষ্যে সার্কভুক্ত দেশসমূহের মধ্যে (সাফটা চুক্তি) হয়। এই চুক্তিতে ২০০৬ সাল থেকে কার্যকর করা হয়েছে। উক্ত চুক্তির আর্টিকেল ৩ (১) এর উদ্দেশ্য পূরণ কল্পে উহার আটিক্যাল ৭ এ বর্ণিত বিধান অনুযায়ী চুক্তি ভুক্ত দেশসমুহে আমদানী শুল্ক হার হ্রাস করার বিধান রয়েছে। কিন্তু সোনামসজিদ কাস্টমস উক্ত সাফটা চুক্তি মানতে রাজি না হওয়ায় সোনামসজিদ স্থলবন্দরে ভারত থেকে আমদানীকৃত পণ্য ছাড়ে প্রতিদিন জটিলতার সৃষ্টি হচ্ছে এবং হয়রানী করা হচ্ছে সিএন্ডএফ এজেন্টেরা। এই ব্যাপারে সোনামসজিদ স্থলবন্দর সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আলহাজ মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক ও বর্তমান সভাপতি হারুন অর রশিদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা অভিযোগ করে বলেন- কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট কমিশনার রাজশাহী প্রতিদিনের সোনামসজিদের পণ্য ছাড় নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি করছেন। তারা বলেন- ভারত থেকে আমদানীকৃত পণ্য গুলি পানামা সোনামসজিদ পোর্ট লিংক লিমিটেডের ইয়ার্ডের ভিতরে ওজন করে রাজস্ব পরিশোধের পরেও আবারও ওজন মাপার জন্য ওয়েব্রীজে ওজন করা হয়ে থাকে। ফলে যথা সময়ে ওইসব পণ্য ভর্তি ট্রাকগুলো সোনামসজিদ থেকে দেশের অভ্যন্তরে যেতে পারছেনা। অনেক সময় কাঁচা ফল নষ্ট হচ্ছে বলে ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন। তাদের অভিযোগ- সোনামসজিদ স্থলবন্দরে দায়িত্ব পালনে ২ জন সহকারী কমিশনার, ২ জন সুপারসহ কাস্টমস ইন্সপেক্টর রয়েছেন। তার পরেও প্রতিদিন রাজশাহী থেকে একজন করে সহকারী কমিশনার পাঠিয়ে থাকেন কাস্টমস কমিশনার। এব্যাপারে সোনামসজিদ স্থলবন্দরে সহকারী কমিশনার মহিউদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ব্যস্ততার অজুহাত দেখিয়ে কথা বলতে রাজি হননি। এছাড়া রাজশাহী কাস্টমস কমিশনার মোয়াজ্জেম হোসেনের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি। সোনামসজিদ স্থলবন্দরের আমদানী রপ্তানী বাণিজ্য গতিশীল করার লক্ষ্যে অবিলম্বে সাফটা চুক্তি মেনে পণ্য ছাড়ে জটিলতা দূর করার জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যানের কাছে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা দাবি জানিয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।