পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নির্বিচারে পাহাড় ধ্বংস করে তৈরি চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-সিডিএর বায়েজিদ-ফৌজদারহাট লিঙ্ক রোডটি বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সড়কের দুইপাশে অপরিকল্পিতভাবে কাটা বেশ কয়েকটি পাহাড়ে ফাটল ধরায় ধসে প্রাণহানির আশঙ্কায় সড়কটি বন্ধ ঘোষণা করা হয়। পুরো বর্ষা মৌসুমে অন্তত তিন মাস আলোচিত এ সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে সিডিএ। পাহাড় ধ্বংসের খেসারত হিসাবে পুরোপুরি চালু হওয়ার আগেই সড়কটি বন্ধ করে দেয়া হলো।
এ নিয়ে চলছে নানা সমালোচনা। সিডিএর তৎকালীন চেয়ারম্যান স্বঘোষিত কর্মবীর আবদুচ ছালামের অপরিণামদর্শী সিদ্ধান্তে একদিকে পাহাড় ধ্বংস হয়েছে, অন্যদিকে প্রায় ৩২০ কোটি টাকা ব্যয়ে লিঙ্ক রোডটির সুফল থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে চট্টগ্রামবাসী। ছোট বড় ১৬টি পাহাড় ধ্বংসের দায়ে সিডিএকে ১০ কোটি টাকাও জরিমানা গুণতে হয়।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পরিকল্পিতভাবে সড়কটি নির্মাণ করা হলে পাহাড়ও রক্ষা পেত আর সড়কটিও বন্ধ করতে হতো না। এতে সরকারের শত শত কোটি টাকার অপচয়ও হতো না। সড়কটি হঠাৎ করে বন্ধ করে দেওয়ায় বিপাকে পড়েছে বায়েজিদ, নাসিরাবাদ, রুবি গেইট এলাকার শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো। নগরীর ভেতরে যানজট থাকায় বেশিরভাগ শিল্প প্রতিষ্ঠানের পণ্য পরিবহন করা হতো এই সড়ক দিয়ে। কিন্তু রাস্তা বন্ধ থাকায় পণ্য নিয়ে নগরীর মধ্যদিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে পরিবহনগুলোকে।
১৯৯৯ সালে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (একনেক) নির্বাহী কমিটির সভায় পাস হয় ফৌজদারহাট-বায়েজিদ লিঙ্ক রোড প্রকল্প। বিগত ২০১৬ সালের জুন মাসে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রথমে ১৭২ কোটি ৪৯ লাখ টাকা ব্যয় ধরা হলেও সড়কটি চার লেনে উন্নীত করার সিদ্ধান্তে ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ৩২০ কোটি টাকায়। প্রকল্পের ছয় কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণে কাটা হয় ১৬টি পাহাড়।
একেবারে নতুন রাস্তাটি নির্মাণের জন্য পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে আড়াই লাখ ঘনফুট পাহাড় কাটার অনুমোদন নেওয়া হলেও ১০ লাখ ৩০ হাজার ঘনফুট পাহাড় কেটে ১০ কোটি টাকার জরিমানাও গুনেছে সিডিএ। সড়কটি চালু হওয়ার আগেই কাটা পাহাড়ে অবৈধ স্থাপনা গড়ে উঠতে থাকে। এতে এসব পাহাড় আরও বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।