পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
টিকটক ও লাইকি নামের অ্যাপগুলো ব্যবহারে তরুণ প্রজন্ম বিপদগামী হওয়ায় এসব অ্যাপ বন্ধের জোরালো দাবি উঠেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। অনেক আগে থেকেই অ্যাপগুলো বন্ধের দাবি উঠলেও সম্প্রতি এসব অ্যাপ ব্যবহার করে তরুণ সমাজের ভয়াবহ অপরাধে জড়িয়ে পড়ার একের পর এক ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই সেই দাবি আরও জোরালো হয়েছে।
উঠতিবয়সী তরুণ-তরুণীরা টিকটক-লাইকিসহ বিতর্কিত অ্যাপগুলোর মাধ্যমে অপসংস্কৃতি অনুসরণ করে তৈরি করছেন ভিডিও। যাতে সহিংস ও কুরুচিপূর্ণ আধেয় থাকে। সম্প্রতি ভারতে এক বাংলাদেশি তরুণীকে যৌন নির্যাতনের ঘটনায় বিষয়টি নজরে আসে সবার। এ ঘটনার সূত্রপাতে টিকটকসহ বিতর্কিত অ্যাপগুলো নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছেন দেশের সচেতন নাগরিক সমাজ।
ফেসবুকে অ্যাপগুলো নিষিদ্ধের দাবি জানিয়ে নেটিজেনরা বলছেন, এসব অ্যাপের ব্যবহার তরণন প্রজন্মকে বিপদগামী করছে। নষ্ট হচ্ছে নৈতিকতা, সামাজিক মূল্যবোধ ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ। তরুণ ও কিশোররা গ্যাংয়ে জড়িয়ে অপরাধমূলক কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছে, হয়ে উঠছে সহিংস। এই আ্যপসের মাধ্যমে সস্তা জনপ্রিয়তা অর্জন করতে চায় এবং নিজেকে জনপ্রিয় ভাবতে শুরু করে। এছাড়া এসব আ্যপের মাধ্যমে তরুণ ও যুবকদের টার্গেট করে লাইভে এসে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি ও কুরুচিপূর্ণ প্রস্তাব দিয়ে এবং যৌনতার ফাঁদে ফেলে কৌশলে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে কাড়ি কাড়ি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
বিব্রতকর, অনৈতিক ও পর্নোগ্রাফিকে উৎসাহিত করায় ইতোমধ্যে ভারত,পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়ায় টিকটক ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বাংলাদেশেও অ্যাপটি নিষিদ্ধের দাবি জানিয়ে ফেসবুকে মোঃ মারুফ মুরশেদ লিখেছেন, ‘‘ছাত্র এবং যুব সমাজকে রক্ষায় মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সের পাশাপাশি টিকটক, লাইকি, ইউটিউবসহ সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অশ্লীলতার বিরুদ্ধেও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। তাই এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্টদের কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানাই।’’
শাহরিয়ার আরিক লিখেছেন, ‘‘টিকটকে প্রবেশ করলেই মনে হয় এ এক অশ্লীল জগৎ- কুরুচিপূর্ণ সব ভিডিও, ছেলে মেয়ে সেজে, মেয়ে ছেলে সেজে নোংরা অঙ্গভঙ্গি - এ যেনো দেহ দেখিয়ে জনপ্রিয়তা পাবার জগৎ! অতিদ্রুত এটা দেশ থেকে ব্যান করা উচিত! নইলে তরুণ প্রজন্ম পুরোপুরি নিঃশেষ হয়ে যাবে! এখনি টিকটকের অপব্যবহার চোখে পড়ছে- কিশোর গ্যাং বেড়ে গেছে, বলাৎকার হার বেড়ে গেছে!’’
মোহাম্মাদ আবুল মামুন লিখেছেন, ‘‘বর্তমান সমাজে ধর্মীয় বিধিবিধানকে গুরুত্ব না দেওয়ার কারনেই অসামাজিক কার্যকলাপে তরুন প্রজন্মরা ধাবিত হচ্ছে। একমাত্র আল্লাহর ভয় প্রতিটি মানুষকে অনৈতিক কাজে জড়িত হওয়া থেকে রক্ষা করতে পারে। যা দুনিয়ার কোন আইন আদালত দিয়ে সম্ভব নয়।’’
আজগর আলী লিখেছেন, ‘‘টিকটক একটা অশ্লীল জগৎ। কুরুচিপূর্ণ ভিডিও আর অঙ্গভঙ্গিতে ভরা। না আছে শিক্ষামূলক কিছু, না আছে গঠনমূলক কিছু। মনে রাখবেন অসুস্থ বিনোদন আপনার মানসিকতায় প্রভাব ফেলে। যা আপনার মানসিক স্বাস্থ্য ও সুস্থ চিন্তার অন্তরায়। এই অসুস্থ জগতের মধ্যে যে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম বেড়ে উঠবে তারা মানসিকভাবে অসুস্থই হবে।’’
টিকটক নিষিদ্ধের দাবি জানিয়ে মোঃ সোহাগ হোসাইন লিখেছেন, ‘‘তথাকথিত সেলিব্রিটি হওয়ার ট্রেনডেন্সি বর্তমান উঠতি প্রজন্মের মধ্যে সংক্রামক ব্যাধির মতো ছড়িয়ে পড়েছে!!অতিসত্বর টিকটক, লাইকির মতো অ্যাপসগুলো নিষিদ্ধ করা উচিত।’’
জয় আহমেদ আক্ষেপ করে লিখেছেন, ‘‘যে দেশে পবিত্র জাতীয় সংসদে অশিক্ষিত লোক এমপি মন্ত্রী হয় সেই দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়। ডাক্তার সামলাচ্ছে শিক্ষা মন্ত্রণলয় আর ব্যবসায়িক সামলাচ্ছে স্বাস্থমন্ত্রণালয়। সরকার নিজের ঘর সামলাতে হিমসিম খাচ্ছে সেখানে কিভাবে দেশের জনগণ সামলাবে। যদি সরকার আগামী প্রজন্মকে রক্ষা করতে চাই তাহলে এখনি সময় টিকটক বিগো পাপজি এইগুলো বন্ধ করা।’’
সানোয়ার খান কাজী লিখেছেন, ‘‘পাবজি ও ফ্রি ফায়ারের মতই টিকটক লাইকিতে আসক্ত তরুণ-তরুণীরা যার ফলে দেখা দিচ্ছে মানসিক ভারসাম্যহীনতা, আগামী প্রজন্মকে সুস্থ এবং স্বাভাবিক রাখতে এইগুলা বন্ধের কোনো বিকল্প নেই।’’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।