পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : চামড়াজাত দ্রব্য, কৃষি, প্লাস্টিক পণ্যসহ ২০টি খাতের পণ্য রফতানিতে ভর্তুকি বা নগদ সহায়তার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। চলতি বছরের ১ জুলাই থেকে ২০১৭ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত জাহাজে করে পণ্য রফতানির বিপরীতে ঘোষিত হারে সহায়তা পরিশোধ করা হবে। গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগ থেকে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, চামড়াজাত দ্রব্যাদি রফতানি খাতে নগদ ১৫ শতাংশ সহায়তা দেওয়া হবে। আর সাভারে চামড়া শিল্পনগরীতে স্থানান্তরিত শিল্প প্রতিষ্ঠান থেকে ‘ক্রাস্ট’ ও ফিনিশড লেদার রফতানির বিপরীতে ৫ শতাংশ ভর্তুকি দেওয়া হবে।
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে, শস্য ও শাকসবজির বীজ রফতানির বিপরীতে ২০ শতাংশ ভর্তুকি দেওয়া হবে। একই পরিমাণ সুবিধা দেওয়া হবে পাটকাঠি থেকে উৎপাদিত কার্বন এবং বৈচিত্র্যপূর্ণ পাটজাত পণ্য রফতানির বিপরীতে। তবে পাটজাত চূড়ান্ত দ্রব্য (হেসিয়ান, সেকিং ও সিবিসি) এবং পাট সুতা রফতানির বিপরীতে সাড়ে ৭ শতাংশ ও ৫ শতাংশ হারে ভর্তুকি দেওয়া হবে।
শতভাগ হালাল মাংস রফতানি এবং কৃষিপণ্য ও প্রক্রিয়াজাত কৃষিপণ্য রফতানির বিপরীতে ২০ শতাংশ ভর্তুকি দেওয়া হবে। হোগলা, খড় ও আখের ছোবড়া দিয়ে হাতের তৈরি পণ্য রফতানি খাতে নগদ ১৫ শতাংশ সহায়তা দেওয়া হবে বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে। হাল্কা প্রকৌশল পণ্য এবং ফার্নিচার রফতানিতে ১৫ শতাংশ ভর্তুকি দেওয়া হবে।
১০ শতাংশ নগদ সহায়তা দেওয়া হবে আলু রফতানির বিপরীতে। আর জাহাজ, পেট বোটল-ফ্লেক্স, প্লাস্টিক দ্রব্য এবং গরু মহিষের নাড়ি-ভুঁড়ি, শিং ও রগ (হাড় ব্যতীত) রফতানির বিপরীতে ১০ শতাংশ ভর্তুকি দেওয়া হবে।
হিমায়িত চিংড়ি রফতানির বিপরীতে ১০ শতাংশ নগদ সহায়তা দেওয়া হবে। তবে এক্ষেত্রে বরফের আচ্ছাদন সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ থাকতে হবে। বরফের আচ্ছাদন ২০ থেকে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত থাকলে নগদ সহায়তা দেওয়া হবে ৯ শতাংশ এবং বরফের আচ্ছাদন ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ থাকলে নগদ সহায়তা ৮ শতাংশ। আর বরফের আচ্ছাদন ৪০ শতাংশের ওপরে থাকলে নগদ সহায়তা দেওয়া হবে ৭ শতাংশ।
পাশাপাশি অন্যান্য মাছ রফতানিতেও নগদ সহায়তা পাওয়া যাবে। এক্ষেত্রে বরফের আচ্ছাদন সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ থাকলে ৫ শতাংশ নগদ সহায়তা পাওয়া যাবে। এছাড়া বরফের আচ্ছাদন ২০ থেকে ৩০ শতাংশ, ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ এবং ৪০ শতাংশের ওপরে থাকলে যথাক্রমে নগদ সহায়তা পাওয়া যাবে ৪, ৩ ও ২ শতাংশ হারে।
রফতানিমুখী দেশীয় বস্ত্রখাতে শুল্ক বন্ড ও ডিউটি ড্র-ব্যাকের পরিবর্তে বিকল্প নগদ সহায়তা দেওয়া হবে ৪ শতাংশ। বস্ত্রখাতের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের অতিরিক্ত সুবিধা (প্রচলিত নিয়মের) দেওয়া হবে ৪ শতাংশ।
এছাড়া ইউরো অঞ্চলে বস্ত্রখাতের রফতানিকারকদের জন্য বিদ্যমান ৪ শতাংশের অতিরিক্ত বিশেষ সহায়তা দেওয়া হবে ২ শতাংশ। পাশাপাশি নতুন পণ্য বা বাজার (বস্ত্র খাত) সম্প্রসারণ সহায়তা (আমেরিকা, কানাডা ও ইইউ ব্যতীত) দেওয়া হবে ৩ শতাংশ। বস্ত্রখাতের নগদ সহায়তা পাওয়ার যোগ্যরা একই রফতানির বিপরীতে ৩টি খাতে অর্থাৎ প্রচলিত ৪ শতাংশ নগদ সহায়তা, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের অতিরিক্ত ৪ শতাংশ সুবিধা এবং নতুন পণ্য বা বাজার সম্প্রসারণে ৩ শতাংশ সহায়তা প্রাপ্য হলে নগদ সহায়তার সর্বোচ্চ ১১ শতাংশের বদলে ১০ শতাংশ পাবেন।
প্রজ্ঞাপনে বস্ত্রখাতের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের সংজ্ঞা পুনর্র্নির্ধারণ করে বলা হয়েছে, ‘যে সকল উৎপাদনকারী-রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান এখন (২০১৬-১৭ অর্থবছর) থেকে কোনো অর্থবছরে সাড়ে ৩৫ লাখ মার্কিন ডলার পর্যন্ত মূল্যের বস্ত্র বা সামগ্রী রফতানি করবে এবং কোনো বৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন নয়, এমন প্রতিষ্ঠানগুলো পরবর্তী অর্থবছরে ক্ষুদ্র ও মাঝারি বস্ত্রশিল্প হিসেবে সংজ্ঞায়িত হবে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।