Inqilab Logo

রোববার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

হেলথ প্রমোশন ফাউন্ডেশন গঠন করা জরুরি

পরিবেশ ও স্বাস্থ্য উন্নয়ন

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৮ জুন, ২০২১, ১২:০০ এএম

সারাদেশ থেকে শতাধিক পরিবেশকর্মীরা অংশগ্রহনে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষ্যে অনলাইনের মাধ্যমে ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ (ডাব্লিউবিবি) ট্রাস্টের উদ্যোগে ‘পরিবেশ ও স্বাস্থ্য উন্নয়নে আমাদের করনীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক আয়োজন করা হয়। এ বছর বিশ্ব পরিবেশ দিবসের প্রতিপাদ্য ‘ইকোসিস্টেম রেস্টোরেশন’ (বাস্তুতন্ত্র পুনরুদ্ধার)। ডাবিব্লিউবিবি ট্রাস্টের নির্বাহী পরিচালক সাইফুদ্দিন আহমেদ এর সভাপত্বিতে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান হেলথ বিজের আঞ্চলিক পরিচালক দেবরা ইফরইমসন। গতকালের বৈঠকটি সঞ্চালনা করেন ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের প্রকল্প কর্মকর্তা আবু রায়হান।

দেবরা ইফরইমসন তার প্রবন্ধে বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও পরিবেশের অবস্থা খুবই খারাপ। সারা বিশ্বেই পরিবেশ দূষন হচ্ছে। অনেক পানি খরচ করে, বেশি মাছ ধরে, প্লস্টিক পণ্য বেশি ব্যবহার করে পরিবেশকে বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। পরিবেশ হচ্ছে স্বাস্থ্যের একটি উপাদান। স্বাস্থ্য রক্ষায় সংক্রমক রোগ নিয়ে যেই রকম কাজ করা হয়, অসংক্রমক রোগ নিয়ে তেমন কাজ করা হয় না। অসংক্রমক রোগের সবচেয়ে বড় কারণ হচ্ছে তামাক। এ ছাড়াও আর ও অন্যান্য বিষয় আছে। বিশ্বে বায়ু দূষণের কারনে অনেক মানুষ মারা য়ায়। এই বিষয়গুলি নজরদারী করে স্বাস্থ্য উন্নয়েনর জন্য বিশ্বে অনেক দেশেই হেলথ্ প্রোমোশন ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য বাংলাদেশে একটি হেলথ্ প্রোমোশন ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করা জরুরি।
স্কোপের নির্বাহী পরিচালক কাজী এনায়েত হোসেন বলেন, এই বছরের বিশ্ব পরিবেশ দিবসের প্রতিপাদ্য অনুযায়ী পরিবেশকে আবার আগের জায়গায় ফিরিয়ে নিতে হবে। সরকার বলে গ্রাম হবে শহর। নগরে একটু বৃষ্টি হলেই পানি জমে। তখন আমরা সিটি করপোরেশনের দোষ দেই। কিন্তু আমাদের কারনে যে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে তা আমারা ভুলে যাই। সিটি করপোরেশন কে আমরা টাকা দেই কিন্তু সেই অনুযায়ী সেবা পাই না। আগে গ্রামে পুকুর থাকেতো, এখন নাই। প্রাণী জগতে একটা প্রাণীর সাথে আরেকটি প্রাণীর সংযোগ থাকে, এটাই ইকো সিস্টেম। বৃক্ষের সাথে যে পাখির সম্পর্ক আছে, এটা সবার সামগ্রিক চিন্তাকে মাথায় রেখে উন্নয়ন করতে হবে। প্রত্যাশা সামাজিক উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মো. বিল্লাল হোসেন বলেন, পরিবেশের ভারসাম্য থাকছে না নতুন দুর্যোগের কারণে। সেটা হলো বর্জ্রপাত। বাংলাদেশে বর্জ্রপাতে যে পরিমাণ মানুষ বর্জ্রপাতে যারা যাচ্ছে অন্যান্য দেশের তুলনায় এটা এখন নতুন দুর্যোগ আমাদের জন্য। এই কারণে বেশি বেশি করে গাছ গাগাতে হবে। পাহাড়ের মত উঁচু উচুঁ জায়গায় বেশি বেশি গাছ লাাগাতে হবে। পরিবেশ রক্ষা করতে হলে বেশি বেশি পুকুর ভরাট করা বন্ধ করতে হবে, পাহাড় কাটাকে রোধ করতে হবে।
সাফ এর নির্বাহী পরিচালক মীর আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বর্জ্যকে কাজে লাগিয়ে অনেক দেশে বিদ্যুৎ তৈরী করা হচ্ছে। আমাদের দেশে সুষ্ঠ বর্জ্য ব্যবস্থাপনা করা প্রয়োজন। এতে কিছুটা হলেও পরিবেশ দূষন রোধ করা যাবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: হেলথ প্রমোশন ফাউন্ডেশন
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ