পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ৭ মার্চ, ৭ জুনের মতো ঐতিহাসিক দিবসগুলো পালন না করার মানে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ব্যাপারে বিএনপির আস্থার অভাব রয়েছে।
গতকাল রাজধানীর ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করে গণমাধ্যমের কাছে এমন অভিযোগ করেন তিনি। সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না বলেই নির্বাচন বয়কটের মতো সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। তিনি বলেন, বিএনপি যে নির্বাচন বয়কট করেছে অথচ ’৭০ সালে বঙ্গবন্ধু লিগ্যাল ফ্রেমওয়ার্কের আন্ডারে কিন্তু নির্বাচন করেছে। একটা শর্ত ছিলো, বাঁধন ছিলো। অনেকেই চিন্তিত হয়ে পড়েছিলো এই নির্বাচন করে কী হবে? কিন্তু বঙ্গবন্ধু জানতেন নির্বাচনে একমাত্রই পথ স্বাধীনতা।
তিনি বলেন, নির্বাচন করার পরেই বঙ্গবন্ধু যে ম্যান্ডেড পেয়েছিলো, সেটাই তাকে স্বাধীনতা সংগ্রামের ঘোষক হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি দিয়েছে। কাজেই এই কথাটি সত্য, আজকে যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না তারাই নির্বাচন বয়কট করেছে।
ঐতিহাসিক ৬ দফার মতো দিবসগুলার পালন না করায় বিএনপির সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ধারাবাহিকতাকে অস্বীকার করে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ব্যাপারে তাদের আস্থার অভাব রয়েছে। ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের মহান স্বাধীনতার পথে, স্বাধিকার সংগ্রামের বাক পরিবর্তনকারী ঐতিহাসিক মাইলফলক ৭ জুন। ১৯৬৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারির তৎকালীন বাংলার কেন্দ্রাতীত শক্তি, আশা-আকাক্সক্ষার প্রতীক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান লাহোরে এই ৬ দফা প্রস্তাব ঘোষণা করেন এবং বাংলাদেশে এসে ৬ দফা দাবির পক্ষে তিনি প্রচার শুরু করেন। এসময় বাংলাদেশে ম্যাগনাকার্টা বলে পরিচিত ৬ দফা হচ্ছে বাঙালির মুক্তির সনদ।
তিনি বলেন, ৬ দফা সংগ্রামের মধ্য দিয়েই বাংলার স্বাধিকার সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রামে রূপান্তরিত হয়। এরপর আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা, ৫ দফা ভিত্তি, ১১ দফা আন্দোলন, ১৯৬৯ সালে বিস্ফোরিত বাংলাদেশ, তারপর বঙ্গবন্ধুর মুক্তি, ’৭০ এর নির্বাচন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ; এটি একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। কাজেই ৭ জুন আমাদের স্বাধিকার সংগ্রামের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। এটাকে বাক পরিবর্তনকারী মাইলফলক বলে আমরা চিহ্নিত করতে পারি। তিনি বলেন, ঐতিহাসিক এই দিনে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার শপথ নেওয়ার কথা। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, শাজাহান খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, হাছান মাহমুদ, উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।