পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রস্তাবিত বাজেটে দেশের সামগ্রিক বিচার ব্যবস্থাকে ডিজিটালাইজড করার রূপকল্পকে স্বাগত জানিয়েছেন আইন ও বিচারাঙ্গনের মানুষ। বিশেষত: করোনা-বাস্তবতায় এই রূপকল্প সময়োপযোগী এবং যথার্থ বলে মনে করছেন তারা। গতকাল শনিবার এ প্রতিবেদনের সঙ্গে আলাপচারিতায় অভিমত ব্যক্ত করেন সংশ্লিষ্টরা।
সুপ্রিম কোর্ট বারের অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, করোনা মহামারির কারণে বিচার ও শাসন ব্যবস্থায় বড় ধরণের বিবর্তন এসেছে। বাংলাদেশের মতো দেশেরে ভার্চুয়াল উপস্থিতিতে বিচার কার্যক্রম পরিচালনা শুরু হয়েছে। এটি একটি মাইলফলক। কিন্তু বিচার ব্যবস্থার আকষ্মিক এই পরিবর্তনের সঙ্গে অনেকেই খাপ খাইয়ে নিতে পারছে না। হয়তো সময় লাগবে। এ বাস্তবতায় বিচারপ্রার্থী থেকে শুরু করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা,বিচারিক কার্যক্রম সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে ‘ই-জুডিশিয়ারি’র আওতায় নিয়ে আসা সময়ের দাবি। প্রস্তাবিত বাজেটে বিষয়টির ওপর আলোকপাত রয়েছে।
নাম প্রকাশে আপত্তি জানিয়ে হাইকোর্ট বিভাগের একজন বেঞ্চ অফিসার বলেন, বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তারা ভার্চুয়াল কার্যক্রমে ক্রমেই দক্ষতা অর্জন করছে। অথচ এক সময় তারা কম্পিউটারও চালাতে জানতেন না। বিচার বিভাগে ‘ই-জুডিশিয়ারি’ বাস্তবায়ন সম্ভব হলে এটির সুফল কর্মকর্তা এবং বিচারপ্রার্থীরাও পাবেন। এবারের বাজেটে এ কথাটি প্রথম উচ্চারিত হয়েছে। বিচার কার্যক্রমে গতিশীলতা জন্য তথ্য-প্রযুক্তি সংশ্লিষ্ট প্রয়োজনীয় অবকাঠামোগত উন্নয়নের মাধ্যমে দেশের সামগ্রিক বিচার ব্যবস্থাকে ডিজিটাইজেশনের কথা বলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত: গত ৩ জুন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেট বক্তৃতায় বিচার কার্যক্রমে গতিশীলতা জন্য তথ্য-প্রযুক্তি সংশ্লিষ্ট প্রয়োজনীয় অবকাঠামোগত উন্নয়নের কথা বলেন। তিনি বলেন, বিচার কার্যক্রমে গতিশীলতা বাড়ানোর জন্য তথ্য-প্রযুক্তি সংশ্লিষ্ট প্রয়োজনীয় অবকাঠামোগত উন্নয়নের মাধ্যমে দেশের সামগ্রিক বিচার ব্যবস্থাকে ডিজিটালাইজড করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সে লক্ষ্যে ই-জুডিশিয়ারি প্রকল্পের আওতায় দেশের সামগ্রিক বিচার ব্যবস্থাকে ডিজিটালাইজড করা হবে।
অর্থমন্ত্রী বক্তৃতায় আরও বলেন, দেশের প্রতিটি আদালতকে ই-কোর্টে পরিণত করা হবে এবং আটক দুর্ধর্ষ আসামিদের আদালতে হাজির না করে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিচারকাজ পরিচালনা করা হবে। সুপ্রিমকোর্টসহ অধস্তন আদালতগুলোর সব কার্যক্রমকে অটোমেশন এবং নেটওয়ার্কের আওতায় আনা হবে। বিচারাধীন মামলার বর্তমান অবস্থা, শুনানির তারিখ, ফলাফল এবং পূর্ণাঙ্গ রায় নিয়মিতভাবে ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। এসব উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে বিচারপ্রার্থীরা শিগগিরই এর সুফল ভোগ করতে পারবেন। এর আগে বিকেলে জাতীয় সংসদে ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।