Inqilab Logo

সোমবার ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভারতের পাশে আছে বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী

কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা

প্রকাশের সময় : ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১১:৩৬ পিএম, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

কূটনৈতিক সংবাদদাতা : কাশ্মীরে সেনাঘাঁটিতে হামলায় হতাহতের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে কঠিন এই সময়ে ভারতের পাশেই রয়েছেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সমর্থনের হাত বাড়িয়ে দিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে পাঠানো এক বার্তায় আশ্বাস দেন তিনি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে গতকাল রাতে সংবাদমাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়। প্রসঙ্গত, গত রোববার চার অস্ত্র ও গ্রেনেডধারী উরির সামরিক ঘাঁটিতে ঢুকে হামলা চালিয়ে ১৭ ভারতীয় সেনাকে হত্যা করে; হামলায় আহত হন আরও ৩৫ জন। পরে হামলাকারীরাও পাল্টা গুলিতে মারা যান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘সন্ত্রাসী এই হামলায়’ নিহত ও আহত সৈনিকদের পরিবারের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানান। বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, সন্ত্রাস ও উগ্রবাদী সহিংসতার বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির অংশ হিসেবেই বাংলাদেশ এই কঠিন সময়ে ভারতের পাশে থাকবে। ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও প্রতিবেশী হিসেবে এই অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকা ও সীমানাজুড়ে চলমান সব হুমকি নির্মূলে আমরা একসঙ্গে কাজ করব। সব ধরনের সন্ত্রাস ও উগ্রবাদী ধ্যান-ধারণা এবং এর সহিংস প্রকাশের নিন্দা জানিয়ে এর বিরুদ্ধে বাংলাদেশের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি।
এর আগে ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সৈয়দ মুয়াজ্জেম আলীও প্রধানমন্ত্রীর বার্তার উল্লেখ করে ভারতের পাশে থাকার কথা জানান। তিনি বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী এ ঘটনায় বাংলাদেশের শক্ত অবস্থানের কথা জানিয়েছেন। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আমাদের ‘জিরো টলারেন্স’ রয়েছে। ভারতের জন্য কঠিন এ সময়ে বাংলাদেশ তাদের পাশে থাকবে। ভারতীয় কর্তৃপক্ষের তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর বাংলাদেশ বিষয়টি নিয়ে উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা করবে বলেও জানান হাইকমিশনার।
জাতিসংঘে সাধারণ বিতর্ক শুরু প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ কাল
জাতিসংঘ সদর দপ্তরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭১তম নিয়মিত অধিবেশনের সাধারণ বিতর্ক শুরু হয়েছে গতকাল মঙ্গলবার থেকে। স্থানীয় সময় সকাল ৮টা থেকে এই মূল অধিবেশন শুরু হয়। জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের প্রেসিডেন্ট পিটার থম্পসনের সভাপতিত্বে অধিবেশনে প্রথমেই বক্তব্য রাখেন মহাসচিব বান কি-মুন। এর পরপরই পিটার থম্পসনের বক্তৃতা। আর তার পরে প্রথা অনুযায়ী বক্তব্য রাখেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট মাইকেল তিমার ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা।
২০ সেপ্টেম্বর থেকে ২৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বক্তৃতা চলবে। প্রথম দিন মঙ্গলবার সকালের অধিবেশনে বক্তৃতা করেন আরও ১৫টি দেশের সরকার কিংবা রাষ্ট্রপ্রধানরা। আর বিকেলের অধিবেশনে বক্তব্য রাখেন ১৮টি দেশের সরকার কিংবা রাষ্ট্রপ্রধানরা। চলতি অধিবেশনে আজ ২১ সেপ্টেম্বর বিকেলের অধিবেশনে সাধারণ আলোচনায় বক্তব্য রাখবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বরাবরের মতো এবারও বাংলা ভাষায় বক্তৃতা করবেন প্রধানমন্ত্রী।
মঙ্গলবার বিতর্কে অংশগ্রহণকারী দেশগুলো হলো, শাদ, ফ্রান্স, গায়না, কাতার, আর্জেন্টিনা, স্লোভাকিয়া, মালাবি, উরুগুয়ে, জর্ডান, সুইজারল্যান্ড, পেরু, তুরস্ক, ফিজি, যুক্তরাজ্য, কানাডা, মরক্কো, পোল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, স্পেন, মিসর, নাইজেরিয়া, উগান্ডা, পর্তুগাল, মেক্সিকো, স্লোভানিয়া, জাম্বিয়া, পানামা, কোস্টারিকা, মঙ্গোলিয়া, সেনেগাল, তিউনিশিয়া, নিউজিল্যান্ড ও ইতালি।
এছাড়াও আজ ২১ সেপ্টেম্বর সুইডিস প্রধানমন্ত্রী স্টিফেন লো ভেশ আয়োজিত ডিসেন্ট ওয়ার্ক অ্যান্ড ইনক্লুসিভ গ্রোথবিষয়ক স্যোসাল ডায়ালগ সংক্রান্ত গ্লোবাল ডিলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর যোগ দেয়ার কথা রয়েছে। তিনি জাতিসংঘ সদর দফতরের কনফারেন্স রুমে পানিবিষয়ক উচ্চ পর্যায়ের এক প্যানেল বৈঠকে যোগ দেবেন। শেখ হাসিনা আজ নিউইয়র্কে হোটেল গ্রান্ড হায়াতে প্রবাসী বাংলাদেশীদের দেয়া এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন এবং ২২ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনে এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখবেন।



 

Show all comments
  • হারুন ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১১:৩৪ এএম says : 1
    এটাই স্বাভাবিক
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারতের পাশে আছে বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ