পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশেষ সংবাদদাতা : ঈদ মৌসুমে হাজার হাজার মানুষকে জিম্মি করে অতি মুনফার লোভে বেসরকারী নৌযানের সাথে রাষ্ট্রীয় নৌ-বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানের সী-ট্রাকগুলোও অবৈধভাবে ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে সাগর মোহনার ভাটি মেঘনা পাড়ি দিচ্ছে।
বিআইডব্লিউটসি’র মৌসুমি ইজারাদারগণ বরিশাল-লক্ষ্মীপুর ও ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুটের দুটি সী-ট্রাক বিগত দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রাখলেও গত ঈদুল ফিতরের আগে-পরে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করে ভয়াল মেঘনা পাড়ি দেয়। দিন দশেকের মাথায়ই ‘এসটিÑখিজির-৭’ ও ‘এসটি খিজির-৮’ নামের সী-ট্রাক দুটি বন্ধ করে দেয়া হলেও ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে গত ৮ সেপ্টেম্বর থেকে পুনরায় এসব সী-ট্রাক যাত্রী পরিবহনে নামানো হয়।
গত দিন দশেক যাবৎই এসটি খিজির-৭ ও এসটি খিজির-৮ মাত্রাতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করে ভয়াল ভাটি মেঘনা পাড়ি দিলেও তা দেখার কেউ নেই। তবে ইতোমধ্যে লক্ষ্মীপুরের ভ্রাম্যমাণ আদালত বরিশাল-লক্ষ্মীপুর রুটে চলাচলকারী একটি বেসরকারী নৌযানকে ২৫হাজার টাকা জরিমানা করেছে। নৌযানটি সমুদ্র পরিবহন অধিদফতর থেকে সার্ভে সনদসহ সরকারী সব নিয়মকানুনের মধ্যেই চলছিল।
এমনকি সরকারী দুটি সী-ট্রাকের মধ্যে এসটি খিজির-৭’এর সার্ভে মেয়াদও শেষ হয়ে গেছে গত ২আগষ্ট। নিয়ম অনুযায়ী মার্কেন্টাইল মেরিন ডিপার্টমেন্টের নটিক্যাল সার্ভেয়ার উপকূলীয় নেযৈানসমুহ পরিদর্শন করে তার সার্ভে সনদ প্রদান করে থাকেন। কিন্তু এ নৌযানটির সার্ভে মেয়াদ শেষ হলেও বিআইডব্লিউটিসি নৌযানটির প্রয়োজনীয় ডকিংসহ তার পরিপূর্ণ জরিপ সম্পন্ন করিয়ে সার্ভে সনদ গ্রহণের কোনো উদ্যোগ নেননি। এমনকি সার্ভে সনদের আবেদনের জন্য যে সরকারী ফি জমাদানের নির্দেশনা রয়েছে তাও দেয়া হয়নি বলে জানা গেছে। তবে এ ব্যাপারে বিআইডিব্লিউটিসি’র দায়িত্বশীল কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
অপরদিকে ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুটে চলাচলকারী ‘এলসিটি কুতুবদিয়া’ নামের আরেকটি বেসরকারি যাত্রীবাহী নৌযানেরও সার্ভে সনদ পেরিয়ে যাবার পরে প্রতিদিন অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে উত্তাল মেঘনা পাড়ি দিচ্ছে। এমনকি নৌযানটির তলার বিভিন্ন অংশে ফাটল ধরার পরলেও সিমেন্ট প্লাষ্টার করে ভয়াবহ ঝুকি নিয়ে কুতুবদিয়া পরিচালনা করছে এর মালিক কর্তৃপক্ষ।
১৯৮২সালে ডেনমার্ক সরকারের আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় বিআইডব্লিউটিসি যে ৪টি উপকূলীয় যাত্রীবাহী নৌযান সংগ্রহ করে এলসিটি কুতবদিয়া তার অন্যতম। বাণিজ্যিকভাবে সফল না হওয়ায় বছর পনের আগে ‘চলাচলের অযোগ্য’ ঘোষণা করে নৌযানটি বিক্রি করে দেয় সংস্থাটি। একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এলসিটি কুতুবদিয়া কেনার পরে এর দ্বিস্তর তলার একটি স্তর খুলে ফেলা হয়। এখন হাত বদল হয়ে সে নৌযানটিও অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুটে প্রতিদিন ধারন ক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী বহন করছে। অথচ তার নিরাপত্তার ন্যূনতম সনদটুকুও নেই।
বিআইডিব্লিউটিসি’র সী-ট্রাক দুটিও ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে প্রতিদিন ভোলা-লক্ষ্মীপর ও বরিশাল-লক্ষ্মীপুর রুটে যাত্রী বহন করছে। অথচ এর মধ্যে ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুটের এসটি খিজির-৭-এর সার্ভে সনদ শেষ হয়ে গেছে গত ২ আগস্ট। আর বরিশাল-লক্ষ্মীপুর রুটের এসটি খিজির-৮-এর মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ১৫ ডিসেম্বর।
তবে একটি অসমর্থিত সূত্রের মতে ইজারাদারের স্বার্থেই এসব সী-ট্রাক সময়মতো সার্ভে সনদ নবায়ন করা হয় না। কারণ ঈদ মৌসুমে বাড়তী যাত্রী বহনের পরেই ইজারাদার এসব সী-ট্রাক পরিচালনায় অনিহা প্রকাশ করবে। কিন্তু চুক্তি অনুযায়ী দৈনিক ভাড়া গুনতে হবে ইজারাদারকে। নৌযানের বড় ধরনের কোন কারিগরি ও যান্ত্রিক ত্রুটি ছাড়াও সার্ভে সনদ না থাকলে ইজারাদার ঐসব কারনে সী-ট্রাকের পরিচালন বন্ধ রেখে ভাড়া প্রদান থেকে রেহাই পাবে। আর এ কাজেই পরক্ষোভাবে সহায়ক হবে এসব সী-ট্রাকের সার্ভে সনদ না থাকার বিষয়টি।
এসব বিষয় নিয়ে গতকাল মার্কেন্টাইল মেরিন ডিপার্টমেন্টের পরিচালক ও প্রধান নটিক্যাল সার্ভেয়ারের সাথে টেলিফোনে যোগাযোগের বহু চেষ্টা করেও তা সম্ভব হয়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।