পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সরকারি কর্মকর্তাদের ১৫০ দিনের বেশি ‘অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি’(ওএসডি) রাখা যাবে না। এই আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। গতকাল সোমবার হাইকোর্টের ওয়েবসাইটে এ সংক্রান্ত পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হয়। ২১ পৃষ্ঠার এ রায়ে স্বাক্ষর করেন বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী এবং বিচারপতি শশাঙ্ক শেখর সরকার। গতবছর ৮ জানুয়ারি একই আদালত এ আদেশ দেন। ২০১২ সালে ওএসডির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেছিলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব এম. আসাফউদ্দৌলাহ। পূর্ণাঙ্গ আদেশে বলা হয়েছে, কোনও কর্মকর্তাকে ১৫০ দিনের বেশি ওএসডি করে রাখা যাবে না। ওএসডি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের তদন্ত কাজ অবশ্যই ১৫০ দিনের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে। আরও বলা হয়, কোনও কর্মকর্তাকে ওএসডি (বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) হিসেবে পদায়ন করা হলে অকারণে বিলম্ব না করে ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের সত্যতা নিরূপণের জন্য সরকারকে অবশ্যই একটি তদন্ত কমিটি গঠন করতে হবে। কমিটি যদি অভিযোগের সারবত্তা খুঁজে পায় তাহলে সরকারের উচিত হবে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া।
পূর্ণাঙ্গ রায়ের অনুলিপি মন্ত্রিপরিষদ সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ও লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে পাঠানোর নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে।
রিট দায়েরের ৯ বছর পর এই আদেশ প্রকাশিত হলো। রিটি বলা হয়, ১৯৯১ সালের ৩ অক্টোবর মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে সর্বনিম্ন ৪৫ এবং সর্বোচ্চ ১৫০ জনকে ওএসডি করে রাখার বিধান রয়েছে। কিন্তু বর্তমানে এর ব্যতিক্রম হচ্ছে। তাই ওএসডির বিষয়ে আদালতের কাছ থেকে সিদ্ধান্ত প্রয়োজন। রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি ১৫০ দিনের বেশি সরকারি কর্মকর্তাদের ওএসডি করে রাখার বিধান অবৈধ ঘোষণা করে রায় ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার অনীক আর হক। সরকারপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল অমিত দাস গুপ্ত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।