Inqilab Logo

সোমবার ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮ আশ্বিন ১৪৩১, ১৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

সামাজিক সুরক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়াতে হবে

আইসিএমএবি’র বাজেট প্রতিক্রিয়া

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৮ জুন, ২০২১, ১২:০৪ এএম

করোনা বৈশ্বিক মহামারিতে সাধারণ ছুটি, লকডাউন, উৎপাদনম‚খী প্রতিষ্ঠান, ব্যবসায়ীক কার্যক্রম বিভিন্ন সময় বন্ধ থাকার কারণে দেশের বিপুল জনগোষ্ঠী দারিদ্র্য সীমার নীচে যাওয়ার বিষয়টি বিবেচনাপ‚র্বক সামাজিক সুরক্ষা খাতে বাজেট বরাদ্দ অপ্রতুল হওয়ায় এ খাতে আরও বরাদ্দ দেয়ার দাবি জানিয়েছে ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএমএবি)।

গত রোববার আইসিএমএবি’র রহুল কুদ্দুস অডিটরিয়ামে প্রস্তাবিত ২০২১-২২ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট প্রতিক্রিয়ার এ দাবি জানানো হয়। প্রতিষ্ঠানের প্রেসিডেন্ট আবু বকর ছিদ্দিকের সভাপতিত্বে ও ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. মামুনুর রশিদ এর সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, ইনস্টিটিউটের ভাইস প্রেসিডেন্ট (২য়) মো. মনিরুল ইসলাম, সচিব কাজী মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন এবং কোষাধ্যক্ষ একেএম কামরুজ্জামান সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। বাজেটের উপর পেপার উপস্থাপন করেন ফেলোসদস্য মো. শফিকুল আলম। বাজেট প্রতিক্রিয়ায় বলা হয়, অর্থনীতিকে চাঙা রাখতে এখন ধার করে হলেও যেখানে দেশীয় পণ্য এবং সেবা ব্যবহৃত হয় ওই সব খাতে সরকারি ব্যয় বাড়াতে হবে। মানুষের জীবন ও জীবিকাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে। বাজেট ঘাটতির পরিমাণ মোট জিডিপি’র ৬ দশমিক ২০ শতাংশ। তবে বাস্তবায়ন সক্ষমতা সাপেক্ষে ঘাটতি বাজেটকে ইতিবাচক হিসেবে গ্রহণ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, যতদিন কোভিড-১৯ মহামারী দেশে থাকবে, ততদিন উল্লেখযোগ্য কোন বিনিয়োগ বাড়বে না একইসঙ্গে বাড়বে না কর্মসংস্থান। কাজেই অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের জন্য সরকারের পরিকল্পনা মাফিক ৮০ শতাংশ জনগোষ্ঠীকে টীকার আওতায় যে কোন মূল্যে আনতে হবে। করোনাভাইরাসকে নির্ম‚ল করাটাকে এক নাম্বার চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিতে হবে। সম্মেলনে আরও বলা হয়, দেশের বিদ্যমান ভ্যাট আইন এবং আয়কর আইনে এখনো সামান্য কিছুটা সমন্বয়ের অভাব রয়েছে বলে মনে করছে আইসিএমএবি। এছাড়া অগ্রিম করের ক্ষেত্রেও কিছুটা যৌক্তিকীকরণের প্রয়োজন রয়েছে। ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে এক ব্যক্তি কোম্পানির করহার হ্রাস করে ২৫ শতাংশ প্রস্তাব করা হয়েছে যা যৌক্তিক হয়েছে বলে আমরা মনে করি।

তালিকাভুক্ত কোম্পানির কর হার প্রসঙ্গে বলা হয়, ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির করহার ২৫ শতাংশ হতে হ্রাস করে ২২ দশমিক ৫০ শতাংশ এবং পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত নয় এমন কোম্পানির করহার ৩২ দশমিক ৫০ শতাংশ থেকে ২ দশমিক ৫০ শতাংশ হ্রাস করে ৩০ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে যা অভিনন্দনযোগ্য, তবে নতুন প্রস্তাবনায় সরবরাহ পর্যায়ে উৎস কর কর্তন (যাহা ন্যূনতম কর হিসাবে বিবেচিত হয়) এর হার সার্বাধিক ৫ শতাংশ থেকে ৭ শতাংশ উন্নীত কারার কারণে প্রকৃতকর আপতন বৃদ্ধি তথা কর হার বিগত বছরের তুলনায় বৃদ্ধি পাবে। প্রকৃত ব্যবসা বান্ধব কর বাস্তবায়ন বিবেচনায় এই যৌক্তিকীকরণ খুব বেশি প্রয়োজন।

মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের কর হার বিষয়ে বলা হয়, বর্তমানে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস এর উপর কর হার (এমএফএস) বৃদ্ধি করা হয়েছে। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এমএফএস কোম্পানিগুলোর কর হার ৩২ দশমিক ৫০ শতাংশ হতে বৃদ্ধি করে ৩৭ দশমিক ৫০ শতাংশ এবং তালিকাবহির্ভ‚ত হলে ৪০ শতাংশ কর প্রস্তাব করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো এমএফএস প্রতিষ্ঠান পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত না হওয়ায় সব এমএফএস প্রতিষ্ঠানকেই ৪০ শতাংশ হারে কর দিতে হবে। এমএফএস সেবা ব্যবহারকারীদের মধ্যে নিম্ন বিত্তের মানুষই বেশী; ফলে, এই করভার দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে ফাইনান্সিয়াল ইনক্লুশনে বাধা হয়ে যাবে যা সামগ্রিক ডিজিটালাইজেশনের জন্যই একটি নেতিবাচক প্রভাব তৈরি করতে পারে। চলমান কোভিডের সময়ে গ্রাহককে আরও বেশি এমএফএস সেবার প্রতি আকৃষ্ট করার লক্ষ্যে এই কর বৃদ্ধি প্রস্তাব প্রত্যাহার করা প্রয়োজন বলে মনে করে আইসিএমএবি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সামাজিক সুরক্ষা
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ