পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
ইনকিলাব ডেস্ক : অতীতের ঋণের জ্বালা ভুলে গিয়ে নতুন করে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের জন্য সরকারের কাছে ৬ হাজার কোটি টাকার বিশেষ তহবিল চেয়েছে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংক অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ)। এ ব্যাপারে সরকারেরও ইতিবাচক মনোভাব রয়েছে বলে জানা গেছে।
গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতের সঙ্গে বিএমবিএ’র অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এ তহবিল গঠনের প্রস্তাব দেয়া হয়। সভায় বিএমবিএ’র পক্ষে নেতৃত্ব দেন সংগঠনটির সভাপতি মো: ছায়েদুর রহমান। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএমবিএ’র সহ-সভাপতি ও প্রাইম ফাইন্যান্স ইনভেস্টমেন্টের সিইও ড. মোশাররফ হোসেন এবং লংকাবাংলা ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের সিইও খন্দকার কায়েস হাসান প্রমুখ।
বৈঠকের বিষয়ে বিএমবিএ সভাপতি মোঃ ছায়েদুর রহমান জানান, ফান্ডের অর্থ দিয়ে মার্জিন ঋণের সৃষ্ট সমস্যার সমাধান করা হবে। নেগেটিভ ইক্যুইটি আছে এমন প্রতিষ্ঠানগুলোকে ওই তহবিল থেকে স্বল্প সুদে ঋণ দেয়া হবে। এতে নেগেটিভ ইক্যুইটির অনেক অ্যাকাউন্টের অবস্থার উন্নতি হবে। আর প্রতিষ্ঠানগুলো তখন সংকট থেকে বের হয়ে আসতে পারবে। যা পুঁজিবাজারের গতি সঞ্চারের পাশাপাশি একটি স্থায়ী স্থিতিশীল পুঁজিবাজার গঠনে ভূমিকা রাখবে।
তিনি আরো জানান, ইতোমধ্যে শেয়ারের দাম এতো বেশি কমে গেছে যে, গ্রাহকের নিজস্ব মূলধন ঋণাত্মক (ঘবমধঃরাব ঊয়ঁরঃ) হয়ে পড়েছে। ফলে তার সব শেয়ার বিক্রি করেও ঋণ সমন্বয় করা সম্ভব নয়। এমন অবস্থায় গ্রাহক ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানকে এড়িয়ে চলছে, তাদের প্রাপ্য শোধ করছে না। এই ঋণে সংশ্লিষ্ট ব্রোকারহাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংকের বিপুল পরিমাণ অর্থ আটকে যাওয়ায় তারাও তা শেয়ার কেনাবেচায় কাজে লাগাতে পারছে না। এতে বাজার গতি পাচ্ছে না। তাই আমরা বিএমবিএ’র পক্ষ থেকে সরকারের কাছে ৬ হাজার কোটি টাকার একটি তহবিল দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছি। অর্থমন্ত্রী বিষয়টি ইতিবাচকভাবে নিয়েছেন। তিনি এ বিষয়ে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করবেন বলে জানিয়েছেন।
এদিকে ফান্ডের গঠন প্রক্রিয়া কিভাবে হবে এমন প্রশ্নের জবাবে ছায়েদুর রহমান বলেন, এটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মাধ্যমে গঠন করে সরাসরি টাকাও দেওয়া যেতে পারে। আবার বন্ড ইস্যু করেও তা সম্ভব। সরকার তার সুবিধাজনক পন্থাটি বেছে নিতে পারে বলে জানান তিনি।-ওয়েবসাইট
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।