পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীর বনানীতে স্বামী ময়না মিয়াকে ঘুমের ট্যাবলেট খাইয়ে অচেতন করে হত্যা করার পর ছয় টুকরো লাশ উদ্ধারের মামলায় প্রথম স্ত্রী ফাতেমা খাতুন দোষ স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। গতকাল রোববার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ-উর-রহমান ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
গত ১ জুন ফাতেমা খাতুনের পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। সেই রিমান্ড শেষে ফাতেমা খাতুনকে আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক কাজী শরীফুল ইসলাম। এসময় তিনি স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
গত ৩০ মে দিনগত রাত ৯টার দিকে রাজধানীর মহাখালী আমতলী সড়কের পাশে একটি নীল রঙের ড্রামের ভেতরে বস্তাবন্দি অজ্ঞাতপরিচয় যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়। তবে লাশের সঙ্গে মাথা ছিল। এছাড়া দুই হাত ও দুই পাও কাটা ছিল, সেগুলোও সেখানে ছিল না। এরপর খন্ডিত লাশের রহস্য উদঘাটনে তদন্তে নামে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। পরে রহস্য উদঘাটন করে ডিবি পুলিশ। নিহত ওই ব্যক্তির নাম ময়না। দ্বিতীয় বিয়ে করায় স্বামী ময়না মিয়াকে ঘুমের ট্যাবলেট খাইয়ে অচেতন করে হত্যা করেন প্রথম স্ত্রী ফাতেমা খাতুন। পরে লাশের ছয় টুকরো করে বস্তায় ভরে মহাখালী এলাকার সড়কে ফেলে দেন। আর খন্ডিত মাথা ফেলেন বনানীর লেকে। এ ঘটনায় ফাতেমাকে গ্রেফতারের পর পুলিশের কাছে স্বামী হত্যার নির্মম বর্ণনা দেন। ময়না মিয়াকে হত্যার ঘটনায় তার দ্বিতীয় স্ত্রী ইাসরিন বনানী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।